কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

গোয়াইনঘাটে মুক্তিযোদ্ধার ভূমি আত্মসাতের চেষ্টা

মানবজমিন প্রকাশিত: ২১ মে ২০১৯, ০০:০০

সিলেটের গোয়াইনঘাটের পূর্ব জাফলংয়ে এক অসহায় মুক্তিযোদ্ধার খরিদা ৭৭ শতক ভূমি ভুয়া কাগজপত্রাদির বলে আত্মসাতের চেষ্টা করছে একটি চক্র। শুধু আত্মসাৎ চেষ্টাই নয় চক্রটি অসহায় এই মুক্তিযোদ্ধাকে ইতিপূর্বে এই ভূমির ব্যাপারে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাভোগ করিয়ে এলাকা ছাড়া করেছিল। প্রতিবাদ করায় ঐ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শেখ ফরিদকে নির্মমভাবে পিটিয়েছে চক্রটি। তার ওপরও আবার মিথ্যা মামলা দেয় ভূমিখেকো চক্রটি। দীর্ঘদিন পর অবশেষে বিষয়টি নিয়ে এলাকার সচেতন মহলের সহযোগিতায় অসহায় ঐ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার থানায় মামলা করলে সুরুজ আলী নামের এক আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। সরজমিনে পরিদর্শনকালে জানা যায়, গোয়াইনঘাট উপজেলার ৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের চৈলাখেল ৮ম খণ্ড গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদ। স্ত্রী, ৪ ছেলে ও ৩ মেয়ে নিয়ে তার অসহায় জীবন যাপন। নিজে পেশায় একজন শ্রমজীবী। টানাপড়েনের সংসারে জমানো টাকা দিয়ে ১৯৯৭ সালে এস.এ.দাগ নং-২৭৫, বি.এস.দাগ নং-৭৬৭, ৭৭১, ৭৭২, খতিয়ান নং-৫৯৬, জে.এল.নং- ৮৮, মোট ৭৭ শতক ভূমি বীরমুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদ গং খরিদ করেন একই গ্রামের লাল বানুর কাছ থেকে। উক্ত ভূমি ক্রয়ের পর হইতে শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদের পরিবারের লোকজন। এমতাবস্থায় উক্ত ভূমি হাল দাগ নং-৭৭৪, খতিয়ান নং-৫৯০ এর অন্তর্ভুক্ত দাবি করে ২০০২ সালে দখলের চেষ্টা চালান ভূমিখেকো নবাব আলী ও তার কন্যা শ্যামলা বেগমসহ কতিপয় চক্র, এবং বীরমুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদকে মিথ্যা মামলায় কারাভোগ করান। সেই থেকে তারা জায়গাটা তাদের বলে দখলের পাঁয়তারা চালিয়ে আসছে। অপরদিকে দাগ এবং খতিয়ানে মিল না থাকলেও ভূমিখেকো চক্রের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় কারাভোগসহ হয়রানির স্বীকার হওয়া মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদ ও তার পরিবার নির্যাতিত হয়ে আসছেন। ২০০৪ সালে উক্ত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ৪ সন্তান সাহেব আলী, শেখ ফরিদ, শুক্কুর আলী, আইয়ুব আলীরা ভূমিখেকো চক্রের সদস্য নবাব আলীর কাছ থেকে এস.এ.দাগ নং-৬১২, হাল নং-৮৮, খতিয়ান নং-৩০২, দাগ নং-৭৮৯ এর বাড়ি শ্রেণির ভূমি ১৫০ (একশত পঞ্চাশ) টাকার  স্ট্যাম্পে সাব কবালা সাড়ে ১৯ শতক ভূমি খরিদ করেন। পরবর্তীতে উক্ত ভূমি রেজিস্টারি মূলে হস্তান্তরের কথা থাকলেও চক্রটি তা না করে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে। এ ব্যাপারে কথা হলে ভূমি মালিক দাবিদার সুরুজ আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, উক্ত ভূমি তার বাবার খরিদা দাবি করলেও কোনো কাগজপত্রাদি প্রদর্শনে তিনি অস্বীকৃতি জানান। ক্ষতিগ্রস্ত মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদ, তার ছেলে শেখ ফরিদসহ অপরাপররা জানান, আমরা বৈধভাবে ভূমি ক্রয় করেও ভূমি খেকো চক্রটির দ্বারা নির্যাতিত হয়ে আসছি। শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে থাকা আমাদের ঐ ভূমি ভুয়া কাগজপত্রাদি প্রদর্শন এবং নারী নির্যাতন, ধর্ষণ মামলার হুমকি দিয়ে দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে কথা হলে গোয়াইনঘাট থানার এস.আই সুদীপ বড়ুয়া জানান, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের দায়েরকৃত মামলা তদন্তাধীন। নিয়মিত আসামি হিসাবে সুরুজ আলী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও