কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আসাছে রোহিঙ্গারা। ছবি: ফোকাস বাংলা

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বব্যাংকের ঋণ প্রস্তাবে টিআইবির উদ্বেগ

আবু আজাদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০১৭, ২০:৫১
আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৭, ২০:৫১

(প্রিয়.কম) সেনা নির্যাতনে প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিভিন্ন চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ সরকারকে আর্থিক সহায়তার বদলে বিশ্বব্যাংকের দেওয়া ঋণ প্রস্তাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

২৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার টিআইবি’র এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়। 

বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিবিধ চাহিদা পূরণে বিশ্বব্যাংক ঋণ দেয়ার চেষ্টা করছে, যা অনৈতিক, অগ্রহণযোগ্য ও উদ্বেগজনক।

তিনি বলেন, মানবিক বিপর্যয়ের সুযোগে সাহায্যের নামে দেশের ওপর ঋণের বোঝা বৃদ্ধির এ উদ্যোগ বিশ্বব্যাংকের সুদ ব্যবসা সম্প্রসারেণের অংশ ছাড়া কিছুই না। তাই মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল কনসেশনাল ফাইন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি (জিসিএফএফ) থেকে ঋণ গ্রহণ না করে সুদহীন অনুদান সংগ্রহের সর্বাত্মক কূটনৈতিক প্রয়াস অব্যাহত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় টিআইবি।

মিয়ানমারে সেনা নির্যাতনের মুখে প্রাণ বাঁচাতে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসছে রোহিঙ্গারা। ফাইল ছবি

মিয়ানমারে সেনা নির্যাতনের মুখে প্রাণ বাঁচাতে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসছে রোহিঙ্গারা। ফাইল ছবি

প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গাদের ভরন-পোষণ ও অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে প্রয়োজনীয় অর্থ সংস্থানে ‘গ্লোবাল কনসেশনাল ফাইন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি (জিসিএফএফ)’ তহবিল থেকে বাংলাদেশকে ঋণ প্রস্তাব করেছে বিশ্বব্যাংক। নিয়মানুসারে কোন দেশে ২৫ হাজারের বেশি শরনার্থী হলে নতুন এই তহবিল থেকে তিন বছরে সর্বোচ্চ ৪০ কোটি ডলার ঋণ পেতে পারে দেশটি।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নিধন অভিযান শুরুর পর প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। তবে বেসরকারি হিসেবে এ সংখ্যা ৭ লাখেরও বেশি। রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসার এ ধারা অব্যাহত থাকলে শরনার্থীর সংখ্যা ১০ লাখে পৌঁছাতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

তবে সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে পালিয়ে আসার হার আগের চেয়ে কিছুটা কমলেও, ১৫ অক্টোবর থেকে তা আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ নিয়ে কিছু এরিয়াল ফুটেজ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা। ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, উখিয়ার পালংখালির কাছে নাফ নদী পার হয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশ করছে

পরিস্থিতির ভয়াবহতায় জাতিসংঘ মনে করছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে জাতিগত নিধনে নেমেছে।  

প্রিয় সংবাদ/কামরুল