কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

১০ বছরে হোঁচট খাইনি: প্রধানমন্ত্রী

মানবজমিন প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০১৯, ০৭:৫২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত রেখেছি। এই ১০ বছরে হোঁচট খাইনি কিংবা পিছিয়ে যাইনি,আবার হঠাৎ করে লাফও দিইনি। খুব স্থিরভাবে ধাপে ধাপে এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়তে চাই। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমরা সরকার গঠন করে যে জায়গাটাতে নিয়ে আসতে পেরেছি সেখানে মূল শক্তিটাই ছিল আমাদের দেশের জনগণ ও তাদের সমর্থন। যে কারণে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পেরেছে। তার জন্য সব থেকে বেশী প্রয়োজন সাংগঠনিকভাবে আমাদের দলকে শক্তিশালী করে জনমত সৃষ্টি করা। গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে আমির হোসেন আমু,তোফায়েল আহমেদ,আবুল মাল আবদুল মুহিত,এইচ টি ইমাম,সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম,মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, পীযূষ ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, উপ দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসেন, আমিরুল আলম মিলন, ইকবাল হোসেন অপু, এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওছার, মারুফা আক্তার পপিসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন,আমরা আমাদের একটা লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছি, কিন্তু উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যে স্বীকৃতি পেয়েছি সেটাকে আমাদের ধরে রাখা প্রয়োজন। এজন্য রাজনৈতিক শক্তিটা খুব বেশী প্রয়োজন, সংগঠন প্রয়োজন, জনগণের সমর্থন প্রয়োজন। আমি মনে করি, ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে ফিরে আসার পর এ পর্যন্ত যেভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয়েছে এবং আজকে বাংলাদেশে আমরা সরকার গঠন করে যে জায়গাটাতে নিয়ে আসতে পেরেছি সেখানে মূল শক্তিটাই ছিল আমাদের দেশের জনগণ ও তাদের সমর্থন এবং অবশ্যই মহান আল্লাহর একটা রহমত ছিল। তিনি আরও বলেন,সরকারে আসলে কি করব সব কিছু আমাদের একটা তৈরি করা ছিল বলেই কিন্তু আমরা সরকারে আসার পর পরে কাজগুলি করতে পেরেছি। আজকে আমরা যেখানে এসেছি সেখান থেকে দেশকে আগামী দিনে কোথায় নিয়ে যাব? কতটুকু করব, সে পরিকল্পনাও আমাদের আছে। সেটা আমরা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছি। সেই প্রস্তুতিটাও আমাদের নিতে হবে। সেই পথগুলো আমাদেরকে ধাপে ধাপে অতিক্রম করতে হবে। তার জন্য সব থেকে বেশী প্রয়োজন সাংগঠনিকভাবে আমাদের দলকে যেমন শক্তিশালী করা, জনমত সৃষ্টি করা পাশাপাশি আমাদের চিন্তা চেতনাগুলোকে সমন্বিত করে আমরা প্রতি পদক্ষেপ যেন সুষ্ঠুভাবে করে এগিয়ে যেতে পারি। আমাদের চলার পথে যত বাধাই আসুক অতিক্রম করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। চলমান অতিবৃষ্টিসহ দেশের জনগণের কল্যাণে সবকিছুর দিকে সরকারের পক্ষ থেকে দৃষ্টি রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এছাড়াও নেতাকর্মীদের আরও সজাগ ও সচেতন হওয়ার আহৃবান জানান তিনি। বিএনপি শাসনামলে বন্যায় মানুষ নিহতের ঘটনা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। এবিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কিন্তু মানুষকে অবহেলা করে রাষ্ট্র পরিচালনা করি না। আমরা মানুষের সুখ দুঃখের সাথী হয়ে মানুষের বিপদে তাদের পাশে দাঁড়ানো আর মানুষের কল্যাণে এবং উন্নয়নে কাজ করা-এই নীতি নিয়ে কাজ করি বলেই আজকে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা এটাই চাই। আমাদের এই রাজনৈতিক দল যে দল এ দেশের জনগণের কথা বলার মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছিল, যে দলঠিকে সুসংগঠিত করে জাতির পিতা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, সেই স্বাধীনতার সুফল প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাব। মানুষের জীবন মান উন্নত হবে, এই বাংলাদেশে একটি মানুষও দরিদ্র থাকবে না, বিনা চিকিৎসায় কষ্ট পাবে না, অশিক্ষার অন্ধকারে থাকবে না। এই দেশটা হবে সার্বিকভাবে একটা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ। হ্যাঁ, আমরা খুব বড় বড় উন্নত দেশের মত উন্নয়ন হয়তো করতে পারব না। কিন্তু প্রতিটি মানুষই তার জীবনটাকে অর্থবহ করবে, দারিদ্রের হাত থেকে তারা মুক্তি পাবে, তারা সুন্দরভাবে বাঁচতে পারবে। তাদের জীবনের যে লক্ষ্য তা পূরণ করতে পারে  অন্তত সেইভাবে আমাদের দেশটাকে গড়ে তুলতে চাই। ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সাংগঠনিকভাবে দলকে শক্তিশালী করা, জনমত সৃষ্টি করার উপর গুরুত্বারোপ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এজন্য দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের সক্রিয় হওয়ার তাগিদ দেন তিনি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত