কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

১৯ জনকে গণপিটুনি নিহত ৩

মানবজমিন প্রকাশিত: ২২ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

দেশের বিভিন্ন জেলায় ‘ছেলেধরা’ গুজব ছড়িয়ে ১৯ জনকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয় জনতা। এতে নারীসহ তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সাভারে অজ্ঞাত নারী, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ও নোয়াখালীর  কোম্পানীগঞ্জে এক মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে। এ ছাড়া জনতার গণপিটুনির শিকার হয়েছেন নওগাঁর মান্দায় ৬ জেলে, রাজশাহীতে ৪ জন, মৌলভীবাজারে রিকশাচালক, নারায়ণগঞ্জে দুই ফুল ব্যবসায়ী, তাহিরপুরে মানসিক প্রতিবন্ধী, দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে যুবক ও টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে এক যুবক।স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার ও কমলগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের দেওড়াছড়া চা-বাগান এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে দেওড়াছড়া চা-বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, চা-বাগানের নিমতলা এলাকায় অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাবে ঘুরাফেরা করতে দেখেন চা শ্রমিকরা। এসময় চা শ্রমিকরা তার পরিচয় জানতে চাইলে সে সঠিক উত্তর দিতে না পারায় ছেলেধরা সন্দেহে তাকে পিটুনি দিতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে বাগান কর্তৃপক্ষ তাকে উদ্ধার করে অফিস কার্যালয়ের একটি কক্ষে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। এরই মধ্যে উত্তেজিত ৫-৬শ’ চা শ্রমিক অফিস কক্ষের দরজা- জানালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে গণপিটুনি দেয়। এ সময় বাগান কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের আশ্বাস দিয়ে অজ্ঞাতপরিচয়ের ওই ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে মৌলভীবাজারে ছেলেধরা সন্দেহে এক রিকশাচালককে  গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয় জনতা। গতকাল দুপুরের দিকে মৌলভীবাজার শহরের চাঁদনীঘাট ব্রিজের পাশের ফরেস্ট অফিস সড়কের সামনে রিকশাচালক ওই যুবককে ছেলেধরা সন্দেহ হলে স্থানীয় পথচারীরা গণপিটুনি দেয়। গণপিটুনির শিকার যুবকের নাম চন্দন পাল। সে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবির এলাকার কালিপদ পাল-এর ছেলে। খবর পেয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় ওই যুবককে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে জানান, সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন এলাকায় অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা কয়েক শ’ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক শ’ ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। বাসা ভাড়া নিতে যাওয়া ওই নারীকে ছেলেধরা বানিয়ে গুজব রটিয়ে যে বা যারা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্প্রতি দেশে কিছু চক্র গুজব সৃষ্টির মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করছে। তাই গুজবে কান না দিয়ে এধরনের কোনো ঘটনায় আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে নিকটস্থ থানায় অবহিত করার অনুরোধ জানান তিনি। এর আগে শনিবার দুপুরে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নে ওই নারীকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অজ্ঞাত পরিচয় ওই নারী প্রথমে তেঁতুলঝোড়া এলাকার জজ মিয়ার বাড়িতে বাড়ি ভাড়া নিতে যায়। সেখানে পছন্দমতো ঘর না পেয়ে পার্শ্ববর্তী ফারুক মিয়ার বাসায় যায়। বাসা দেখে বের হওয়ার সময় কে বা কারা তাকে ছেলেধরা বলে মারধর শুরু করে। এরপর আশেপাশের লোকজন বিষয়টি জেনে ঘটনাস্থলে আসে। একপর্যায়ে ওই নারীকে গণপিটুনি  দেয়।এদিকে হেমায়েতপুরে স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে এক ছাত্রীকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা  মেয়েটিকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী জামাল ক্লিনিকে ভর্তি করেন। গতকাল বিকাল ৫টার দিকে হেমায়েতপুর জয়নাবাড়ী বেপারিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে বর্তমানে ওই ছাত্রীর অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জামাল উদ্দিন। আহত ওই স্কুলছাত্রীর নাম ঝুমুর বেগম (১৫)। সে সাভারের হেমায়েতপুর জয়নাবাড়ী এলাকার নূর হোসেনের মেয়ে। কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি জানান, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে গোলাম কিবরিয়া মিন্টু (৩৩) নামে এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী জনতার গণপিটুনিতে নিহত হয়। গত শনিবার বিকালে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের শহীদ সিদ্দিক উল্যাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। দীর্ঘদিন থেকে ওই এলাকায় প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি হিসেবে মাদক বিক্রি করে আসছে বলে এলাকাবাসী জানান। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, শনিবার বিকাল ৪টার দিকে মাদক ব্যবসায়ী মিন্টুকে এলাকাবাসী গণপিটুনি দিয়ে আটক করে রাখে। সংবাদ পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতালে  নেয়ার পথে রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত মাদক ব্যবসায়ী মিন্টুর বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মাদকসহ ৭-৮টি মামলা রয়েছে। গত ১৬ দিন আগে সে জেল থেকে জামিনে মুক্তি পান। মিন্টু একই এলাকার ইমান আলী চৌকিদার বাড়ির ইসমাইল হোসেনের ছেলে। তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে  ছেলেধরা সন্দেহে এক পাগলকে গণপিটুনি দিয়ে গুরুতর আহত করেছে স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়নের মানিগাঁও গ্রামে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ১০টার দিকে এক ভারসাম্যহীন পাগল নদীর পাড়ে বসা ছিল। এ সময় মানিগাঁও গ্রামের কিছু যুবক  লোকটিকে ধরে মানিগাঁও চক বাজারে নিয়ে গিয়ে গলাকাটা গলাকাটা বলে চিৎকার শুরু করে। তাদের চিৎকার শুনে মুহূর্তের মধ্যে শত শত লোক জড়ো হয়ে লোকটিকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। এতে পাগলটি ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় কিছু লোক পাগলটিকে পার্শ্ববর্তী তোষা মিয়ার দোকানঘরে তালাবদ্ধ করে রেখে পুলিশকে খবর দেয়।স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে জানান, রাজশাহী অঞ্চলে ‘ছেলেধরা গুজব’ ছড়িয়ে পড়ছে। ছেলেধরা সন্দেহে গত দু’দিনে অন্তত ৪ জনকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয়রা। পুলিশের পক্ষ থেকে এই ধরনের ভিত্তিহীন গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। জনসচেতনতা সৃষ্টিতে রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলায় পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিংয়ের নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহিদুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার বিকালে রাজশাহীর তানোরে ছেলেধরা সন্দেহে দুই যুবককে গণপিটুনি দিয়ে প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়েছে গ্রামবাসী। এতে তারা আহত হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। কমলা ইউনিয়নের বহড়া ও কামারগাঁও ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে এই পৃথক দুইটি ঘটনা ঘটে। দুই যুবকের মধ্যে একজনের নাম মনোয়ারুল বলে জানা গেলেও আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায় নি। অপরদিকে, দুপুরে একই সন্দেহ উপজেলার কামারগাঁও ইউনিয়নের কচুয়া গ্রাম থেকে মনোয়ারুল নামে আরেক যুবককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে গ্রামবাসী। তবে পরে জানা যায় সে ছিঁচকে চোর। তাকে চুরির মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।শনিবার সকালে ছেলেধরা সন্দেহে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এক প্রতিবন্ধী নারীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে মহল্লাবাসী। গোদাগাড়ী পৌরসভার শ্রীমন্তপুর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ অবশ্য তাকে ছেড়ে দিয়েছে। এদিকে, পাবনার চাটমোহরে উপজেলার বনগ্রাম বাজার এলাকায় শনিবার দুপুরে ছেলেধরা সন্দেহে রাসেল রানা (৩২) নামে এক যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। আটক যুবক রাসেল ঈশ্বরদী উপজেলার আমবাগান এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের বনগ্রাম দীঘিপাড়া গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৪) বাড়ির সামনের রাস্তার পাশে বসে খেলছিল। এ সময় রাসেল রানা নামের ওই যুবক শিশুটিকে ডেকে চুইংগাম দেয়ার চেষ্টা করে। পরে রাসেলকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে খবর  দেয়া হয়।স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, ফতুল্লায় ছেলেধরা সন্দেহে পৃথক ঘটনায় এক ফুল ব্যবসায়ী ও এক নারীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। আহতরা হলো-ফুল ব্যবসায়ী রাসেল মিয়া (৪৫) ও শেফালী বেগম (২৩)। ঘটনাটি দুটি ঘটেছে শনিবার রাতে ফতুল্লার লাল খাঁ  ও রোববার সকালে ফতুল্লার তক্কারমাঠের বটতলায়। এরমধ্যে রাসেল মিয়া ঢাকার জুরাইন দারোগা বাড়ি রোডের নূর হোসেনের ছেলে। এবং শেপালী কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি থানার মো. আশরাফ চৌধুরীর স্ত্রী। পৃথক দুটি ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অপরদিকে শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় ফতুল্লার লাল খাঁ এলাকার ইবু মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া শাহজাহান গাজীর মেয়ে প্রিয়া (৬) দোকান থেকে বিস্কুট কিনে বাসায় ফেরার পথে রাসেল মিয়া তাকে হাত ধরে সঙ্গে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন কাছে আসলে রাসেল দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এতে ছেলেধরা সন্দেহে এলাকাবাসী রাসেলকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।তবে রাসেলের স্ত্রী নাসিমা রাত ১১টায় ফতুল্লা মডেল থানায় এসে তাকে শনাক্ত করেন। তিনি জানান, তার স্বামী বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে ফুল বিক্রি করেন। রাসেল ছেলেধরা নয়।ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, রাসেল সম্পর্কে তদন্ত চলছে। কালিহাতী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি জানান, কালিহাতীতে ছেলেধরা সন্দেহে এক যুবককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। গতকাল দুপুরে উপজেলার সয়া হাটে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। ওই ব্যক্তির নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, নওগাঁর মান্দায় ছেলেধরা সন্দেহে ৬ জেলেকে গণপিুটনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কুসম্বা ইউনিয়নের বুড়িদহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাদের সবারই বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলায়। মান্দা থানার ওসি মোজাফ্‌ফর হোসেন ও স্থানীয়রা জানান, পুকুরে ছোট মাছ ধরার জন্য পুকুর মালিক সনজিত ৬ জেলেকে মাছ ধরতে বলেন। চুক্তি ছিল পুকুর মালিক নিবেন মাছের ৭০ শতাংশ এবং জেলেরা ৩০ শতাংশ। সকাল থেকে ৬ জন জেলে পুকুরে মাছ ধরছিলেন। মাছ ধরার সময় জেলেরা তিনটি বড় মাছ গোপনে জালের মধ্যে লুকিয়ে রাখেন। পরে পুকুর মালিক বিষয়টি বুঝতে পারেন। সনজিত বস্তা দেখতে চাইলে জেলেরা দেখাতে রাজি হচ্ছিলেন না। এক সময় তারা দৌড় দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এতেই ঘটে বিপত্তি। পাড়ার লোকজন ছেলেধরা সন্দেহে চিৎকার দিয়ে তাদের ধরে গণপিটুনি দেয়। পরে থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। উদ্ধারকৃতরা হলেন- ছকিমুদ্দিনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৭), রফাত আলী মণ্ডলের ছেলে তাসলাম হোসেন (২৩), মৃত ভোলা মণ্ডলের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৮), মৃত মোবারক আকন্দের ছেলে আবদুল মজিদ আকন্দ, মৃত মনছের আলীর ছেলে আনিছুর রহমান (২৭) তাদের সবারই বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার খাগড়া গ্রামে এবং ফারাতপুর গ্রামে মৃত মন্টু মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (২৮)।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে