কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

শাহপরীর দ্বীপজুড়ে মরা গরুর দুর্গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। ছবি: প্রিয় সংগৃহীত

দ্বীপজুড়ে ভাসছে মরা গরু, চারদিকে দুর্গন্ধ (ভিডিও)

তাজুল ইসলাম পলাশ
প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:২৩
আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:২৩

(কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে) কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার সাগরের কুল ঘেষে গড়ে উঠা শাহপরীর দ্বীপটির অবস্থান। বিনোদন স্পট হিসেবেও সুন্দর্যের তালিকায় রয়েছে ছোট্ট এ দ্বীপটি। সাবরাং ইউনিয়ন থেকে সাগরপাড়ি দিয়ে যেতে হয় এই দ্বীপে। গত কয়েকদিনে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বেশির ভাগ রোহিঙ্গা নাগরিক এই দ্বীপের জেটি দিয়ে এসেছে। তাদের গৃহপালিত গরু, মহিষ ছাগলও অনেকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন। বোটে করে নিজেদের সঙ্গে গরুকেও রশি দিয়ে বেঁধে এপারে নিয়ে আসা হয়েছে। আসার সময় অনেক গরু পানির স্রোতে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে মারাও গিয়েছে। আবার এমনও হয়েছে মিয়ানমারে ফেলে আসা গৃহপালিত এসব পশুকে সাগরে নিক্ষেপও করেছে সেদেশীয় নাগরিকেরা। ফলে ভাসতে ভাসতে মৃত গরুগুলো এপারে এসে ভেসে উঠেছে।

শাহপরীর দ্বীপজুড়ে মরা গরুর দুর্গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। ভিডিও প্রিয়.কম।

শাহপরীর দ্বীপের চারদিকে এখন চোখে পড়বে গরুর শত শত মৃত দেহ। মৃত গরু পঁচে-গলে প্রতিনিয়ত চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। ভেসে উঠা চরে খেলতে গিয়ে শিশুরাও অসুস্থ হওযার সম্ভাবনা রয়েছে। শাহপরীর দ্বীপের চর ঘুরে এ দৃশ্যে চোখে পড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল মনছুরের সাথে কথা হয়। তিনি পেশায় একজন সিএনজি অটোরিকশা চালক। তিনি বলেন, শুধু মরা গরু নয়, আপনি ভোরে আসলে এখানে মৃত মানুষের দেহ দেখতে পেতেন। গতকালকেও (বৃহস্পতিবার) জেটির পাশে একটি মহিলার লাশ ভেসে উঠে। পরে পুলিশ এসে মৃত দেহটি নিয়ে যায়।

dead-cows

শাহপরীর দ্বীপজুড়ে মরা গরুর দুর্গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। ভিডিও প্রিয়.কম।

তিনি বলেন, এখানে কারও কোনো মাথা ব্যাথা নেই। তারা শুধু ব্যস্ত থাকে নিজেদের কাজে। মরা গরুগুলোর পাশে ফুটবল খেলছিল কিছু যুবক। তাদের পাশে খেলা করছিল কিছু শিশু-কিশোর।

মুহিত নামে একজন জানান, আমরা প্রতিদিন এখানে খেলতে আসি। কিন্তু খেলতে পারি না। মরা গরুর গন্ধে এখানে খেলা করা সম্ভব হয় না।dead-cows

শাহপরীর দ্বীপজুড়ে মরা গরুর দুর্গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। ভিডিও প্রিয়.কম।

স্থানীয় চেয়ারম্যান নুর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা কোন দিক সামাল দেব। রোহিঙ্গাদের জায়গা দেওয়াসহ তাদের সব ব্যবস্থা করে দিতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমি লোকদের খবর দিয়েছি, যাতে কোঁদাল দিয়ে গর্ত খুড়ে মরাগরুগুলো মাঠিতে পুতে ফেলা হয়।

এদিকে শুধু ওই চরে নয় দ্বীপের অনেক জায়গায় এখনো মরাগরু ছাগল ভেসে উঠছে বলে জানা যায়। 

প্রিয় সংবাদ/কামরুল