ছবি সংগৃহীত

নবিজির [সা.] প্রিয় ছিলো যে রঙের কাপড়

ফয়জুল আল আমীন
লেখক
প্রকাশিত: ০৭ এপ্রিল ২০১৬, ০৩:৫০
আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৬, ০৩:৫০

পোশাক-পরিচ্ছদকে বাদ দিয়ে দেহমনকে সুস্থ রাখা সম্ভব নয়। দেহের জন্য যেমন উপযুক্ত খাদ্যের প্রয়োজন, তেমনি প্রকৃতির খেয়ালী অত্যাচার থেকে দেহকে রক্ষা করার জন্য পোশাকের প্রয়োজন। পদমর্যাদা অনুযায়ী পোশাকের তারতম্য ঘটে। যেমন পিয়ন, চাপরাশি, হোটেলের বয়, বাবুর্চি,ড্রাইভার, পাইলট, সৈনিক, পুলিশ এদের পোশাক সাধারণ মানুষের পোশাক হতে ভিন্ন। পোশাকের প্রকারভেদে মানসিক অবস্থারও পরিবর্তন হয়। আবার পুরুষ ও নারীর পোশাক, পোশাকের রঙেরও ব্যবধান আছে। আল্লাহপাক বলেন, ‘হে আদম বংশধরগণ! আমি অবশ্য তোমাদের প্রতি এরূপ পরিচ্ছদ অবতীর্ণ করেছি যা তোমাদের আবৃতাঙ্গ আচ্ছাদিত ও সুসজ্জিত করে এবং সংযমশীলতার পরিচ্ছদই উত্তম। ইহা আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্তর্গত, যেন তোমরা স্মরণ কর।’ এ আলোচনায় যে রঙের কাপড় নবিজির [সা.] প্রিয় ছিল তা নিয়ে আলোচনা করা হলো। নবিজির [সা.] সাদা রঙের কাপড় বা পোশাক প্রিয় ছিল। তিনি বলেন, ‘তোমাদের জন্য আল্লাহর সামনে যাওয়ার সর্বোত্তম পোশাক সাদা পোশাক।’ (আবু দাউদ,ইবনে মাজা) তিনি আরো বলেন, ‘সাদা কাপড় পর এবং সাদা কাপড় দ্বারা মৃতদের কাফন দাও। কেননা এটা অপেক্ষাকৃত পবিত্র ও পছন্দনীয়।’ (আহমদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ) সাদার পরেই তাঁর পছন্দনীয় রং ছিল সবুজ। তবে তাতে হালকা সবুজ ডোরা থাকা পছন্দ করতেন। একেবারে নির্ভেজাল লাল পোশাক খুবই অপছন্দ করতেন। (শুধু পোশাক নয়, বরং অন্যান্য জিনিসে লাল রং ক্ষেত্র বিশেষে নিষিদ্ধ করেছেন। তবে হালকা লাল রং এর ডোরাকাটা কাপড় তিনি পরতেন। অনুরূপ হালকা হলুদ (মেটে রং) এর পোশাকও পরেছেন। পোশাকের মধ্যে সাদা পোশাক স্বাস্থ্যসম্মত সে বিষয়ে শরীরবিজ্ঞানীদের দ্বিমত নেই। কেননা সাদা পোশাকে মন যেমন সাদা ও প্রফুল্ল হয় অন্য কোনো পোশাকে তা হয় না। দ্বিতীয়ত, সাদা কাপড়ে ময়লা জমলে তা চোখে পড়ে। অন্য যে কোনো রংয়ের কাপড়ে তা দেখা যায় না। শরীরে ময়লা লাগা, ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পোশাক ব্যবহার করা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। তাই সাদা কাপড়ই উত্তম। সবুজ রং সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, চোখের দৃষ্টিশক্তিকে প্রখর করে। সূর্যের যে সাতটি রং আছে সবুজ তার মধ্যে অন্যতম। যদি গাছের পাতা এই সূর্যরশ্মি না পায় তবে সবুজ রং ধারণ করতে পারে না। ফয়জুল আল আমীন [ফয়জুল আল আমীন- ধ্রুপদী এক লেখক। পুরো নাম- সৈয়দ মুহম্মদ ফয়জুল আল আমীন। সৈয়দ শিশির নামে যিনি সমধিক পরিচিত। প্রবন্ধ-নিবন্ধ, কলাম, সাহিত্য সমালোচনা, গল্প, গবেষণা, কবিতা, ছড়াসহ সাহিত্যের প্রতিটি শাখায় যার সুদীপ্ত বিচরণ। দেশের প্রথম শ্রেণির প্রায় সব দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক ও ছোটকাগজে নিয়মিত লিখছেন প্রায় ২০ বছর ধরে। ধর্মচর্চার ক্ষেত্রে তাঁর গুরু হলেন বাবা। আর সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে প্রকৃতি। ইসলাম ধর্মের নানা দিক ও বিষয় নিয়ে সুদীর্ঘ গবেষণা করেছেন ফয়জুল আল আমীন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় রিপোর্টার, ফিচার লেখক, সাব-এডিটর, সহযোগী সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। একাধিক প্রকাশনা সংস্থায় সিনিয়র লেখক, সম্পাদক ও আরঅ্যা-ডি’র প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বর্তমানে পাঠকপ্রিয় একটি সাপ্তাহিকে চিফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।]