কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নগরীতে ‘বাস বে’ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ: ডিএনসিসি মেয়র

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৬ মে ২০১৯, ০০:০০

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, নগরীতে ‘বাস বে’ করা আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। নির্দিষ্ট বাস স্টপেজ মূল সড়ক থেকে যাতে একটু ভিতরে হয় সেই পরিকল্পনা নিয়ে আগাচ্ছি। কিন্তু ‘বাস বে’ করার জন্য কোনো জায়গা নেই। তবুও নিরাপদ সড়কের জন্য এটা আমাদের করতে হবে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম-বাংলাদেশ আয়োজিত ‘কতটা বাসযোগ্য ঢাকা মহানগরী’ শীর্ষক নগর সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।ডিএনসিসি মেয়র বলেন, নিরাপদ নগর, নিরাপদ সড়কের সঙ্গে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করাও এখন আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জিং। নগরবাসী এখন এ দাবি তুলছে। এটা সময়ের দাবি, এটা নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম। আর এ কাজ বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব নিয়ে সহযোগিতা করা দরকার। কিন্তু তা আমরা করছি না। এছাড়া ফুটপাথ দখলমুক্ত করাও নগরবাসীর অন্যতম একটি দাবি। তাদের উচ্ছেদ করা হলেও তারা পূনরায় দখল করে। তাদের নিয়ে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। তিনি বলেন, সমপ্রসারিত ঢাকায় যুক্ত হওয়া নতুন ১৮টি ওয়ার্ডকে সেন্ট্রাল ডাকটাইল সিস্টেমের আওতায় আনা হবে। এবং বর্তমান ঢাকাকেও সেন্ট্রাল ডাকটাইল সিস্টেমে আনা যায় কিনা তা আমরা ভাবছি। এছাড়া নগরীতে একটি ‘প্যারা ফায়ার বিগ্রেড’ করার পরিকল্পনা নিয়ে আগাচ্ছি। যাতে করে কোথাও কোনো দূর্ঘটনা ঘটলে অতিদ্রুত তারা সেবা দিতে পারে।আতিকুল ইসলাম বলেন, মশার গান এবং যানজট আমার খুবই অপছন্দের। আজ আমাকে মেয়র হয়ে সে চ্যালেঞ্জই নিতে হচ্ছে। রাজধানীর বিদ্যমান এসব সমস্যার সমাধানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এরপাশাপাশি শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন, খাল দখলমুক্ত করা, টেকসই আবর্জনা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরানোসহ বহুমুখি কার্যক্রম গ্রহণ করে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে নগরবাসী এর সুফল পাবে।মূল প্রবন্ধে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্লানার্স (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, একটি শহরের বাসযোগ্যতার মানদণ্ড যদি ১০০ পয়েন্ট হয়, তাহলে ঢাকা শহরে আছে ৩৮। এই সমস্যা থেকে উত্তীর্ণ হতে হবে। এ ক্ষেত্রে পরিকল্পিত নগর বিনির্মাণের লক্ষ্যের অভাব, নগর পরিকল্পনার অনুপস্থিতি, ঢাকাকে ঘিরে কেন্দ্রিভূত উন্নয়ন প্রবণতা, আন্তঃকর্তৃপক্ষ দায়িত্বের দ্বৈততা, দুর্বল উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম, পরিকল্পনা প্রণয়নে পরিকল্পনাবিদদের সুযোগের অভাব, সমন্বয়হীনতাসহ প্রভৃতি সমস্যা রয়েছে।পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, ঢাকা শহরে যেভাবে যানজট সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে, সেখানেও ক্রুটি রয়েছে। এভাবে যানজট সমস্যার সমাধান হবে না। বিশ্বের অনেক দেশের রাজধানী স্থানান্তর করা হয়েছে। বাংলাদেশে সেটা না করে সব কিছু ঢাকার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এভাবে একটি বাসযোগ্য নগরী গড়া যায় না।নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম-বাংলাদেশের সভাপতি অমিতোষ পালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মতিন আব্দুল্লাহর সঞ্চালনায় নগর সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত নগর সংলাপের আগে নগর বিশেষজ্ঞ ও সদস্যদের নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়। এ অনুষ্ঠানে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে ‘নিরাপদ নগর দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেন ডিএনসিসি মেয়র। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল লতিফ হেলালী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক তৌফিক আলী, তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও