অং সান সু চি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়েই পেয়েছিলেন সম্মানসুচক ডক্টরেট ডিগ্রি। সংগৃহীত ছবি
সু চির জন্য নতুন দুঃসংবাদ
আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৭, ১২:৫৬
(প্রিয়.কম) রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে থাকা মিয়ানমারের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নেত্রী অং সান সু চির জন্য নতুন দুঃসংবাদ এসেছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড থেকে। ভোটাভুটির পর ১৯৯৭ সালে তাকে দেওয়া ‘ফ্রিডম অব দি সিটি অব অক্সফোর্ড’ সম্মান কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে অক্সফোর্ড কতৃপক্ষ বলেছে, ‘এই সম্মান তার সঙ্গে ভাগাভাগি করা যেতে পারে না যিনি সহিংসতার বিষয়ে চোখ বন্ধ করে থাকেন।’
এর আগে দেশটির একটি কলেজ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে তার নাম। সরিয়ে নেওয়া হয়েছে তার প্রতিকৃতি।
ফ্রিডম অব দি সিটি অব অক্সফোর্ড’ সম্মান কেড়ে নেওয়ার আগে অক্সফোর্ড কাউন্সিলররা ভোটাভুটির বিষয়ে সম্মত হয়। সোমবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় এই ভোট। অবশ্য এদিনই মিয়ানমারে সফররত পোপ ফ্রান্সিসকে দেশটির প্রধান বলেছেন, সেখানো কোনো ধর্মীয় বৈষম্য নেই।
অথচ গত কয়েক মাসের সেনা অভিযোনের কারণে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। জাতিসংঘ এই সহিংসতাকে জাতিগত নিধনের পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ বলে মন্তব্য করেছে।
সু চির বিরুদ্ধে এই ভোটাভুটির প্রস্তাব কাউন্সিলে তুলেছিলেন ম্যারি ক্লার্কসন। বিবিসিকে তিনি বলেছেন, ‘বহুজাতিক আর মানবিকতার জন্য অক্সফোর্ডের সুদীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। কিন্তু আমাদের সুনাম কলঙ্কিত হচ্ছে তাদেরকে সম্মান জানিয়ে যারা সহিংসতার সময়ে চোখ বন্ধ করে থাকে। আশা করি আমাদের আজকের ছোট আওয়াজটি বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার কর্মীসহ যারাই রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচার চাইছেন তাদেরকে আরেকটু সংহত করবে।’
২০১২ সালে সু চিকে অক্সফোর্ড থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হয়। ওই বছরের তার ৬৭ তম জন্মদিন উদযাপন করা হয় সেন্ট হাফ’স কলেজে। এখানেই তিনি ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭ পর্যন্ত রাজনীতি, দর্শন, আর অর্থনীতি নিয়ে পড়েছিলেন।
কিন্তু গত কয়েকমাসে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে পড়েছেন সু চি। সেপ্টেম্বরে সেন্ট হাফ কলেজের প্রবেশমুখে থাকা সু চির প্রতিকৃতি সরিয়ে ফেলা হয়। অক্টোবরে ভোটাভুটির পর কলেজের জুনিয়র কমন রুমে থাকা সাবেক নেতাদের তালিকা থেকেও তার নাম মুছে ফেলা হয়।
তবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এখন পর্যন্ত তার সম্মানসূচক ডিগ্রি পুর্নবিবেচনার সিদ্ধান্ত না নিলেও জানানো হয়েছে, মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিষয়ে তাদের ‘গভীর উদ্বেগ’ রয়েছে।
নভেম্বরের শুরুতে সঙ্গীতশিল্পী বব গেডলফ তার ‘ফ্রিডম অব দি সিটি অব ডাবলিন’ পুরস্কার ফিরিয়ে দেন। একই পুরস্কার সু চির থাকায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিরেন তিনি।
প্রিয় সংবাদ/আশরাফ