কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

জয়ের স্মৃতিতে বর্ণিল সোফিয়া গার্ডেন

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৭ মে ২০১৯, ০০:০০

হোটেল থেকে কার্ডিফ সোফিয়া গার্ডেনের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। পথে বোঝা গেল না এই শহরে বিশ্বকাপের আয়োজন হচ্ছে। সবুজে ঘেরা সোফিয়া গার্ডেন ভেন্যুতে আসতেই প্রথম চোখে পড়লো বিশ্বকাপের আয়োজন। মাঠে প্রবেশের পথে বাংলাদেশের সংবাদিক পরিচয় দিতেই নিরাপত্তা কর্মীরা দেখিয়ে দিলেন এক্রিডিটেশন কার্ড কোথায় নিতে হবে। সেখানে যেতেই উপস্থিত মিডিয়া ভলেন্টিয়াররা স্বাগত জানালেন সংবাদ কর্মীদের। সেই সঙ্গে বলে উঠলেন,- ‘তোমরাতো টাইগারদের লাকি ভেন্যুতে আছো। আশা করি এখানে আবারো জিতবে। বিদেশের মাটিতে দেশের ক্রিকেট নিয়ে এমন মন্তব্য সত্যি আপ্লুত করে দেয়। সত্যি টাইগারদের লাকি ভেন্যু কার্ডিফ। এখানে ২০০৫-এ টাইগাররা প্রথমবারের মতো শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল। এরপর ২০১৭’র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুই প্রস্তুতি ম্যাচের ভেন্যু কার্ডিফই।  যার হাতধরে এখানে প্রথম অসাধারণ জয় এসেছে সেই মোহাম্মদ আশরাফুল জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন অনেক আগেই। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর যদিও অনেক চেষ্টা করেছিলেন দলে ফেরার। কিন্তু হয়নি। বর্তমানে তিনি কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে লন্ডনে আছেন। কার্ডিফের স্মৃতি নিয়ে কথা বলেছেন দৈনিক মানবজমিনের স্পোর্টস রিপোর্টার ইশতিয়াক পারভেজের সঙ্গে। সেই কথোপকথনের মূল অংশ তুল ধরা হলো-প্রশ্ন: কার্ডিফ আমাদের জন্য লাকি গ্রাউন্ড সেখানে আপনি বাংলাদেশের পারফরম্যান্স কেমন দেখতে চান?আশরাফুল: অবশ্যই কার্ডিফ আমাদের জন্য দারুণ স্মৃতির শহর। বলতে পারেন  সোফিয়া গার্ডেন ভেন্যু আমাদের জন্য ভীষণ সৌভাগ্যের। তারপরও খেলা হবে মাঠে। আর আমরা ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতে বেশ আত্মবিশ্বাসী আছি। আমি চাই প্রস্তুতি ম্যাচ দুটি থেকেই যেন বাংলাদেশ নিজেদের সেরাটা দিতে শুরু করে। কারণ এই দুটি ম্যাচ আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই আত্মবিশ্বাস আমাদের দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কাজে আসবে। আমরা চাই প্রথম তিনটি ম্যাচে যেন জয় দিয়ে শুরু করতে পারি।প্রশ্ন: ৯ দলের বিপক্ষে খেলা। বাংলাদেশ দল নিয়ে আপনার বিশ্বাস কতটা?আশরাফুল: অবশ্যই প্রতিটি দলই নিজেদের সেরা প্রস্তুতি নিয়ে এখানে এসেছে খেলতে। তবে অন্য দলগুলোর বিপক্ষে আমাদের জয়ের রেকর্ডও আছে। বিশেষ করে ওয়ানডেতে আমরা এখন যেকোনো দলের জন্য ভয়ের কারণ। এখন আমরা অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ডকে হারালে কেউ আর অঘটন বলে না। আশা করি আমরা গেল ৪ বছর ধরে যে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে যাচ্ছি তা অব্যাহত থাকবে। শেষ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছি। এছাড়াও ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আমরা সেমিফাইনাল খেলেছি। যদি তা ধরে রাখতে পারি অবশ্যই এবারও আমরা সেমিফাইনাল খেলতে পারবো।  সেখানে যেতে পারলে অবশ্য ফাইনাল খেলাও সম্ভব।প্রশ্ন: কার্ডিফে আপনার সুখস্মৃতি আছে তা নিয়ে যদি বলতেন?আশরাফুল: সত্যি কার্ডিফে আমাদের অনেক বড় সাফল্য। বিশেষ করে আমরা এখানেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছি। ঠিক সেই সময় যখন বাংলাদেশ দলের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছিল কেউ কেউ। সেই ম্যাচে আমার সেঞ্চুরিটা বলবো ক্যারিয়ারে এখনো সেরা। আমরা প্রথমবার অস্ট্রেলিয়াকে হারাই আর সেটাই ওদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে আমাদের শেষ জয়। সেই সময় ওরা ছিল বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী। এরপর এখানে আমরা নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছি। বলতে পারেন এই সবই আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর রসদ। ভালো হয়েছে এমন একটি স্মৃতিবিজড়িত শহরে আমাদের বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে। আশা করি এখান থেকেই আমাদের বিশ্বকাপের পথ চলা দারুণভাবে এগিয়ে যাবে। প্রশ্ন: আমাদের জন্য এই বিশ্বকাপে চ্যালেঞ্জ কি হতে পারে?আশরাফুল: আমি বলবো বোলারদের জন্য বেশ কঠিন হবে। দলের সব বোলারের প্রতি আমার অনুরোধ তারা যেন নিজেদের সেরাটা দিতে পারে। আমাদের ব্যাটিং লাইন ভালো। তাহলে তারা জয় এনে দিতে পারবে ব্যাট হাতে। প্রশ্ন: মাশরাফির শেষ বিশ্বকাপ নিয়ে কি বলবেন?আশরাফুল: এটা অবশ্যই আমাদের জন্য বেদনার। তার মতো একজন অধিনায়ক মাঠে থাকা মানে জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যায় বহুগুণ। হ্যা, বিশ্বকাপ এরপর  থেকে মিস করবে মাশরাফির মতো একজন ক্রিকেট যোদ্ধাকে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও