ছবি সংগৃহীত

ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মিশেলে আড়ং-এর জনপ্রিয় কালেকশন

Kaniz DIya
লেখক
প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০১৪, ১১:৪০
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৪, ১১:৪০

আড়ং বর্তমানে বাংলাদেশের বৃহত্তম চেইন কুটিরশিল্পের প্রতিষ্ঠান হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থা করছে। আড়ং-ই প্রথম বাংলাদেশের আদিবাসী পণ্য ও শৈলী এবং দেশি হস্তশিল্প কলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করে। আড়ং-এর পণ্যের ডিজাইন ও নৈপুণ্য হার প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বরাবর সমাদৃত হয়ে আসছে। কারুশিল্প এবং নকশার বিভিন্ন ধরনের উন্নতি করে চলেছে দিনের পর দিন। ১৯৭৮ সালে ঢাকায় খোলা হয় আড়ং-এর প্রথম প্রতিষ্ঠান। এ থেকেই শুরু হয় আড়ং-এর পথ চলা। আজ আড়ং-এর জনপ্রিয়তা দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও স্থান করে নিয়েছে। দেশের বাইরে লন্ডন এবং ইউ কে-তে রয়েছে আড়ংএর শো-রুম। আড়ং শুধুমাত্র এর বুটিক শিল্পের জন্যই জনপ্রিয় নয়। রয়েছে ঘরদোর সাজানোর জিনিষপত্র, নানান ধরণের হস্তশিল্প ও গহনাগাঁটির বিশাল কালেকশন।

আড়ংএর পোশাক শিল্প

আড়ং এর পোশাক শিল্পে নারী পুরুষ উভয়ের জন্যই রয়েছে অনেক বড় একটি কালেকশন। এমনকি বাচ্চাদের জন্যও আড়ংএ রয়েছে নানান ধরণের ব্যবহার্য জিনিষপত্র। পুরুষঃ পুরুষদের জন্য রয়েছে বাংলাদেশী ঐতিহ্যবাহী পোশাক আশাক থেকে শুরু করে শার্ট, ফতুয়া, শর্ট কুর্তা, পাঞ্জাবি, টী-শার্ট সহ দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য মানিব্যাগ, বেল্ট ও জুতো পর্যন্ত। এবং এর প্রত্যেকটি মানের দিক থেকে হয় সর্বশ্রেষ্ঠ। নারীঃ আড়ং ২০০৯ সালে ‘সেরা বুটিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান’ পুরুস্কার জিতে নেয় নারীদের নিখুঁত, অনন্য ও বিপুল পোশাক কালেকশনের জন্য। শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, ওড়না, ম্যাক্সি, কুর্তা, ওয়েস্টার্ন পোশাক ও রাতের পোশাক সবই পাওয়া যায় আড়ংএর এই বিশাল কালেকশনে। এছাড়াও রয়েছে ব্যাগ, ক্লাচ ব্যাগ ও জুতো-স্যান্ডেল সহ আরও অনেক কিছু। ছোটদের জন্যঃ ছোটদের জামা জুতো ও পছন্দনীয় অনেক জিনিষপত্রের কালেকশন রয়েছে আড়ংএ। ছোট সোনামণিকে উপহার দিয়ে পারেন আড়ং এর হস্তশিল্পের তৈরি দারুণ সব পুতুল।

ঘর সাজাতে আড়ংএর বিশাল কালেকশন

ঘরদোর মনের মত করে সাজাতে একেক মার্কেটে ছুটোছুটি করে সময় নষ্ট না করে চলে আসুন আড়ং-এর যে কোন শো-রুমে। বিছানার চাদর, বালিশের কভার, টেবিল ক্লথ, পর্দার কাপড়, কুশান, কুশান কভার সবই আছে কালেকশনে।
রয়েছে টেবিল ল্যাম্প, ফটো ফ্রেম, কোস্টার, ন্যাপকিন, ন্যাপকিন রিং, ম্যাট, ট্রে, কোল্ট্রি, বাটি, মাটির তৈজসপত্র, মোমবাতি, নানান ধরণের ডেকোরেটিভ জিনিষপত্র, গহনার বক্স, বিশাল আয়না সহ অনেক কিছু। আরও আছে পাট,টেরাকোটা, বাশ, কাঠ ও মেটালের তৈজসপত্রের বিশাল সমাহার। গুনগত মানের কারনে এইসকল জিনিষপত্রের জনপ্রিয়তা এখন বিদেশের মাটিতেও। বিদেশের মাটিতে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছে আড়ংএর নকশি কাঁথার জিনিষপত্র। নকশি কাঁথার বিছানার চাদর, ওয়াল ম্যাট ও নানান ধরণের ডেকোরেটিভ জিনিষপত্র।

জনপ্রিয় আড়ং-এর গহনা

আড়ং প্রথম থেকেই ভিন্নধর্মী গহনার রুচি দিয়ে নারীদের মন কেড়ে নিয়েছে। আড়ং এর সোনা, রূপা ও মুক্তার তৈরি ব্যতিক্রমী গহনাগুলো সকলের নজন কেড়ে নিতে বাধ্য। এছাড়াও হস্তশিল্পের নানান ধরণের পরিবেশ বান্ধব গহনারও বিশাল কালেকশন রয়েছে আড়ংএ। সম্প্রতি আড়ং তার গহনার কালেকশনকে আরও সমৃদ্ধ করার জন্য যোগ করেছে ডায়মন্ডের গহনা। ভিন্নধর্মী ডিজাইনের জন্য এই গহনাগুলোও লোকপ্রিয়তা পাচ্ছে অল্প দিনের মাঝেই।

আড়ং এর শীতের পোশাক

দেশের সব থেকে বড় শীতের চাদরের কালেকশন রয়েছে আড়ংএ। পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্যই রয়েছে শীতের চাদর। হালকা ও ভারী যেকোনো ধরণের চাদর খুঁজতে চলে যান আড়ং-এ।

আপনি জানেন কি?

•আড়ং এর আয়ের অর্ধেক পরিমাণ অর্থ দান করা হয় ব্র্যাক পরিচালিত দুঃস্থদের জন্য তৈরি স্কুল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। •প্রতি সেকেন্ড ৩ জন মানুষ আড়ংএর শো-রুমে প্রবেশ করে। •আড়ংএর উত্তরা শো-রুম বাংলাদেশের সবথেকে বড় বুটিক শো-রুম। •আড়ং প্রতি বছর যত কাপড় কেনে তা দিয়ে বাংলাদেশকে ৮ বার মুড়ে দেয়া যাবে!