ছবি সংগৃহীত

আমেরিকায় ফেসবুকে আক্রমণাত্মক কমেন্ট দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত তরুণ মুক্ত

সাইমুম
লেখক
প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০১৩, ২১:৩৬
আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৩, ২১:৩৬

(প্রিয় টেক) চিন্তা করুন তো ,আপনি আপনার ফেসবুক ফ্রেন্ডের কোন স্ট্যাটাসে হয়ত মজা করেই তাকে মেরে ফেলার কথা লিখে কমেন্ট দিলেন । কিন্তু পরের দিনই দেখলেন যে আপনাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনার ঘরের দোর গোড়ায় পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে তখন কেমন লাগবে। জ্বি , এই বছরেরই ফেব্রুয়ারিতে টেক্সাসে ১৮ বছর বয়সী জাস্টিন কার্টার ফেসবুকে তার এক বন্ধুর সাথে অনলাইন গেম লিগ অব লিজেন্ড খেলার সময় বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়। হঠাত কমেন্ট করে বসে, “ shoot up a school full of kids and eat their still beating hearts !” এই কমেন্টের পরে অবশ্য সে স্মাইলি ও LOL দিয়ে রেখেছিল কিন্তু তা তাকে জেলের হাত থেকে বাঁচাতে পারেনি। তার ওই কমেন্ট কানাডার এক মহিলার নজরে আসে এবং খোঁজ খবর নিয়ে সে জানতে পারে কার্টারের বাড়ির পাশেই একটা এলিমেন্টারি স্কুল আছে । এরপরই সে ভয় পেয়ে বিপদের আশংকায় পুলিশকে এই ব্যাপারে অবহিত করে এবং পুলিশ পরে ২৭ মার্চ সন্ত্রাসী হুমকির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে। n সিএনএন জানায় , গত বৃহস্পতিবার সে টেক্সাসের কারাগার থেকে ছাড়া পায়। অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি হাফ মিলিয়ন ডলারের বন্ডের বিনিময়ে কার্টারকে কারাগার থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ১২ আগস্ট । অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিটি কে এই ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। কার্টারের মা তার ছেলেকে মুক্ত করার জন্য সাহায্য চেয়ে চেঞ্জ.অর্গ এ একটা পিটিশন দাখিল করেন এবং প্রায় এক লাখ আটাশ হাজার মানুষ এতে সমর্থন জানায়। বৃহস্পতিবার ওই ব্যক্তিকে ধন্যবাদ দিয়ে কার্টারের মা পিটিশন পেজে একটি পোস্ট দেন। তার মা বলেন, “আমার ছেলের ফেসবুক কৌতুকটি খুব একটা ভাল ছিল না এবং আমি বুঝতে পারছি কেন এই কমেন্ট অনেকে ভয়ের কারণ হয়েছে । কিন্তু আমার ছেলের বিরুদ্ধে পূর্বের কোন বেআইনি কাজের রেকর্ড নেই এবং সে আসলেই কারোর প্রতি কোন হুমকির কারণ হয়নি ।” কার্টারের মা এই দাবী করলেও এই কমেন্টটি এমন এক সময়ে করা হয়েছে যখন আমেরিকা তখনও তার ইতিহাসের ভয়াবহতম স্কুল শুটিং এর ক্ষত সারাতে পারেনি। গত বছরের ডিসেম্বরে নিউটাউনের স্যান্ডী হুক এলিমেন্টারি স্কুলে এক বন্দুকধারীর গুলিতে ২০ জন শিশু সহ ২৬ জন প্রাণ হারায়। কার্টারের ঘটনার পর ১৮ মে তারিখেও আরেক স্কুল ছাত্রকে একই অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আদালত বাতিল করে দেয়। তাই, ফেসবুক স্ট্যাটাস বা কমেন্ট দেবার সময় সাবধান । সোশ্যাল মিডিয়া এখন আর শুধু ভার্চুয়াল জগতের কচকচানির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই,আমাদের প্রাত্যহিক জীবনেরও এক বড় অংশ । সোশ্যাল মিডিয়ার আদবকেতাগুলো মেনে চলা তাই আপনার জন্যই ভাল হবে। তথ্যসূত্রঃ ম্যাশেবল,সিএনএন