কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ভালোবাসার মানুষের কাছে যদি আপনার কোন গুরুত্ব না থাকে তবে সেই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। ছবি: রিপন।

যে তিনটি লক্ষণ জানিয়ে দেবে সম্পর্ক ভাঙার এখনই সময়!

ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২২:৩৯
আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২২:৩৯

(প্রিয়.কম) ভালোবাসার একটা সম্পর্কের মাঝে থেকে প্রতিটা মানুষই চায় তার ভালোবাসার মানুষটার কাছ থেকে ভালোবাসা, সম্মান এবং অতি অবশ্যই গুরুত্ব পেতে। একজন মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একজন হয়ে ওঠাটা যেমন খুবই আনন্দের এবং ভালোলাগার, ঠিক তেমনভাবেই খুব কাছের এবং প্রিয় মানুষটার জীবনে নিজেকে একেবারেই গুরুত্বহীন একজন হিসেবে দেখাটাও খুব কষ্টকর।  

অনেক সময় খুবই অর্থহীন একটা সম্পর্কের মাঝে নিজেদের আমরা বেঁধে ফেলি বলে সেই সম্পর্ক থেকে আমরা আর নিজেদের বের করে নিতে চাই না। অথবা, আমরা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না যে আমাদের সেই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসার সময় হয়ে গিয়েছে কিনা।

রিলেশনশিপ এক্সপার্ট অলগা লেভাঞ্চুকা’র মতে তিনটি ফ্যাক্টর রয়েছে একটা ভালোবাসার সম্পর্কের ক্ষেত্রে যা জানিয়ে দেবে আপনাকে আপনার সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসার সময় হয়েছে কী না!

অলগা আরো বিশ্বাস করেন যে, আপনার সম্পর্কের এই দিকগুলো সম্পর্কে আপনার আগেই আপনার আশেপাশের এবং কাছের মানুশগুলো বুঝে ফেলে। এই ফিচার থেকে জেনে নিন অলগা’র দেওয়া তিনটি লক্ষণ যা জানিয়ে দেবে আপনার সম্পর্কে আপনার গুরুত্বের কথা!

১/ তার জীবনে আপনি কোন গুরুত্ব রাখেন না  

কারোর জীবনে গুরুত্বপূর্ন একজন হওয়ার জন্য তার সাথে প্রতিটা মুহুর্ত কাটানোর প্রয়োজন হয় না। কারোর জীবনে নিজের অগ্রাধিকার পাওয়া অথবা গুরুত্ব পাওয়ার মানে হলো, পরস্পরের জীবনে খুব গুরুত্বপুর্ন মানুষ হিসেবে সবসময় পাশে থাকা।

এখন কিছুক্ষণ সময় নিয়ে আপনি নিজে ভাবুন তো, আপনার ভালোবাসার মানুষটা আপনাকে কতোটা গুরুত্ব দেয় বা আদৌ গুরুত্ব দেয় কী না! সে কি আপনার সাথে আলোচনা করে, আপনার মতামতকে গ্রহণ করে আপনাদের ভবিষ্যৎ এর জন্য কোন পরিকল্পনা করেন? অথবা, তার কোন কাজের ক্ষেত্রে, তার ভবিষ্যৎ এর জন্য কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সে কি আপনার কাছ থেকে মতামত জানতে চান কখনো?

সত্য এবং বাস্তবধর্মী একটি কথা হচ্ছে, আপনার ভালোবাসার মানুষটি যদি আপনাকে তার জীবনের একজন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ হিসেবে মনে করে থাকেন, তবে সে অবশ্যই তার সকল ছোট থেকে বড় সিদ্ধান্তে আপনার মতামত জানতে চাইবেন এবং আপনার মতামতকে অগ্রাধিকার দেবেন।

তবে উপরের প্রশ্নগুলো উত্তর যদি না হয় তবে আপনাকে বুঝে নিতে হবে যে, আপনার ভালোবাসার মানুষটির জীবনে কতটুকু গুরুত্ব আপনি রাখেন বা আদৌ রাখেন কী না!

২/ আপনাদের দুইজনের মাঝে অনেক দূরত্ব চলে এসেছে

দুইজন মানুষ যখন একসাথে একটা ভালোবাসার সম্পর্কে প্রবেশ করেন, সেই সময়টা থেকে সময় যত এগোতে থাকে ততোই কিন্তু দুইজনের মানসিকতা, ইচ্ছা, স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা, লক্ষ্য এবং গুরুত্ব বদলাতে থাকে। এসকলই সময়ের সাথে সাথে খুব ধীরে বদলে যায় এবং এটাই খুব স্বাভাবিক।

তবে সময়ের সাথে সাথে সকল কিছু পরিবর্তিত এবং পরিবর্ধিত হলেও আপনাদের দুইজনের মধ্যে দূরত্ব চলে আসাটা কিন্তু কাম্য নয়! মনে করে দেখুন তো, শেষ কবে আপনার দুইজনে মন খুলে একসাথে গল্প করেছিলেন, অথবা নিজেদের জীবনের সুখ-দুঃখ নিয়ে কথা বলেছিলেন! সম্প্রতি কবে আপনি এবং আপনার ভালোবাসার মানুষ একসাথে নিজেদের জীবনের গল্পগুলো বলতে বলতে আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েছিলেন অথবা খুব হেসেছিলেন!

একটা সম্পর্কে থাকা শুধুই যদি একটা অভ্যাসের মতো হয়ে যায় তবে সেখানে কোন ভালোবাসা থাকে না। একজনের জীবনে আরেকজনের গুরুত্বও থাকে না। শুধুই অভ্যাসের বশে হয়ত আপনি এখনও সম্পর্কের মধ্যে পড়ে আছেন, তবে সেটা একেবারেই অর্থহীন একটা সম্পর্ক মাত্র!

৩/ আপনার প্রয়োজনে আপনি কখনোই তাকে পাশে পান না

একটা ভালোবাসার সম্পর্কে সবসময় উভয় পক্ষ থেকেই ভারসাম্য থাকা উচিৎ। একে অপরের যে কোন সময়ে, যে কোন সমস্যার ক্ষেত্রে সাহায্য প্রয়োজন হলে পরস্পরের পাশাপাশি থাকার মাধ্যমেই একটা ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়। এটা শুধুমাত্র এক পাক্ষিক কোন ব্যাপার নয়, বরং উভয়ের দিক থেকেই সমানভাবে থাকবে এই জিনিসগুলো।

কিন্তু আপনার ক্ষেত্রে, আপনার ভালোবাসার মানুষ যদি শুধুমাত্র তার দরকারের সময়েই আপনাকে খুঁজে থাকে এবং আপনার কোন দরকারে অথবা প্রয়োজনে তাকে কখনোই পাশে পাওয়া না যায়, তবে আপনার বুঝে নিতে হবে যে, এই সম্পর্কটি থেকে বের হয়ে আসার সময় হয়ে গেছে।

আপনি হয়তো নিজেও বুঝতে পারবেন না যে আপনি একটি নিস্প্রাণ সম্পর্কের মধ্যে পড়ে আছেন, যতক্ষণ না আপনার প্রয়োজনের সময়ে আপনি একা বোধ করবেন! সকলের ব্যস্ততা থাকে, কাজের চাপ থাকে। কিন্তু সকল কিছু ছাপিয়েও একজন মানুষ সেই মানুষটার জন্য ঠিকই সময় বের করে যার গুরুত্ব তার জীবনে অনেকখানি। যাকে সে নিজের জীবনের অন্যতম একজন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ বলে মনে করেন।

সূত্র: Mail Online.

সম্পাদনা :রুমানা বৈশাখী