কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সিলেট-আখাউড়া রেললাইন ব্রডগেজ হচ্ছে

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০১৯, ০০:০০

কুলাউড়া উপজেলার বরমচালে সংঘটিত ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আলহাজ মো. শাহাব উদ্দিন। বুধবার ২৬শে জুন দুপুরে পরিদর্শন শেষে তাৎক্ষণিক এক পথসভায় বক্তব্যে রেলমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা সরাসরি দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছি। ইতিমধ্যে দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত ওই কমিটি রিপোর্ট পেশ করবে। সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের এক লাখ টাকা এবং আহতদের ১০ হাজার টাকা করে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আরো সাহায্য দেয়া হবে। কিন্তু এসব দিলেও কী হবে? -অর্থ দিয়ে মৃত্যুর পরিপূরণ হয় না। কোনো দুর্ঘটনাই আমাদের কাম্য নয়। রেলের তো নয়ই। এমনকি কোনো অস্বাভাবিক মৃত্যুও কামনা করি না। যার পরিবারের লোক মারা যায় কেবল তারাই অনুভব করে, কী হারিয়েছে। এখানে এসে এবং আপনাদের দেখে বুঝলাম রেলের প্রতি আপনাদের কতটা আগ্রহ। প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের এই আগ্রহ অনুভব করতে পেরেই দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি রেলের উন্নয়ন করেছেন। আলাদা মন্ত্রণালয় করেছেন। ২০১৪ সালের পর রেলের এই দুর্ঘটনাটাই ভয়াবহ। বিগত দিনে এই রেলকে নিয়ে অনেক গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে। এই রেলকে কোম্পানিতে পরিণত করা হয়েছে। বিএনপি সরকারের আমলে রেলের কোনো উন্নয়ন হয়নি বরং লোকবল ছাঁটাই করা হয়েছে। রেলের উন্নয়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সিলেট আখাউড়া রেললাইন মিটার গেজের পাশাপাশি ব্রডগেজ লাইনে রূপান্তরিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী ১৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এই লাইনে সব ক’টি রেল ব্রিজ এবং ১৬টি আধুনিক রেলস্টেশন নির্মাণ করা হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আলহাজ মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, বৃটিশ আমলের এই রেলপথ সংস্কার ও আধুনিকায়ন দ্রুত প্রয়োজন। শিগগিরই রেলের দুর্ঘটনায় কারণ উদঘাটন করা হবে। এছাড়া সিলেট আখাউড়া রেল সেকশনের লাউয়াছড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে অনেক বন্যপ্রাণী মারা যায়। সেসব বন্য প্রাণী রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিসবাউর রহমানের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ আজিজুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম ও কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি এমএম শাহীন ও আবদুল মতিন, উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমান, সাবেক চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলাম প্রমুখ। পথসভা শেষে মন্ত্রী ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত কুলাউড়া পৌরসভার বাসিন্দা আবদুল বারীর স্ত্রী মনোয়ারা পারভীনের বাসায় যান। এ সময় নিহত মনোয়ারা পারভীনের দুই মেয়ে মন্ত্রীদ্বয়কে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের কান্নায় আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন মন্ত্রী নিজেও। এ সময় তারা শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানান এবং সরকারি সহায়তার এক লাখ টাকা নিহত মনোয়ারা পারভীনের মেয়ের হাতে তুলে দেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও