কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নিপীড়ন চালানোয় বিশ্বজুড়ে চাপের মুখে পড়ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সংগৃহীত ছবি

মিয়ানমার সেনাদের আর প্রশিক্ষণ দেবে না ব্রিটেন

জাহিদুল ইসলাম জন
জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক, নিউজ এন্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:৩৭
আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:৩৭

(প্রিয়.কম) রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন চালানোর দায়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। মিয়ানমার সেনাদের দেওয়া প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও এর আওতায় পড়বে বলে জানান তিনি।

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের দেওয়া ভাষণে থেরেসা মে বলেন, রাখাইনের সাধারণ মানুষের ওপর অভিযান বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। একইসঙ্গে তিনি রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা সেবা বাড়ানোর তাগিদ দেন।

থেরেসা মে বলেন, ‘ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা করছে যে আমরা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করছি। রোহিঙ্গা ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।’

রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন শুরুর পর থেকে নিজ দেশে চাপের মুখে পড়েন থেরেসো মে। তিনি বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যা ঘটছে তার বিষযে আমরা সচেতন রয়েছি। সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে। অং সান সুচি এবং দেশটির সরকারকে তা পরিষ্কার করতে হবে।

আন্তর্জাতিক মহল বিষয়টি নিয়ে সচেতন রয়েছে জানিয়ে থেরেসা বলেন, তিনি এই বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টির ট্রুডোর সঙ্গে আলাপ করেছেন। সন্তোষজনকভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত মিয়ানমারের সঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেন তিনি।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের যুদ্ধ প্রশিক্ষণ সহযোগিতা না থাকলেও সেনাদের গণতন্ত্র, নেতৃত্ব এবং ইংরেজি শিক্ষায় প্রশিক্ষণ চুক্তি রয়েছে। গত বছর এসব প্রশিক্ষণ খাতে ৩ লাখ ৫ হাজার ইউরো খরচ করে মিয়ানমার।

চলতি মাসের প্রথম দিকে জাতিসংঘের উচ্চ পদস্থ এক মানবাধিকার কর্মকর্তঅ জাইদ রাদ আল হুসেন বলেন, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যা ঘটছে তা জাতিগত নিধনযজ্ঞের ‘পাঠ্যপুস্তক উদাহরণ’ হতে পারে।

সূত্র: গার্ডিয়ান

প্রিয় সংবাদ/শান্ত