কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মোমিন ডিপ্লোম্যাসির বাজিমাত!রােহিঙ্গা প্রশ্নে সুর পাল্টাচ্ছে চীন

দৈনিক সিলেট প্রকাশিত: ২১ জুন ২০১৯, ০৮:৪৬

সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ: অবশেষে বহুল কাক্ষিত এবং প্রতীক্ষিত রােহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে চীনকে মায়ানমারের সাথে দ্যুতিয়ালি এবং কূটনৈতিক ভাবে কাজে সক্রিয় করার উদ্যোগ বাস্তবের আলাে দেখতে শুরু করেছে। রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আসার পর থেকে বাংলাদেশের দুই মিত্র ভারত এবং চীন শুরু থেকেই মায়ানমারকে চাপ প্রয়ােগে খুব একটা সম্মত ছিলােনা, বরং শরণার্থী সহায্য ও পূণর্বাসনে জাতিসংঘের সাথে তারাও সক্রিয় ছিলাে। বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মােমেন, দায়িত্ব নিয়েই ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,চীন, সৌদি আরব, ইউরােপিয় ইউনিয়ন, রাশিয়া যুক্তরাজ্যসহ সব কটা দেশের সাথে সমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে কূটনীতি চালুর উদ্যোগ নেন। এ কারনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মােমেন দায়িত্ব নিয়েই প্রথমে ভারত, পরে যথাক্রমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও এশিয়ায় দ্বিপাক্ষিক, রাষ্ট্রীয় সফর করেন। আব্দুল মােমেন তাম সফরে মোহিঙ্গা ইস্যুতে যেমন ভারত, মার্কিন যুদ্ধাই , রাশিয়ার সাহায্য চান, একই ভাবে চীন, ইইউ, সৌদি আরবেরও সাহায্য চান। সেই সাথে আব্দুল মােমেন বিশ্ব কূটনীতির আলােকে বাংলাদেশের কূটনীতি সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারাে সাথে বৈরিতা নয়, বরং অর্থনৈতিক কূটনীতির নয়া বার্তা বিশ্ব দরবারে দক্ষতার সাথে তোলে ধরেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মােমেনের এই নয়া অর্থনৈতিক সমান বহুত্বপূর্ণ অংশীদারিত্বের কূটনীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন, রাশিয়া, ইইউ, সৌদি আৱৰ সকলের কাছেই সমান গুরুত্ব পায়। ফলশ্রুতিতে চরম বৈরিতা ও বৈপিরিত্য সত্বেও মােমেন ডিপ্লোম্যালির ফলে রােহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মার্কিনীদের সিগন্যাল বাংলাদেশের সুরের সাথে পজেটিভভাবে ওয়াশিংটনের ওভাল অফিস থেকে যখন বার্তা জানিয়ে দেয়া হয়, মুহুর্তের মধ্যেও চীন-মার্কিন বাণিজ্যিক দ্বন্দ এবং হেয়াহু ইস্যুতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সত্বেও চীন দূতাবাস থেকে রােহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে স্পষ্ট বার্তা গণমাধ্যমসহ সকল ক্ষেত্রেই বার্তা পৌছে দেয়া হয়। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ইস্যুতে চীন-মার্কিন যখন বাংলাদেশের সাথে অনেকটাই একমত, ঠিক তখনি ভারত থেকেও সিগনাল মায়ানমারে চলে যায়। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে নয়াদিল্লিও ওয়াশিংটনের ওভাল অফিসের সাথে এবং বেইজি এর সাথে কাজ করতে উদ্যোগী। ইতােমধ্যেই ড. মােমেন তার মােক্ষম চালটি ছুড়ে মারেন। আন্তর্জাতিক পরিদর্শক দলকে জানিয়ে দেন, বাংলাদেশে কোন কাজ নেই, আপনারা মায়ানমার যান, ওদেরকে বুঝান। মােমেন এখানেই থামেননি। জাতিসংঘকেও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সরাসরি দোষারােপ করেন। আব্দুল মােমেনের এমন সিগন্যালে বেইজিং মায়ানমার ইস্যুতে বাংলাদেশের সাথে কাজ করার জন্য কারাে উদ্যোগী হয়ে উঠে। বেইজিং জানিয়ে দেয় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে ঢাকার সাথে বেয়েজিং মায়ানমারকে বঝোতে কাজ করবে এবং তার ফ্রেম ওয়ার্কও ঢাকাকে জানিয়ে দেয়। বেইজিং জানে, ড. মোমেন ওয়াশিংটনকে রোহিংগা ইস্যুতে ঢাকার সাথে কাজ করতে একমত করার ফলে ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লি প্রত্যাবাসন ইস্যুতে এক সাথে কাজ করলে চীনের জন্যে সেটা খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থা হবেনা। চীনকেকে এই পরিস্থিতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বুঝিয়েছেন। পুতিন ও রোহিংগা প্রত্যাবাসনে ঢাকার সাথে একমত। পুতিন ও শিংজিপি এখন মায়ানমারকে রােহিঙ্গাদেয় প্রত্যাবশনেকোজ শুরুর জন্য কূটনৈতিক দ্যুতিয়ালি করবেন। ইতোমধ্যেই ঢাকার চীনা দুত স্পষ্টতই চায়নার অবস্থান তুলে ধরেছেন। প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন চীন সফরে এ ব্যাপারে ব্যাপক আলােচনার পর দুই দেশ আরাে বেশি সমঝােতায় পৌছবে বলে কূটনৈতিক মহল মনে করছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও