কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বেনাপোল এক্সপ্রেস-এর যাত্রা শুরু

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে ঢাকার বহু প্রতীক্ষিত সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালু হয়েছে। গতকাল ঢাকার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ট্রেনের উদ্বোধন করেন। বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্ত হন। এ সময় সেখানে যশোর-২ চৌগাছা-ঝিকরগাছার এমপি মেজর জেনারেল (অব.) ডা. অধ্যাপক নাসির উদ্দিন, রেলওয়ের মহাপরিচালক শামসুজ্জামান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জেল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জুসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বেনাপোল এক্সপ্রেসের উদ্বোধন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা-বেনাপোল রুট অনেক লম্বা। ঢাকা, টঙ্গী, টাঙ্গাইল, বঙ্গবন্ধু সেতু, সিরাজগঞ্জ, ঈশ্বরদী, পাবনা, ভেড়ামারা, পোড়াদহ, দর্শনা, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ হয়ে যশোর যেতে হয়। ট্রেনে যেতে হয় ৩৭০ কিলোমিটার। আমরা পদ্মা ব্রিজ করছি। পদ্মা ব্রিজে রেলসেতু দিচ্ছি। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে ফরিদপুরের ভাঙ্গাকে ফরিদপুর হয়ে যশোরের সঙ্গে লিঙ্ক করে দেবো। এতে যাত্রাপথের দূরত্ব কমে যাবে, সময়ও কমে যাবে। প্রধানমন্ত্রী এই রেল সার্ভিস বেনাপোল স্থল বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী ও বন্দরের কর্মকর্তাসহ এই অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতে বাড়তি সুবিধা যোগ করবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই রেল দেশের সম্পদ। একে রক্ষণাবেক্ষণ করা আপনাদের আমাদের সকলের দায়িত্ব। তিনি যশোরবাসীকে ধন্যবাদ জানান। উদ্বোধনের পর বেলা সোয়া একটায় ট্রেনটি বেনাপোল থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। তবে এই যাত্রায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক শামসুজ্জামানের নেতৃত্বে সরকারি কর্মকর্তারাই ছিলেন বেশি। বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ১০৪টি টিকিট বিক্রি হয়েছে বলে বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান জানিয়েছেন। ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে ট্রেনটির চালক ছিলেন বেনজীর আহমদ। বেনাপোল এক্সপ্রেসে রয়েছে নতুন ১২টি কোচ, তার মধ্যে দু’টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। প্রচলিত সুইং ডোরের পরিবর্তে এসব কোচে রয়েছে নিরাপদ স্লাইডিং দরজা। দেশের প্রথম প্রতিবন্ধী বান্ধব এই ট্রেনে প্রতিবন্ধী যাত্রীদের জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা রয়েছে।বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান পরিবহন তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ বলেন, ৮৯৬ আসনের এই ট্রেন প্রতিদিন বেনাপোল স্টেশন থেকে ছেড়ে যশোর, ঈশ্বরদী জংশন ও ঢাকা বিমানবন্দরে যাত্রী ওঠানো-নামানোর জন্য সাময়িক বিরতি দিয়ে শেষ গন্তব্যস্থল কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন। এ ট্রেনের শোভন চেয়ারের ভাড়া ৫৩৪ টাকা, তাপানুকূল চেয়ার ১০১৩ টাকা, তাপানুকূল প্রথম শ্রেণি ১২১৩ টাকা এবং তাপানুকূল বার্থ টিকেটের দাম রাখা হয়েছে ১৮৬৯ টাকা। শাহ নেওয়াজ আরো বলেন, নতুন এই ট্রেনে ঢাকা থেকে বেনাপোল যেতে সময় লাগবে আট ঘণ্টা। বেনাপোল থেকে দুপুর ১টায় ট্রেনটি ছাড়বে, ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ৯টায়। আবার রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ঢাকার কমলাপুর থেকে ছেড়ে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে বেনাপোল পৌঁছাবে। ট্রেনের যাত্রী নাভারনের মোখলেছুর রহমান, রুমেল সরদার ও বেনাপোল পৌর কাউন্সিলর মিজানুর রহমান বলেন, এটি একটি যুগান্তরকারী পদক্ষেপ। পরিবহনের (বাস) চেয়ে ট্রেনে যাতায়াত নিরাপদ ও আরামদায়ক। ট্রেনে যাতায়াত করতে সবাই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এই ট্রেনের উদ্বোধনী দিনের যাত্রী হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে। বেনাপোলের বিশিষ্ট সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান বলেন, ইতিহাসের সাক্ষী হতেই এই ট্রেনের যাত্রী হয়েছি।এদিকে বেলা ২টায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি যশোর জংশনে পৌঁছালে সেখানে রেল কর্তৃপক্ষ উদ্বোধনী ট্রেনের যাত্রীদের মিষ্টিমুখ করান। এই জংশনে ২৫ মিনিট যাত্রা বিরতি শেষে বেলা ২টা ২৫ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আজ উদ্বোধনী দিনে এই ট্রেনে যশোর জংশন থেকে কোনো টিকিট বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। এদিকে, দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালু হওয়ায় উল্লসিত যশোরসহ এ অঞ্চলের মানুষ। বিশেষ করে পাসপোর্ট যাত্রীদের নিরাপদ, আরামদায়ক ও স্বল্প সময়ে যাত্রার জন্য বেনাপোল এক্সপ্রেসকে নতুন দিগন্তের সূচনা মনে করছেন অনেকে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও