কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

এফডিসিতে কমছে সিনেমার শুটিং

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

এফডিসি’র মূল ফটকে কয়েক বছর আগেও প্রতিদিন উৎসুক জনতার ভিড় থাকতো চোখে পড়ার মতো। কারণ তখন এফডিসির প্রতিটি ফ্লোরে চলতো শুটিং। রাত-দিন শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকতেন তারকারা। প্রতিদিনই রূপালি পর্দার জনপ্রিয় নায়ক-নায়িকাকে এক ঝলক দেখার জন্য বিভিন্ন বয়সী উৎসুক জনতা ভিড় জমাতো। সেই দৃশ্য এখন বিলীন প্রায়। কারণ এফডিসিতে ক্রমশই কমছে সিনেমার শুটিং। বর্তমানে বেশির ভাগ সময় বিজ্ঞাপন কিংবা মিউজিক ভিডিও নির্মাণের জন্য ফ্লোরগুলো ভাড়া নেন নির্মাতারা। তাই সিনেমা তৈরির এই কারখানায় এখন সিনেমার শুটিং-বাতি খুবই কম জ্বলতে দেখা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এফডিসি’র এক নিরাপত্তা প্রহরী বলেন, এখন সিনেমার শুটিং খুবই কম হয়। যা হয় শাকিব খানের কয়েকটি ছবির। বাইরে থেকে লাইট, ক্যামেরা, ডাবিং, এডিটিংয়ের প্যাকেজ নিয়ে শুটিং করলে এফডিসি’র খরচের চেয়ে কম পড়ে বলে শুনেছি। এদিকে গত রোজার ঈদে শাকিব খান অভিনীত এবং প্রযোজিত ‘পাসওয়ার্ড’ ছবির বেশকিছু অংশের শুটিং হয়েছে এফডিসিতে। ছবিটি মুক্তির পর ব্যবসা সফলতাও পায়। এ ছবিটি পরিচালনা করেন মালেক আফসারী। এফডিসিতে শুটিং কমে যাওয়া প্রসঙ্গে দর্শকপ্রিয় এই চলচ্চিত্র নির্মাতা বলেন, একটা সময় রাত-দিন এফডিসিতে শুটিং করেছি আমরা। এখন তো এখানে ছয় মাসে দুই-তিনটির বেশি ছবির শুটিং হয় না। এখন এফডিসিতে ছোটপর্দার কাজ বেশি হয়। আর এফডিসিতে শুটিং খরচ বেশি। কিন্তু বর্তমানে বেশির ভাগ ছবিরই বাজেট থাকে কম। তাও মুক্তির পর টাকা ঠিকভাবে উঠে আসছে না। তাই বাধ্য হয়ে খরচ কমাতে চলচ্চিত্র নির্মাতারা অন্য জায়গায় শুটিং করছেন। তবে প্রযোজক  সমিতির নির্বাচন হওয়ার পর নতুন নেতৃত্ব এলে এফডিসি’র শুটিং লাইট, ক্যামেরা ডাবিং এর ভাড়ার বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে পারবেন। তখন হয়তো খরচ কমবে এবং এই সমস্যার সমাধানও হবে। গত কয়েক মাসের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ১০ থেকে ১৫ দিন মাত্র সিনেমার শুটিংয়ের বাতি জ্বলেছে এফডিসি’র ফ্লোরগুলোতে। আর বাকি দিনগুলোতে টেলিভিশন অনুষ্ঠান বা বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে দখল হয়ে যায় এফডিসি’র আঙিনা। গত বছর ‘পোড়ামন টু’ ও ‘দহন’ নামের দু’টি ছবি দর্শকরা বেশ পছন্দ করেন। এ ছবিগুলির নির্মাতা রায়হান রাফি। এফডিসিতে শুটিং করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এফডিসিতে শুটিং করতে আমার ভালোই লাগে। তবে কিছু অদ্ভুত নিয়ম কানুন আছে এখানে। যেমন সকাল ৮টার আগে ক্যামেরা নেয়া যাবে না। অফিস টাইম সকাল ৯টা থেকে ১২টার মধ্যে ক্যামেরা বুকিং দেওয়ার পর ক্যামেরা নিয়ে শুটিংয়ে যেতে পারবেন পরিচালক। আমার কথা হচ্ছে গল্প অনুযায়ী দৃশ্য যদি ভোর ছয়টার থাকে সে সময় আমি কীভাবে ক্যামেরা পাবো? আর রাতে নানান কারণে শুটিং শেষ করতে সময় লাগে। অনেক সময় সারারাতও লাগতে পারে। কিন্তু সারারাত শুটিং করলে আগেই ভাড়া দিতে হবে ফ্লোরের বা ক্যামেরার। আমার পয়েন্ট হচ্ছে, পরিচালক কাজ করতে গিয়ে বিপদে পড়লে বা কোনো ঝামেলায় পড়লে তখন সারারাত শুটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু আগে থেকে কীভাবে জানবেন যে, শুটিংয়ে সারারাত সময় লাগবে। আগে থেকে টাকা দিয়ে অতিরিক্ত সময়ের জন্য বুকিং কেন করবেন তিনি? আবার নিয়ম আছে লাইট এফডিসি থেকে নিলে বাইরে থেকে আলাদা কোনো লাইট ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি লাইটম্যানও ব্যবহার করা যাবে না। এ বিষয়গুলো শিথিল হওয়া দরকার। এসব কারণেই মূলত অনেক চলচ্চিত্র নির্মাতা এফডিসিতে শুটিং করতে ভয় পান। বিএফডিসিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) হিসেবে কয়েকদিন আগে দায়িত্ব  নিয়েছেন মো. আবদুল করিম। তিনি এ বিষয়ে বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে নানা বিষয়ে খবর নিচ্ছি। এফডিসির উন্নয়ন ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে যা যা পদক্ষেপ নেয়ার দরকার তা আমি নেবো।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও