কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পদ্মা-মেঘনায় স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাহত, যানবাহনের দীর্ঘলাইন

মানবজমিন প্রকাশিত: ২২ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

সারা দেশের বিভিন্ন জেলার বন্যার পানি নেমে আসার কারণে পদ্মা-মেঘনা নদীতে খর স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েকদিন নদীর স্রোত আরো তীব্র হচ্ছে। যার ফলে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরিঘাটের দুই পাড়ে শত শত যানবাহন আটকে পড়েছে। ৫টি ফেরির মধ্যে দু’টি সচল থাকলেও বাকি ৩টি স্রোতের মধ্যে চলাচল করায় বিকল হয়ে পড়েছে। ফেরিগুলো দ্রুত মেরামত করা না হলে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী পরিবহনগুলোর দুর্ভোগ আরো বাড়তে থাকবে। ৫ দিন আগে এসেও পার হতে পারছে না অনেক পরিবহন। গতকাল সকালে চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি রুটের হরিণাঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, টার্মিনাল ও আশপাশের সড়কে শত শত গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে গণপরিবহনগুলোর যাত্রীরা ট্রলার দিয়ে শরীয়তপুর ঘাটে গেলেও ট্রাকে থাকা কাঁচামালগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।বাসের যাত্রী আবু সাঈদ জানান, তিনি চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা দিদার পরিবহন নামে বাসে শনিবার সন্ধ্যায় ঘাটে এসেছেন। কিন্তু ফেরি বন্ধ থাকায় যেতে পারছেন না। একই পরিবহনের যাত্রী শাহাবুদ্দিন ও হাফেজ মো. তাফাজ্জল হোসেন বলেন, ১৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও নদীতে স্রোত থাকায় ফেরি ছাড়ছে না। নদীতে জোয়ার আসলে একটি ফেরি ছাড়া হয়। তাতেও গুরুত্বপূর্ণ গাড়ির সিরিয়াল থাকে। বাধ্য হয়ে আমরা এখন ট্রলার দিয়ে নদী পার হতে হবে।চট্টগ্রাম থেকে মাছ নিয়ে এসেছেন চালক রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি একবার ফেরিতে উঠেছেন। কিন্তু ফেরি নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে আবার ঘাটে উঠতে হয়েছে। তার ট্রাকে থাকা মাছগুলো নষ্ট হয়ে গন্ধ বের হচ্ছে। আরেক ট্রাক চালক শাহজালাল জানান, এই ফেরিঘাটে ৫টি ফেরি থাকলেও সবগুলো অনেক পুরনো। চলাচলের অযোগ্য। যার কারণে আমাদের ভোগান্তি বাড়ছে। ১৬ই জুলাই এই ঘাটে আসলেও পার হওয়ার অপেক্ষায় আছেন। থাকা ও খাওয়ায় বহু চালক এবং পরিবহনের সঙ্গে থাকা শ্রমিকরা কষ্ট পাচ্ছেন। বিআইডব্লিউটিসি হরিণা ফেরিঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) পারভেজ খান জানান, নদীতে এই ধরনের স্রোত আরো ৭ থেকে ১০ দিন থাকবে। আমরা পরিবহনগুলো পার করার চেষ্টা করছি। অধিক স্রোতের মধ্যে ফেরি চালাতে গিয়ে ৩টি ফেরির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। ঢাকা থেকে এসব যন্ত্রাংশ আনা হয়েছে। ফেরিগুলো ঠিক হলে জোয়ারের সময় চলাচল করবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের উপর তো কারো হাত নেই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও