কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পঞ্চগড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

মানবজমিন প্রকাশিত: ২২ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

বাড়ির পাশের জলাশয়ে মাছ ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাবা ও দুই ছেলে সহ তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি আজকের মধ্যে জেলা প্রশাসকের কাছে রিপোর্ট প্রদান করবে। গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের পানিমাছ-মাহানপাড়া এলাকায় অবৈধ বিদ্যুুৎ লাইন ছিঁড়ে জলাশয়ে পড়ে যাওয়ায় ওই বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো- ওই এলাকার শহিদুল ইসলাম (৬০), তার মেজো ছেলে নাজিরুল ইসলাম (৩০) ও ছোট ছেলে আসাদুর রহমান (২১)। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ৬টার দিকে মৃত শহিদুল ইসলামের মেজো ছেলে নাজিরুল ইসলাম জাল নিয়ে বাড়ির পাশের জলাশয়ে মাছ ধরতে যায়। এর পর প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ফিরে না আসায় তার বাবা শহিদুল ইসলাম ও ছোট ভাই আসাদুর রহমান তাকে খুঁজতে গিয়ে ওই জলাশয়ের পানিতে নামেন। পরে তাদের তিনজনের পেছনে পেছনে গিয়ে শহিদুল ইসলামের নাতি মো. মামুন জলাশয়ের মধ্যে তাদের তিনজনকে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে দেখে আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে টেনে নেয়া পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পানিতে পড়ে আছে। সেখানেই বিদ্যুতায়িত হয়ে তারা তিনজনই ছটফট করছিল। পরে স্থানীয়রা বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে তাদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে রাতেই পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী হাসপাতালে তাদের দেখতে যান। জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিক ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন। রাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট নিহত তিনজনের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেলে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। গতকাল বিকালে একসঙ্গে জানাজা শেষে স্থানীয় মনোহরদীঘি গোরস্থানে তাদের মরদেহ দাফন করা হয়। ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার আবু আশরাফ মো. সালেহ জানান, গণমাধ্যমের সাহায্যে খবরটি পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন গেছে। কেউ দায়ী থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও