কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ছবি সংগৃহীত

দ্য নিউজ মিডিয়া: হোয়াট এভরিওয়ান নিডস টু নো || সংবাদপত্রের ভবিষ্যৎ কি শেষ?

মিজানুর রহমান
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০১৭, ১৫:৩৬
আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৭, ১৫:৩৬

নিউ ইয়র্কের সিটি ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক সি. ডব্লিউ. অ্যান্ডারসন, অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম বিভাগের অধ্যাপক লিওনার্ড ডাউনি জুনিয়র এবং কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির জার্নালিজমের অধ্যাপক মাইকেল শাডসন দ্য নিউজ মিডিয়া: হোয়াট এভরিওয়ান নিডস টু নো নামের একটি বই লিখেছেন। ২০১৬ সালে বইটি প্রকাশ করে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। বইটিতে লেখকরা সাংবাদিকতার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেছেন, বিশ্লেষণ করেছেন। সেই বই অনুসারে ধারাবাহিকভাবে অনুলিখন করছেন মিজানুর রহমান

আজকের বিষয়: সংবাদপত্রের ভবিষ্যৎ কী শেষ?

(প্রিয়.কম) আমেরিকান সংবাদপত্রের দুর্দশা চলছে এখন। তাদের ছাপা পত্রিকার গ্রাহক খুব দ্রুত পড়ে যাচ্ছে। পত্রিকাগুলোর ডিজিটাল সংস্করণের পাঠক এখনও আশানুরুপ নয়। বিজ্ঞাপন থেকে তাদের যে আয়, সেটাও তলানির দিকে। ছাপা পত্রিকার আকার ও পাতার সংখ্যা দিনকে দিন কমছে। এসব পত্রিকার নিউজরুমের অনেক অংশ এখন ফাঁকাই পড়ে থাকে।

এখন সারা যুক্তরাষ্ট্রে ১৪০০ ছাপা পত্রিকা আছে। সম্প্রতি কয়েকবছরে দেশটির কিছু পত্রিকা একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। ছাপার খরচ বাঁচাতে অনেক দৈনিক পত্রিকা এখন পরিমাণে কম ছাপছে, আবার অনেকে প্রতিদিন ছাপছেও না। এমনকি নিউ অরলিনস, বার্মিংহাম নিউজ, প্রেস রেজিস্টার-এর মতো সবচেয়ে উগ্রপন্থী পত্রিকাগুলো পর্যন্ত এখন আর প্রতিদিন ছাপা হয় না। এসব পত্রিকা সপ্তাহে তিন দিন ছাপা হয়, বাকী দিনগুলোতে তারা তাদের ওয়েবসাইটে সংবাদ প্রকাশ করে, কিন্তু পত্রিকা বের করে না। তুলনামূলক একটু ভালো অবস্থায় থাকা পত্রিকাগুলো সপ্তাহে চারদিন হোম এডিশনগুলো ছাপায়, বাকী তিন দিন পত্রিকার দোকানে ছোট সংস্করণ প্রকাশ করে। তবে এসব পত্রিকাই তাদের সব নিউজ প্রতিনিয়ত ওয়েবসাইটে প্রকাশ করছে। ২০০৩ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ছাপা পত্রিকাগুলো বিজ্ঞাপন বাবদ অর্ধেক অর্থ হারিয়েছে, তাদের নিউজরুম তিন ভাগের এক ভাগ ছেঁটে ফেলতে বাধ্য হয়েছে এবং তাদের গ্রাহকও অর্ধেকে নেমে এসেছে।

সম্প্রতি কয়েক বছরে ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক পাঠক বৃদ্ধির পর যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন পেইড ডেইলি সার্কুলেশন ২০০৪ সালের ৫৪.৬ মিলিয়ন থেকে কমে ২০১৪ সালে হয়েছে ২৯.১ মিলিয়ন। এই সময়ে ইন্টারনেটে ও সামাজিক মাধ্যমে অবৈতনিক (যারা সংবাদ পড়ার জন্য অর্থ পরিশোধ করছে না) পাঠক বহুগুণ বেড়েছে। নিউজপেপার অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকার (এনএএ) এক জরিপ অনুয়ায়ী, ২০১৪ সালের আগস্টে  প্রতি দশজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে অন্তত ৮ জন বিভিন্ন পত্রিকার ডিজিটাল সংস্করণ পড়েছে। ২০১৪ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ছাপা পত্রিকার গ্রাহকদের ৫৫ শতাংশ শুধু পত্রিকা পড়ে, ৩০ শতাংশ পত্রিকা ও তাদের ডিজিটাল সংস্করণ পড়ে এবং ১৫ শতাংশ শুধু ডিজিটাল সংস্করণই পড়ে।  অনেক পত্রিকার মালিকেরা ছাপা পত্রিকায় বিনিয়োগ কমিয়ে ডিজিটাল মাধ্যমে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে, যা ছাপা পত্রিকার ভবিষ্যতকে দিনকে দিন বড় প্রশ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে। অনেক পত্রিকা আবার  নিজেদেরকে ‘ডিজিটাল ফার্স্ট’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। 

২০১৪ সালে সার্কুলেশনের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সংবাদপত্র প্রকাশক প্রতিষ্ঠান গ্যানেট ঘোষণা করেছে, তারা ইউএসএ টুডেসহ তাদের ৮১টি পত্রিকা ভেঙে আলাদা আলাদা কোম্পানি গঠন করবে। প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা করেছে, তারা এমন নিউজরুম প্রতিষ্ঠায় বিনিয়োগ করবে, যেগুলোকে ‘ভবিষ্যতের নিউজরুম’ বলা হবে। বর্তমান সম্পাদকদের হয় ছাঁটাই করা হবে, নয়তো তাদের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হবে। রিপোর্টাররা তাদের অসম্পাদিত রিপোর্ট সরাসরি অনলাইনে পোস্ট করবে। তখন সাংবাদিকরা এমন নিউজই শুধু কাভার করবে, তাদের পাঠকদের কাছে যেসব নিউজের চাহিদা আছে।

যেসব পত্রিকা ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা হয়েছে, সেখানকার সাংবাদিকদেরও নতুন প্ল্যাটফর্মে চাকরির জন্য আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

যেমন গ্যানেটের মালিকানাধীন পত্রিকা ইন্ডিয়াপোলিস স্টার ২০০০ সালে ২৭৫ জন সাংবাদিককে নিয়োগ দিয়েছিল। ২০১৪ সালে এসে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ১২৪ জনে, এমনকি এই ১২৪ জন সাংবাদিককেও তাদের নতুন প্ল্যাটফর্মের ১০৬ টি শূন্য পদে বিপরীতে চাকরির আবদেন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নতুন প্ল্যাটফর্মে সংবাদ ও পাঠকদের নিয়ে সরাসরি কাজ করার জন্য সাংবাদিকদের টেনিং দেওয়া হবে।

গ্যানেটের মালিকানাধীন অধিকাংশ পত্রিকাই এখন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খবরের ওপর গুরুত্ব কমিয়ে দিয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে গ্যানেটের অনেক পত্রিকায় ও তাদের ওয়েবসাইটে জাতীয়, আন্তর্জাতিক,অর্থনীতি ও লাইফস্টাইল বিভাগে ইউএসএ টুডের খবরের একটি সংক্ষিপ্তসার প্রকাশ করে আসছে। 

অামেরিকান জার্নালিজম রিভিউ’র এক জরিপে দেখা গেছে, ফেসবুক, টুইটার কিংবা গুগল প্লাসের মতো সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের নিউজ শেয়ার দিতে সাংবাদিকদের উৎসাহিত করা হয়। কিন্তু লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস তো এটি সাংবাদিকদের জন্য বাধ্যতামূলক করেছে। ২০১৩ সালে অরিলিয়া পাবলিক রিলেশনস নেটওয়ার্ক’র এক জরিপে দেখা গেছে, প্রতি দশজন মার্কিন সাংবাদিকের মধ্যে ছয়জনই টুইটারে সক্রিয়। 

আটলান্টা জার্নাল কনস্টিটিউশন এর সাংবাদিকরা ২০১৪ সালে বড় লক্ষ্যকে সামনে রেখে পুনরায় একত্রিত হন। ডিজিটাল ও ছাপা মাধ্যমের পাঠকদের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামতও নেন তারা। তারা সিদ্ধান্ত নেন, পরবর্তীতে তাদের সাংবাদিকতা হবে পাঠকরুচি ও গবেষণা ভিত্তিক।

২০১৪ সালে পেনসিলভানিয়ার ইয়র্ক ডেইলি রেকর্ড  নামের ছোট একটি পত্রিকার সাংবাদিকেরা নিয়মিত একটি কাজ করত। সপ্তাহে একদিন তাদের সাংবাদিকরা জনবহুল স্থানে যেত এবং মানুষের কাছে সরাসরি তাদের কথা জানতে চাইত। সম্পাদকের সম্পাদনা ছাড়াই সাংবাদিকরা সেখানে বসেই সঙ্গে সঙ্গে সেসব কথা কথা নিউজ আকারে সামাজিক মাধ্যম, ওয়েবসাইট বা ব্লগে পোস্ট করত। অনেক ছোট পত্রিকার মতোই ইয়র্ক ডেইলি রেকর্ড পত্রিকারও তাদের পাঠক বিস্তৃত সব এলাকার সংবাদ কাভার করার জন্য পর্যাপ্ত সাংবাদিক ছিল না। 

অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠিত সংবাদপত্রও এখন তাদের সংবাদ ছাপা পত্রিকার আগে তাদের ডিজিটাল সংস্করণে প্রকাশ করে। কিছু কিছু সংবাদমাধ্যম আছে যাদের সব সাংবাদিকই মূলত তাদের ডিজিটাল সংস্করণে কাজ করে। পরে আলাদা একটি দল সেখান থেকে বাছাই করে কিছু নিউজ পরের দিনের ছাপা পত্রিকায় প্রকাশ করে। 

আগে ছাপা পত্রিকার নিউজরুম বিকালের দিকে কর্মচঞ্চল হয়ে উঠত, সারাদিন সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করে তা বিকাল থেকে প্রক্রিয়াজাতকরণের শুরু করত এবং গভীর রাতে পত্রিকা প্রেসে যেত। কিন্তু এখন সকালে অফিসের আগে, দুপুরের খাবারের সময়, অফিস শেষ, সন্ধ্যায় কিংবা রাতে, নিউজরুমকে সবসময় কর্মচঞ্চল থাকতে হচ্ছে। কারণ পাঠক সবসময় তাদের ওয়েবসাইটে নিউজ পড়তে আসছে।

অধিকাংশ নিউজরুমেই প্রিন্ট এবং ডিজিটাল মাধ্যম সামলে থাকেন একই সম্পাদকরা। সামাজিক মাধ্যমের উত্থান, সৃজনশীল ব্লগ, টকশো, ভিডিও প্রোডাকশন এবং ডিজিটাল সাংবাদিকতার কারণে ছাপা পত্রিকার ওয়েবসাইটে একদিক থেকে চাকরিও বাড়ছে।

ছাপা পত্রিকা থেকে ডিজিটাল মাধ্যমে পরিবর্তন হতে চাওয়া সব সংবাদমাধ্যমই প্রায় একই কাজ করছে। এখনও ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত কোনো ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি, যেটি ছাপা পত্রিকার বেলায় ছিল। প্রিন্ট এবং ডিজিটাল পাঠকদের সংমিশ্রণে সংবাদমাধ্যমগুলোর আয় এখনও একেকজনের বেলায় একেক রকম। যেমন- ওয়াশিংটন পোস্ট এবং নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর মতো ছাপা পত্রিকা, যাদের বিশাল সংখ্যক পাঠক ছিল, ডিজিটাল সংস্করণেও তারা অন্য সবার চেয়ে ভালো করছে, দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছে।

২০১৩ সালে জেফ বেজোস ওয়াশিংটন পোস্ট  কিনে নেওয়ার আগ থেকেই পত্রিকাটিতে ডিজিটালাইজেশন শুরু হয়েছিল। জেফ কেনার পর এটির ডিজিটালাইজেশনের পেছনে আরও অনেক অর্থ খরচ করছেন। ২০১৪ সালের প্রথম তিন কিস্তিতে ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের নিউজরুমের জন্য ১০০ জন সাংবাদিক নিয়োগ দিয়েছিল। পত্রিকাটি নিউ ইয়র্কে একটি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ল্যাব স্থাপন করেছে এবং ওয়াশিংটনের নিউজরুমে ডেভলপার, সাংবাদিক ও সম্পাদকদের সঙ্গে মিলে সৃজনশীল ডিজিটাল সাংবাদিকতার একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। পত্রিকাটির মাল্টিমিডিয়া নিউজগুলো মোবাইল ডিভাইস বান্ধব করে তৈরি করা হয়। ২০১৪ সালের আগস্টে ওয়াশিংটন পোস্ট-এর ৪০ মিলিয়ন ভিজিটরের অর্ধেকই পত্রিকাটির ওয়েবসাইট ভিজিট করেছে মোবাইল, ট্যাবলেট, স্মার্টফোন, ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন এবং সামাজিক মাধ্যমে পাওয়া লিংক থেকে।

ব্রেকিং নিউজ দেওয়া ও ওয়াশিংটন পোস্ট  এর অনলাইনের জন্য ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করার জন্য একদল সাংবাদিক ২৪ ঘণ্টা কাজ করেন। রাজনীতির খবরাখবরের জন্য আকেটি বড় দল সকাল ও বিকালে তাদের ওয়েবসােইটে রাজনীতির ডিজিটাল কন্টেন্ট পোস্ট করে, যেগুলো পরের দিন আরও সম্পাদনার পর পত্রিকায় ছাপা হয়। 

২০১৪ সালে নিউ ইউয়র্ক টাইমস তাদের ডিজিটালাইজেশনের ওপর ব্যাপক জোর দেয়। যেসব সংবাদমাধ্যম  পত্রিকার পাশাপাশি জিজিটাল সংস্করণেও ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছে, নিউ ইয়র্ক টাইমস তাদের মধ্যে অন্যতম লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ২০১৪ সালের শেষ নাগাদ প্রতিষ্ঠানটির ৮ লাখ ৭৫ হাজার পেইড ডিজিটাল গ্রাহক ছিল এবং ছাপা পত্রিকার গ্রাহক ছিল এক মিলিয়ন। ২০১৪ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমস ৯৬ পাতার একটি অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে পত্রিকাটি বলেছে, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য ফিনান্সিয়াল টাইম এবং দ্য গার্ডিয়ান-এর মতো প্রতিদ্বন্দ্বী পত্রিকাগুলো ব্যাপকভাবে তাদের পুনর্গঠন করছে, তারা তাদের প্রতিবেদনগুলো আগে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশ করছে, পরে তা ছাপা পত্রিকায় প্রকাশ হচ্ছে।

ওই প্রতিবেদনের পরামর্শের ভিত্তিতে নিউ ইয়র্ক টাইমস তাদের নিউজরুমের নেতৃত্বে পরিবর্তন আনে এবং সিনিয়র সম্পাদকদের ডিজিটাল কৌশল নির্ধারণ, সংবাদের সঙ্গে প্রযুক্তির যোগ এবং পত্রিকাটির সংবাদ বিভাগের নয়টি আলাদা আলাদা উপ-বিভাগে ডিজিটাল সম্পাদক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। ছাপা পত্রিকা থেকে লোকজন কমিয়ে ডিজিটাল এবং ভিডিও বিভাগে লোকবল বাড়ানো হয়। ইন্টারনেট, সামাজিক মাধ্যম ও অন্যান্য সংবাদমাধ্যম সার্বক্ষণিক অনুসরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

ওয়াশিংটন পোস্ট এবং নিউ ইয়র্ক টাইমস  উভয়ই ছাপা পত্রিকা নিয়ে এখনও গবেষণা করে যাচ্ছে। দুটি পত্রিকাই অন্য পত্রিকার গ্রাহকদের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রোড়পত্র বের করছে। তবে এসব ক্রোড়পত্র বের করার জন্য কেউই তাদের নিউজরুমের কোনো সম্পদ খরচ করছে না। ২০১৪ সালের অক্টোবরে ডালাস মর্নিং নিউজ  তাদের সানডে  ম্যাগাজিনের গ্রাহকদের কাছে ওয়াশিংটন পোস্ট  ও নিউ ইয়র্ক টইমস পত্রিকার ক্রোড়পত্র কেনার আবেদন করেছে। এসব ক্রোড়পত্রের জন্য ডালাস মর্নিং নিউজ’র গ্রাহকদের আলাদা অর্থ পরিশোধ করতে হবে এবং পত্রিকাটি এ থেকে প্রাপ্ত অর্থ পরবর্তীতে ওয়াশিংটন পোস্টনিউ ইয়র্ক টাইমস’র সঙ্গে ভাগাভাগি করবে।

আমেরিকায় কর্মরত আনুমানিক ৭০ হাজার সাংবাদিকের অর্ধেকই কাজ করছে পত্রিকার নিউজরুমে এবং তাদের ডিজিটাল অপারেশনে। ছাপা পত্রিকা, ইন্টারনেট, রেডিও ও টেলিভিশনে আমেরিকানরা প্রতিদিন যেসব সংবাদ দেখে, নানা কাটছাঁট ও ডিজিটাল মাধ্যমের চোখ রাঙানি সত্ত্বেও এসব নিউজরুমগুলোতেই এ সংবাদগুলো তৈরি হয়। তবে সব ছাপা পত্রিকা আস্তে আস্তে ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে, অামেরিকার সাংবাদিকতার বিপ্লব এখন এটিই।