আপাতত ‘না’
চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা দীর্ঘদিন পর চলচ্চিত্রে ফিরেছেন। লম্বা বিরতির পর গত বছরের ডিসেম্বরে এফডিসিতে ‘জ্যাম’ ছবির বিশাল সেটে কাজ শুরু করেন তিনি। এ ছবির পাশাপাশি একই নির্মাতার ‘গাঙচিল’ ছবির কাজ শুরু করেন। দুটি ছবিই পরিচালনা করছেন নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল। ‘গাঙচিল’ ছবির বেশকিছু কাজ বাকি আছে বলে জানা যায়। সামনে ছবিটির শুটিং শুরু হবে। এ সময়ের কাজ প্রসঙ্গে পূর্ণিমা বলেন, কয়েকটি কাজের প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু আপাতত নতুন কোনো কাজ হাতে নিচ্ছি না। বিশেষ করে আসছে ঈদের জন্য বিশেষ কোনো টেলিছবি বা খণ্ড নাটকে কাজ করছি না। কারণ আমার মেয়ে আরশিয়ার স্কুল শুরু হয়েছে। মেয়েকে আমি নিজেই দেখাশুনা করি। তাই এখন তাকে নিয়েই ব্যস্ততা আমার। কোরবানি ঈদের পর ভালো গল্প পেলে হয়তো নতুন কাজ হাতে নেবো। প্রসঙ্গত, ‘জ্যাম’ ছবিটি প্রয়াত জনপ্রিয় নায়ক মান্নার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘কৃতাঞ্জলী কথাচিত্রের ব্যানারে নির্মাণ হচ্ছে। এ ছবির বিষয়ে পূর্ণিমা জানিয়েছেন এতে ভালো একটি গল্প রয়েছে। ফেরদৌস, আরিফিন শুভসহ অনেকে এ ছবিতে কাজ করছেন। ‘জ্যাম’ ছবিটি কোনো নায়ক বা নায়িকাকেন্দ্রিক না। পুরোটা গল্পনির্ভর ছবি। অন্যদিকে ‘গাঙচিল’ ছবিতে প্রধান চরিত্রে ফেরদৌস ও পূর্ণিমা অভিনয় করছেন। নোয়াখালীতে এ ছবির বেশকিছু অংশের কাজ হয়েছে। এ ছবিতে পূর্ণিমার চরিত্রের নাম মোহনা। নোয়াখালীর সুবর্ণচরের বাসিন্দাদের জীবনের নানা ঘটনা এই ছবির প্রধান বিষয়। এ অঞ্চলে এনজিওকর্মী হিসেবে দর্শকরা বড় পর্দায় তাকে দেখতে পাবেন। আর ফেরদৌস সাংবাদিক চরিত্রে অভিনয় করছেন। এ ছবিটি নিয়েও বেশ আশাবাদী পূর্ণিমা। এদিকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি দীর্ঘদিন পর আরটিভিতে প্রচার হওয়া তার উপস্থাপনায় ‘এবং পূর্ণিমা’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠান দর্শকরা বেশ পছন্দ করে। এরইমধ্যে এ অনুষ্ঠানটির সব পর্বের প্রচার শেষ হয়েছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া ‘কে হবে মাসুদ রানা’ শিরোনামের একটি রিয়েলিটি শোর বিচারক হিসেবেও কাজ করেছেন পূর্ণিমা। সামনে সিডিউল তৈরি হলে ‘জ্যাম’ ছবির বাকি কাজ এবং ‘গাঙচিল’ এর শুটিং নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন তিনি। এরপর গল্প, বাজেট সব মিললেই শুরু করবেন আবারো নতুন কোনো ছবির কাজ।
- ট্যাগ:
- বিনোদন
- ব্যক্তিগত মতামত
- নোয়াখালী