কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সৌভাগ্যের কার্ডিফে টাইগারদের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৬ মে ২০১৯, ০০:০০

লন্ডন থেকে কার্ডিফ পৌঁছাতে রাত দু’টা বেজে গেছে। রাস্তায় নেমে  মনে হলো যেন এক ভুতুড়ে শহর। দিনের বেলাতেও প্রায় একই অবস্থা। শহরে কথা বললেও মনে হয় ভীষণ শব্দ হচ্ছে। আর সেই শহরের নিরবতা ভাঙবে আজ টাইগারদের বিশ্বকাপের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ। পাকিস্তানের বিপক্ষে এ ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ মহড়া। কার্ডিফে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায় শুরু হবে খেলা। সরাসরি এ খেলা দেখাবে মাছরাঙা ও গাজী টিভি। যেখানে ব্যাটে বলের লড়াই দিয়ে শুরু হবে টাইগারদের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নের জাল বোনা। গতকাল দুপুরে বাংলাদেশ দল অনুশীলন করে কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন স্টেডিয়ামে। আর সংবাদ সম্মেলনে টাইগার অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, মূল লড়াইয়ে নামার আগে প্রস্তুতি ম্যাচ দুটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো খেললে তার প্রভাব পড়বে মূল আসরে দলীয় নৈপুণ্যেও। দুদিন আগে থেকেই অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছে টাইগাররা। প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের তুলনায় মাশরাফি বিন মুর্তজার বাংলাদেশ এখন বেশ ফুরফুরে। এখনো আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে ট্রফি জয়ের উৎসবের আমেজ মিইয়ে যায়নি। আর পাকিস্তান দল ইংল্যান্ডের মাটিতে ইংলিশদের বিপক্ষে একের পর এক হারে বিপন্ন। নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে তারা হেরেছে খুবই বাজেভাবে, তাও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। আর পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানটা উজ্জ্বল। শেষ চার ওয়ানডেতে জয়ের স্মৃতি টাইগারদের। তাই আজ প্রতিপক্ষের তুলনাতে আত্মবিশ্বাসী টাইগাররা। আর গতকাল বিষয়টি ওঠে মিরাজের সামনেও। মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, প্রস্তুতি ম্যাচ বলে ঢিলেমি ভাব দেখানোর সুযোগ নেই। ইংলিশ কন্ডিশন ও উইকেটের চরিত্র বুঝতে প্রস্তুতি ম্যাচ দুটি সাহায্য করবে। এখানে ভালো করলে দৃঢ় আত্মবিশ্বাস নিয়ে মূল লড়াইয়ে নামা যাবে। কাঁধের চোট কাটিয়ে উঠে গত দু’দিন অনুশীলনে বোলিং করেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দু’দিনের বোলিং অনুশীলন আশা দেখাচ্ছে তাকে ও বাংলাদেশ দলকে। এই অলরাউন্ডারের বিশ্বাস, বোলিং করতে পারবেন পাকিস্তানের বিপক্ষে আজকের প্রস্তুতি ম্যাচেই। আজকের এই প্রস্তুতি ম্যাচের আগে দলকে নিয়ে চলেছে নানা পরীক্ষা নীরিক্ষা। বিশেষ করে ইনজুরি আক্রান্ত, ফর্মহীন ক্রিকেটারদের নিয়ে। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে যারা সুযোগ পেয়েছেন তারাই নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন। বিশেষ করে সৌম্য সরকার। বাংলাদেশের প্রথম টুর্নামেন্টের ট্রফি জয়ের অন্যতম নায়ক তিনি। অপর টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাসকে নিয়ে চিন্তা ছিল। কিন্তু এক ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েই ফিফটি হাঁকিয়ে জানান দিয়েছেন নিজের রানে ফিরে আসার কথা। তরুণ মোসাদ্দেক হোসেন, আবু জায়েদ রাহী, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ মিঠুন, মোস্তাফিজুর রহমানরা প্রমাণ করেছেন নিজেদের। তরুণদের মধ্যে শুধু সাব্বির রহমানই কিছু করে দেখাতে পারেননি আয়ারল্যান্ডে। অন্যদিকে দলের সিনিয়র ক্রিকেটার সবাই সফল। তামিম ইকবাল, সহঅধিনায়ক সাকিব আল হাসান, অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদসহ সবাই দারুণভাবে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। আজ পাকিস্তানকে প্রস্তুতি ম্যাচে হারাতে পারলে দলের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। এতে সন্দেহ নেই। বাংলাদেশ দল আজ নিজেদের পারফরম্যান্সই নয় মাঠে নামবে সৌভাগ্যের কার্ডিফের সুখ স্মৃতি নিয়ে। এখানে ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল দল। গেল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডও এখানে টাইগারদের শিকার। তাই সৌভাগ্যের ভেন্যুতেই শুরু হোক টাইগারদের বিশ্বকাপ জয়ের যাত্রা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও