কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

‘জনগণকে নিয়ে গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে হবে’

মানবজমিন প্রকাশিত: ২১ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন দিয়ে নতুন নির্বাচন দিতে হবে। আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন নির্বাচনে জনগণের আস্থা নেই। শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজীর দেউড়ীস্থ নূর আহমদ সড়কে বিএনপি আয়োজিত বিভাগীয়  মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম উত্তর দক্ষিণ জেলা ও মহানগরীর উদ্যোগে এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে বারবার গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন খালেদা জিয়া। আওয়ামী লীগ বারবার গণতন্ত্র ধ্বংস করে স্বৈরাচারিভাবে দেশ চালাচ্ছে। তাই তারা গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। তিনি ছিলেন একজন গৃহবধূ। সেখান থেকে তিনি গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্বে এসেছেন। গণতন্ত্র ধবংসের চেষ্টার বিরুদ্ধে তিনি বার বার রুখে দাঁড়িয়েছেন। এজন্য তাকে কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। তিনি ১৬ মাস ধরে কারাগারে রয়েছেন। চরম একাকিত্বের মধ্যে রয়েছেন। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে ৩৬টি মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। এগুলো কোন মামলাই নয়, মিথ্যাভাবে সাজানো, শুধুমাত্র তাকে হয়রানি করার জন্য। আজকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া অসুস্থ। তিনি হাসপাতালে আছেন, ঠিকমতো চলতে পারেন না। ঠিকমতো খেতে পারেন না। সরকার তার চিকিৎসা সেবার জন্য ন্যূনতম ব্যবস্থাও গ্রহণ করছে না। আমরা বারবার দাবি করছি, তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে। কিন্তু তারা পরোয়া করছে না। মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তারা জনগণের ভোট চুরি-ডাকাতি করে, সমস্ত রাষ্ট্রীয় সংস্থা ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। তাদের সাথে জনগণের কোন সমপর্ক নেই। জনগণের কাছে তাদের কোন জবাবদিহিতা নেই। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, জনগণের নিরাপত্তা ও সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ক্রমেই ভেঙে পড়ছে। এমন একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে যেন মনে হচ্ছে দেশে একটা নৈরাজ্য চলছে। আদালতের ভেতরে গিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন এবং বিচার বিভাগে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার হজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হিসেবে সৌদি আরব গেছেন হজ করতে। উনি যদি হজ করতে চাইতেন, উনি বাদশাহর বিশেষ মেহমান হয়ে যেতে পারতেন। এই যে আত্মসম্মান বিবর্জিত ব্যক্তিদের নির্বাচন কমিশনের প্রধান করা হয়। যার ফলে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে এইভাবে দেখেছি। তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে কোথায় নিয়েছে তারই এটা একটা প্রমাণ। বন্যা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বন্যা নিয়ে সরকারের যে উদ্যোগ প্রয়োজন সেটা দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেখা যাচ্ছে না। সরকারের যে জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই, সেটা বোঝা যায়। সরকারের বন্যার ব্যাপারে উদাসীন এবং পাশে দাঁড়াচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশে দুদক চেয়ারম্যান, জেলার, পুলিশ, বিচারক সবকিছুই এখন শেখ হাসিনা। তিনি একাই দেশ চালাচ্ছেন। গয়েশ্বর বলেন, মশা মারতে পারে না, কিন্তু মানুষ মারতে পারে, এমন সরকারের কাছে খালেদার মুক্তি চেয়ে কী হবে? এটা অবৈধ সংসদ, ভেজাল সংসদ। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে চুরির মামলায় গ্রেপ্তার করা হবে। তাই তাঁর কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে লাভ নেই। খালেদাকে আইনি লড়াইয়ে মুক্তি দেয়া হবে না, এটা প্রমাণিত। তিনি বলেন, আমরা আর খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইব না। যারা তাঁর মুক্তির পথে বাধা দেবে, তাদের ক্ষমতা থেকে টেনে নামানো হবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, বিএনপিকে নিঃশেষ করা যাবে না। বিএনপি গণমানুষের দল। বিএনপি ধরনা দেয়ার দল না। তিনি বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলন চট্টগ্রাম থেকেই হবে। তাঁর মুক্তিতে সামনে কঠোর কর্মসূচি আসবে। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। মীর নাছির বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনি প্রক্রিয়ায় আর সম্ভব নয়। তাই তাকে কারামুক্ত করতে এখন কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আর সেই আন্দোলনের সূত্রপাত হবে চট্টগ্রাম থেকে।চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন। বেলা ২টা থেকে শুরু হওয়া সমাবেশে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, ওয়ার্ড ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে যোগ দেয়। বিকেল গড়াতেই সমাবেশস্থল লোকে-লোকরণ্য হয়ে উঠে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত