কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিক্ষোভ মিছিলটি শান্তিনগর মোড়ে এলে বাধা দেয় পুলিশ। ছবি: ফোকাস বাংলা

ইসলামী আন্দোলনের মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা

আবু আজাদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:২৬
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:২৬

(প্রিয়.কম) রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলনের ‘মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও’ কর্মসূচি পুলিশের বাধায় শান্তিনগরেই শেষ হয়ে গেছে। ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে বায়তুল মোকাররম থেকে যাত্রা শুরু করে শান্তিনগর পর্যন্ত যাওয়ার পরই পুলিশ মিছিল থামিয়ে দেয়।

কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয় এই কর্মসূচিতে। ছবি: ফোকাস বাংলাকয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয় এই কর্মসূচিতে। ছবি: ফোকাস বাংলা

১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে সংগঠনটির হাজার হাজার কর্মী বায়তুল মোকাররম থেকে রওনা হয়ে শান্তিনগর মোড়ে পুলিশি ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। পরে তারা বায়তুল মোকাররমের দিকেই ফিরে যায়।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার এইচ এম আজীমুল হক বলেন, জনদুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে আমরা এত মানুষকে এত দূর যেতে দিইনি। পাঁচজন প্রতিনিধিকে স্মারকলিপি নিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা ফিরে যাওয়ার পর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শান্তিনগর এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

মিছিলটি শান্তিনগর মোড়েই আটকে দেয় পুলিশ। ছবি: ফোকাস বাংলামিছিলটি শান্তিনগর মোড়েই আটকে দেয় পুলিশ। ছবি: ফোকাস বাংলা

মিছিলটি শুরুর আগে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইটে এক সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশে ওআইসির সদস্য দেশগুলোকে গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় আহ্বান জানায় সংগঠনটি। সমাবেশে বক্তারা বলেন, মিয়ানমারের সামরিক সরকার যে গণহত্যা চালাচ্ছে, তা মেনে নেয়া যায় না। গণহত্যার বিরুদ্ধে ওআইসির সদস্য দেশ ও জাতিসংঘের নীরব ভূমিকার সমালোচনা করে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবিও করেন তারা।

এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চালানো গণহত্যা-ধর্ষণ-অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম দূতাবাস ঘেরাওয়ের এই কর্মসূচি দিয়েছিলেন।

প্রিয় সংবাদ/শান্ত