কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মাল্টার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ২ চুক্তি সই

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

সামুদ্রিক ও ব্লু-ইকোনমির ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারে ‘নতুন যুগ’-এর সূচনায় সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ রাষ্ট্র মাল্টা। সোমবার দুপুরে মাল্টার রাজধানী ভ্যালেটায় অনুষ্ঠিত প্রথম সরকারি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ ব্যাপারে দু’দেশ সম্মত হয়। সফররত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও মাল্টার ফরেন এন্ড ট্রেড প্রমোশন মিনিস্টার কারমেলো আবেলা নিজ নিজ পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন। দুই মন্ত্রী, পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষ করে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা করেন। তারা উভয় দেশের দ্রুত ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিবেচনায় ভবিষ্যতের সুযোগগুলো তৈরীতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রতিনিধিদের সফর বিনিময়ে সম্মত হন। বর্তমানে মাল্টা ইউরোপে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধি ভোগ করছে এবং চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে ৮ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফার্মাসিউটিক্যালস, ফিনটেক, ব্লক এবং চেইন প্রযুক্তির মতো নতুন ব্যবসার জন্য অভিজ্ঞতা এবং ধারণা বিনিময়ে উভয়ে আগ্রহ ব্যক্ত করে। জাতিসংঘ, কমনওয়েলথসহ আন্তর্জাতিক সংস্থায় অভিবাসন ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো অন্যান্য বিষয়ে সহযোগিতা ছাড়াও বৈশ্বিক সংস্থাগুলোতে নির্বাচনে একে অপরের প্রার্থীকে সমর্থন করার বিষয়েও আলোচনা হয়। মাল্টার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং তিনি এই সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে অব্যাহত সহায়তা প্রদানেরও আশ্বাস দেন। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনার পর দু’দেশের মধ্যে নিয়মিত রাজনৈতিক আলোচনা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ একাডেমির সহযোগিতা সংক্রান্ত দু’টি সমঝোতা চুক্তি সই হয়। দুই দিনের সরকারি সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন পৃথকভাবে দেশটির প্রেসিডেন্ট ড. জর্জ ভেল্লা ও প্রধানমন্ত্রী জোসেফ মস্কাটের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। মাল্টার প্রেসিডেন্ট রোহিঙ্গাদের প্রতি বিশাল উদারতার জন্য বাংলাদেশকে অভিবাদন জানান। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবে তিনি শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বের স্থিতিশীলতার কথা উল্লেখ করেন। মাল্টার প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সামুদ্রিক শিল্প ও ব্লু-ইকোনমি সহযোগিতা মাল্টার জন্য ‘নিঃসন্দেহে একটি সুযোগ’, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নে তাদের জেনেরিক ফার্মা পণ্য নিবন্ধনে এবং বাজার সমপ্রসারণে সুবিধাজনক ভূমিকা রাখবে। বিকেলে উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাল্টা চেম্বার অব কমার্স, এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি গ্রিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় ‘বাংলাদেশ মাল্টা বিজনেস ফোরাম’-এ যোগদান করেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন মাল্টায় বাংলাদেশ কমিউনিটি আয়োজিত একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও যোগ দেন। মাল্টা ও গ্রিসে বাংলাদেশেষর রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম ইউরোপ এবং ইইউ অনুবিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীরসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে