বিশ্বকাপের চেয়ে আইপিএল ভালো
২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। হারের পর দলীয় অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সের সে কী কান্না! সে দৃশ্য আজো ক্রিকেটভক্তদের চোখে ভাসে। বিশ্বকাপ নিয়ে এতো আবেগ ডি ভিলিয়ার্সের। অবসরের পর তিনিই কিনা বলছেন, আইপিএলের ধারে কাছেও নেই বিশ্বকাপ! গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে গুডবাই জানান প্রজন্মের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ডি ভিলিয়ার্স। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগগুলোতে নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন ‘মি. ৩৬০ ডিগ্রি’ খ্যাত এই ব্যাটসম্যান। বর্তমানে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে হয়ে আইপিএল মাতাচ্ছেন ডি ভিলিয়ার্স। গত শুক্রবার সংবাদমাধ্যম লাইভমিন্টের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ভিলিয়ার্স বলেন, ‘সত্যি বলতে আইপিএলের ধারেকাছে নেই কিছু। আমি জানি, আমি ভারতে আইপিএলে খেলতে ব্যস্ত, তাই এটা বলা সহজ। কিন্তু বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্ট খেলেছি আমি। নিজ অভিজ্ঞতা থেকে আমি মনে করি আইপিএল বিশ্বকাপের তুলনায় ভালো। এটা অসাধারণ একটি টুর্নামেন্ট। তবে এখন আমরা যে অবস্থানে আছি, প্রথম পাঁচ বছর এই অবস্থানে ছিল না।’ বিশ্বকাপের ফেভারিট কে? এমন প্রশ্নের জবাবে ডি ভিলিয়ার্স বলেন, ‘সত্যি বলতে বিশ্বকাপে কী ঘটতে যাচ্ছে আমি জানি না। আমি কাউকে ফেভারিটও বলতে পারছি না। ইংল্যান্ডের মাটিতে ২০১৩ সালে ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল। গত বছর জিতেছে পাকিস্তান। ইংল্যান্ড নিজেদের ঘরের মাঠে খেলবে। অস্ট্রেলিয়া ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলটা দারুণ। খারাপ সময় পার করলেও শ্রীলঙ্কা আইসিসির ইভেন্টে সবসময় ভালো খেলে। নিউজিল্যান্ডসহ অন্যদের কথাও বলতে হবে। কাজেই ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন।’ ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি হয়েও কখনো বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। বারবার সেমিফাইনালে হারায় তাদের ‘চোকার’ তকমা জুটেছে প্রোটিয়াদের। এবারও ফাইনালের আশা নিয়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমাচ্ছে তারা। প্রোটিয়াদের এবারের দলটির বোলিং বিভাগ বেশি শক্তিশালী মনে হচ্ছে ডি ভিলিয়ার্সের কাছে। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং লাইন-আপ শক্তিশালী। আমার মনে হয়, টুর্নামেন্টের অধিকাংশ ম্যাচে আমাদের বোলাররা প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট তুলে নেবে।’তবে ইনজুরির কারণে পেসার কাগিসো রাবাদ, ডেল স্টেইনের বিশ্বকাপ খেলা সংশয়ে। চোটে ভুগছেন লুঙ্গি এনগিডি ও এনরিক নরতিয়েও।
- ট্যাগ:
- খেলা
- বিশ্বকাপ
- এবি ডি ভিলিয়ার্স
- আইপিএল