কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রথম দিনেই সংসদে উত্তাপ

দৈনিক সিলেট প্রকাশিত: ১২ জুন ২০১৯, ০৭:৫৯

দৈনিকসিলেটডেস্ক:একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনের প্রথম দিনেই উত্তাপ ছড়ালেন বিএনপির দুই সংসদ সদস্য। আজ মঙ্গলবার রাতে সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে চাঁদ দেখা ও সংসদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় এই উত্তাপ ছড়ায়। এরমধ্যে বিএনপির সংরক্ষিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার বক্তব্যের জোরালো প্রতিবাদ জানায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা। পরে স্পিকার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রুমিন ফারহানার অসংসদীয় বক্তব্য এক্সপাঞ্চ করা হয়। মঙ্গলবার রাতে সংসদে যোগ দেওয়ার প্রথম দিনে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রুমিন ফারহানাকে দুই মিনিট শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেন স্পিকার। রুমিন ফারহানা বলেন, 'আজকে সংসদে আমার প্রথম দিন। যেকোনো রাজনীতিবিদের মতোই সংসদে আসা, সংসদে দেশের কথা, মানুষের কথা বলা আমার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য আমি এমন একটি সংসদে এসে প্রতিনিধিত্ব করছি যে সংসদটি জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়।' এ কথা বলতেই সরকারি দলের সদস্যরা তার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। দুই মিনিট সময়ের প্রথম কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সংসদকে অবৈধ বলায় 'হই হই' করতে থাকেন সরকারি দলের সদস্যরা। কেউ কেউ 'চুপ চুপ' বলে থামতে বলেন। কেউ বসে যেতে বলেন। রুমিন ফারজানা বলেন, 'নির্বাচনের পর পরই টিআইবির রিপোর্ট দেখেন। বিদেশি গণমাধ্যমের রিপোর্ট দেখেন, বিদেশি পর্যবেক্ষণ দেখেন, এছাড়া যদি ইসির রিপোর্ট দেখেন আপনারা দেখবেন এই সংসদটি জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। সুতরাং আমি খুশি হব, যদি এই সংসদের মেয়াদ একদিনও না বাড়ে।' রুমিন আরও বলেন, 'আমি এমন একটি সংসদে দাঁড়িয়ে কথা বলছি যে সংসদে তিন বারের প্রধানমন্ত্রী, আপোষহীন নেত্রী গণতন্ত্রের জন্য যিনি বার বার কারাবরণ করেছেন, জনমানুষের নেত্রী তিনি জীবনে কোনোদিন কোনো আসন থেকে কোনো নির্বাচনে পরাজিত হন নাই। সেই বেগম খালেদা জিয়া সংসদে নাই। তাকে পরিকল্পিতভাবে একটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলায় তাকে আজকে কারাগারে ১২ মাসের অধিক সময় আটকে রাখা হয়েছে।' তিনি আরও বলেন, 'একজন আইনজীবী হিসেবে দ্বার্থ্যহীন ভাষায় বলতে চাই খালেদা জিয়ার মামলার মেরিট, তার সামাজিক অবস্থান এবং তার বয়স জেন্ডার বিবেচনায় তিনি তাৎক্ষনিব জামিন লাভের যোগ্য।' এ সময় তিনি বলেন, 'সরকারের হুমকিতে তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারছেন না। এরপর মাইক বন্ধ হয়ে গেলে তিনি খালি গলায় বলেন আমাদের কথা বলতে দিতে হবে। কথা বলতে না দিলে সংসদে এসে কি লাভ? কথা বলতে না দেওয়া আপনাদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে।' পরে সুযোগ নিয়ে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন তার অসাংবিধানিক বক্তব্য এক্সপান্স করতে বলেন। এটা সংসদকে অবমাননা করা বলেও দাবি করেন তিনি। এ সময় স্পিকার বলেন, 'তার অংসদীয় বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করা হলো। তবে কোনটুকু তা উল্লেখ করা হয়নি।' এর আগে ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা নিয়ে বিভ্রাটের সমালোচনা করে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, 'বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হচ্ছে ইসলাম। ঈদের চাঁদ দেখা কমিটি রয়েছে। চাঁদ দেখা যায় সন্ধ্যার সময়। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী প্রথমে ঘোষণা দিলেন, কোথাও চাঁদ দেখা যায়নি, ঈদ হবে না। আবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ করেই আবার বলা হলো, চাঁদ দেখা গেছে, কাল ঈদ। এ নিয়ে জনমনে মারাত্মক ভোগান্তির সৃষ্টি করেছে। আর ধর্ম যার যার, উৎসব সবার- এ কথা যারা বলেন তাদের জ্ঞানের অভাব রয়েছে।' তিনি চাঁদ দেখা নিয়ে বিভ্রাটের জন্য ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করলে সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা তীব্র প্রতিবাদ জানান। হারুনুর রশিদ বলেন, 'ধর্ম প্রতিমন্ত্রী চাঁদ দেখা নিয়ে নাটক করেছেন উনি অবশ্যই পদত্যাগ করবেন। ধর্ম যার যার উৎসব সবার এটা সঠিক না।' হারুনুর রশিদকে উদ্দেশ করে জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান বলেন, 'তার কথা শুনে মনে হচ্ছিল ওয়াজ মাহফিলে বসেছি। কিন্তু ৭৫ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে দেশে মদ-জুয়ার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। জঙ্গীবাদ, বাংলা ভাই, শায়খ আবদুর রহমানদের তৎপরতা বিএনপি আমলে দেশবাসী দেখেছে। কিন্তু ঈদে চাঁদ দেখানো নিয়ে জনগণকে ভোগান্তি দেওয়া হয়েছে। আর রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বালিশের দাম নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় চলছে।' তিনি বলেন, 'ধর্মমন্ত্রী চাঁদ দেখা কমিটির প্রধান হিসেবে ঈদের আগের রাতেই ঈদের আনন্দ মেলার আয়োজন করেছেন। মানুষ বৃহস্পতিবার ঈদ জেনে নামাজ পড়ে ঘুমাতে গেছে। অনেকে রাত ১২টায় জেনেছেন কালকে ঈদ। আমাদের এই বিনোদনটা মন্ত্রী দিয়েছেন। এই বিনোদন দেওয়াটা সব কিছুই যদি প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে হয় পরে সারা দেশেই আলোচনা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী বিদেশ থেকে হস্তক্ষেপ করার পরে ঈদের তারিখ উল্লেখ করা হয়। ঈদের আগের রাতে মানুষকে ভোগান্তি দিয়েছে।' বালিশ বিষয়ে তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রীর সংসদে বিবৃতির দেওয়ার দাবি করেন। জাতীয় পার্টির ডা. রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, 'ছোট জিনিস বড় হয়। চাঁদ দেখা নিয়ে মন্ত্রী সঠিক সময় সঠিক ব্যাখা দিতে পারেন নাই। এ সময় তিনি বলেন ৯০ ভাগেরও বেশি ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ, তবুও বিক্রি হচ্ছে। আর চাঁদ দেখা নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তদের তড়িঘড়ি করা উচিত হয়নি।'

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও