
ছবি সংগৃহীত
সহবাসের সময় স্বামী-স্ত্রী সম্পূর্ণরুপে বিবস্ত্র হতে পারবে নাকি পারবে না?
আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:৩৯
এটা মূলত লজ্জাশীলতার পরিচয়। শরীয়তে তা হারাম নয়। ঘর বা রুম বন্ধ থাকলে এবং সেখানে স্বামী-স্ত্রী ছাড়া অন্য কেউ না থাকলে পর্দার দরকার নাই। স্বামী-স্ত্রী একে অন্যের লেবাস বা পোশাক। উভয়ে উভয়ের সব কিছু দেখতে পারে। মহান আল্লাহ বলেছেন, যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না। অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে। [সুরা মুমিনুন, আয়াত : ৫-৭] আরো ইরশাদ হয়েছে, এবং যারা তাদের যৌন-অঙ্গকে সংযত রাখে; কিন্তু তাদের স্ত্রী অথবা মালিকানাভূক্ত দাসীদের বেলায় তিরস্কৃত হবে না। অতএব, যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে, তারাই সীমালংঘনকারী। [সুরা মাআরিয, আয়াত : ২৯-৩১] উল্লেখ্য আলোচ্য আয়াতে মালিকানাভূক্ত দাসী বলতে আমাদের বাড়ী-ঘরে কাজের মেয়ে নয় বরং জিহাদের ময়দানে বন্দীকৃত নারীদেরকে গনিমতের মাল হিসাবে ধরা হয়েছে। এখন ঐ ব্যবস্থা রহিত করা হয়েছে। স্বামী-স্ত্রী বিবস্ত্র হয়ে সহবাস করতে শরীয়তে কোন বাধা নাই এবং একে অপরের গোপন অঙ্গ দেখতে পারবে। [ফাতওয়া ইবনে উসাইমিন] রাসুল [সা.] বলেছেন, তুমি তোমার স্ত্রী ও দাসী ছাড়া অন্যের নিকটে গোপনাংগের হেফাজত কর। সাহাবী বললেন, হে রাসুল [সা.]! লোকেরা আপোসে এক জায়গায় থাকলে? তিনি বললেন, যথাসাধ্য চেস্টা করবে, কেউ যেন তা মোটেই দেখতে না পারে। সাহাবী বললেন, হে রাসুল [সা.]! কেউ যদি নির্জনে থাকে? তিনি বললেন, মানুষ অপেক্ষা আল্লাহ বেশী হকদার যে, তাকে লজ্জা করা হবে। [আবু দাউদ, তিরমিজী, ইবনে মাজাহ, মিশকাত: ৩১১৭] মাওলানা মিরাজ রহমান