কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বৃটিশ তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান, উত্তেজনা তুঙ্গে

মানবজমিন প্রকাশিত: ২১ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গের অভিযোগে একটি বৃটিশ তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরানের রেভ্যুলুশনারি বাহিনী আইআরজিসি। শুক্রবার হরমুজ প্রণালী পার হওয়ার সময় ট্যাংকারটি আটক করা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।বৃটিশ ট্যাংকার আটকের বিষয়টি নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নিশ্চিত করেছে আইআরজিসি। এতে বলা হয়, হরমুজগান বন্দরের অনুরোধে হরমুজ প্রণালী দিয়ে পার হওয়ার সময় ওই বৃটিশ ট্যাংকারটি আটক করা হয়েছে। বাহিনীটি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান না দেখানোই আটকের প্রধান কারণ। এটিকে আটক করে ইরানে নিয়ে আসা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এর আইনি কার্যক্রম পরিচালনা করবে। আইআরজিসি আরো জানিয়েছে, তেল ট্যাংকারটি তিনটি আইন লঙ্ঘন করেছে। এটি আন্তর্জাতিক পানিসীমা থেকে ইরানের জলসীমায় ঢুকে পড়েছিল। ইরানি এলাকায় ঢুকে শনাক্তকরণ যন্ত্রপাতি বন্ধ করে রেখেছিল এবং আইআরজিসি’র পক্ষ থেকে বারবার সতর্ক করা হলেও তাতে তারা ভ্রুক্ষেপ করেনি।এদিকে, ইরানের জাহাজ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে এর মালিক স্টেনা বাল্ক বলেন, তার জাহাজকে ছোট নৌকা ও হেলিকপ্টারের সাহায্যে আটক করা হয়েছে। আটকের পর থেকে জাহাজের অভ্যন্তরে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এর লোকেশন সার্ভিস থেকে জানা গেছে, এটি সর্বশেষ হরমুজ প্রণালীর লারাক দ্বীপের কাছে অবস্থান করছিল। এই রুটটিকে পৃথিবীর সব থেকে সপর্শকাতর সমুদ্রপথ বলা হয়ে থাকে। আটকের সময় জাহাজে মোট ২৩ জন ক্রু অবস্থান করছিল বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে জাহাজ কোমপানিটি। জাহাজ আটকের পর বৃটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে তারা অতি দ্রুততার সঙ্গে জাহাজ আটকের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে। বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট হরমুজ প্রণালী থেকে আরেকটি তেল ট্যাংকার আটকের খবর দিয়ে বলেন, দু’টি ট্যাংকার আটকের ঘটনা ‘অগ্রহণযোগ্য’। তবে ইরানের সংশ্লিষ্ট সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে প্রেস টিভি জানিয়েছে, লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী ‘মাসদার’ নামের দ্বিতীয় বৃটিশ তেল ট্যাংকারটির কাগজপত্র ও গতিপথ পর্যালোচনা করে সেটিকে ছেড়ে দিয়েছে আইআরজিসি। বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট ইরানের এমন প্রতিক্রিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আমি দ্রুতই জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে আলোচনায় বসবো এবং আমাদের আটক হওয়া দুটি জাহাজের মুক্তির জন্য যা যা দরকার তাই করবো। এই ধরনের আটক কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এখনই নিশ্চিত হওয়া দরকার যে, এই অঞ্চলে সব ধরনের জাহাজ মুক্তভাবে চলাচল করতে পারবে। জেরেমি হান্ট সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইরান তার দেশের তেল ট্যাংকার ছেড়ে না দিলে তেহরানকে ‘কঠোর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। তবে তিনি সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। হান্ট বলেন, লন্ডন তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহার চেষ্টা করছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও