কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

দেশের দীর্ঘতম ভাসমান সেতু। ছবি: সংগৃহীত

মনিরামপুরে গ্রামবাসী নির্মাণ করল দেশের ‘দীর্ঘতম’ ভাসমান সেতু

খন্দকার মহিউদ্দিন
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০১৮, ১৯:৫৭
আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৮, ১৯:৫৭

(প্রিয়.কম) যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা বাঁওড়ে আট ফুট চওড়া ও ১ হাজার ফুট দীর্ঘ ভাসমান সেতুটি নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার হচ্ছে। বেশ কিছু কারণে সেতুটি আলোচনায় আসে। প্রথমত এই সেতুটি একটি ভাসমান সেতু। আর এটি একটি প্ল্যাস্টিকের ড্রাম দিয়ে নির্মিত ভাসমান সেতু। তবে সবচাইতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকার কারণ হলো এই সেতুটিকে বাংলাদেশের দীর্ঘতম ভাসমান সেতু হিসেবে দাবি করছে এর নির্মাতারা। 

অস্থায়ী এই সেতুটি নির্মাণে ব্যাবহার করা হয়েছে ৮৩৯টি প্লাস্টিকের ড্রাম, ৮০০ মণ লোহার অ্যাঙ্গেল পাত ও ২৫০টি লোহার শিট। এই নির্মাণ সামগ্রী দেখে যদি বিস্মিত হয়ে থাকেন তাহলে জেনে রাখুন এই সেতুটি একটি সামাজিক উদ্যোগ। এই দীর্ঘতম ভাসমান সেতুটি সরকারিভাবে নির্মাণ করা হয়নি। 

এখানে উল্লেখ্য যে. মণিরামপুরের ঝাঁপা গ্রামটি একটি দ্বীপ সদৃশ গ্রাম। গ্রামটি তিন পাশে বাঁওড় ও একপাশ কপোতাক্ষ নদ দ্বারা বেষ্টিত হওয়ায় তা রাজগঞ্জ বাজারসহ উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। গ্রামে বাসিন্দা প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। এই বাসিন্দাদের নৌকায় চড়ে যাতায়াত করতে হয়। শিক্ষার্থীরা নৌকায় চেপে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে বাঁওড় পার হতো। গ্রামের ৬০ জন যুবক সিদ্ধান্ত নেয় এই অনিরাপত্তা আর কষ্ট লাঘব করার। সেই পরিকল্পনা অনুসারে তারা গড়ে তোলেন এই ভাসমান সেতু। আর এটি নির্মাণে সময় লেগেছে পাঁচ মাস। 

গত ২ জানুয়ারি এই ভাসমান সেতুটি উদ্বোধন করেন যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আশরাফ উদ্দিন। সেতুটি উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি এই সেতুর উদ্যোক্তা ‘ঝাঁপা গ্রাম উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের’ ওই ৬০ জন যুবক ও গ্রামবাসীর প্রশংসা করেন। 


গুগল ম্যপে ঝাঁপা গ্রাম 

 

সম্পাদনাঃ প্রিয় ট্রাভেল/ জিনিয়া

প্রিয় ট্রাভেল সম্পর্কে আমাদের লেখা পড়তে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেইজে। যে কোনো তথ্য জানতে মেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়। ভ্রমণ বিষয়ক আপনার যেকোনো লেখা পাঠাতে ক্লিক করুন এই লিংকে - https://www.priyo.com/post