কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রোহিঙ্গা মুসলমানদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ নামের মাঠপর্যায়ের চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়েছে।

প্রতিদিন ৩০০ রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে মিয়ানমার

ফারজানা মাহাবুবা
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০১৮, ১৫:০২
আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৮, ১৫:০২

(প্রিয়.কম)  মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ নামের মাঠপর্যায়ের চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়েছে। ১৬ জানুয়ারি, মঙ্গলবার বৈঠকে চুক্তিটি চূড়ান্ত হয় এবং প্রত্যাবাসন শুরুর দুই বছরের মধ্যে তা সম্পন্ন করা হবে বলে চুক্তিতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়।

সংবাদ সংস্থা ইউএনবি'র খবরে বলা হয়, মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডব্লিউজি) বৈঠকে চুক্তিটি চূড়ান্ত রূপ পায়। জেডব্লিউজির বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক বাংলাদেশের এবং মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে তার দেশের নেতৃত্ব দেন।

চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিদিন ৩০০ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে মিয়ানমার। তিন মাস পর এই সংখ্যা আবার পর্যালোচনা করে বাড়ানো হবে এবং শুরু হওয়ার পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে প্রক্রিয়াটি শেষ হবে।

তবে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে এই প্রক্রিয়াটি কখন শুরু হবে তা নিশ্চিত করে জানানো হয়নি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশে পাঁচটি ট্রানজিট ক্যাম্প স্থাপন করা হবে, পরে মিয়ানমার সীমান্তে দুটি অভ্যর্থনা কেন্দ্রে তাদের পাঠানো হবে। অবশ্য এ বিষয়ে মিয়ানমার সরকার এখন পর্যন্ত তাদের কোনো বিবৃতি দেয়নি।

কীভাবে ফেরত পাঠানো হবে

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুই দেশের সম্মতিতে একটি ফরম পূরণ ও যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রত্যাবাসনের জন্য রোহিঙ্গাদের বাছাই করা হবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি পরিবারকে একটি ইউনিট বলে বিবেচনা করা হবে।

এই চুক্তি অনুযায়ী মিয়ানমারের দুটি অভ্যর্থনা কেন্দ্রে ফেরত আসা রোহিঙ্গাদের প্রথমে রাখা হবে। হালা পাও খুঙে ফেরত আসা রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয় দেবে মিয়ানমার। এই সময়ে তাদের বাড়িঘর পুনর্নির্মাণ করে দেয়া হবে। আর যেসব রোহিঙ্গা শরণার্থী এখন দুই দেশের সীমান্তে জিরো পয়েন্টে রয়েছে, তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি মিয়ানমার সবার আগে বিবেচনা করবে। 

দুটি যৌথ কমিটি পুরো কার্যকলাপ নজরদারি করবে। এর একটি কমিটি যাচাই-বাছাই করবে, অন্যটি কমিটি প্রত্যাবাসনের বিষয়টি দেখভাল করবে।

প্রিয় সংবাদ/আজাদ চৌধুরী