কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সহিংসতার জেরে মালিতে সরকারের পদত্যাগ

মানবজমিন প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

জাতিগত সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ার পর মালিতে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সব সদস্য পদত্যাগ করেছে। বৃহস্পতিবার তারা প্রেসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গতমাসে দেশটিতে ভয়াবহ জাতিগত সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হয় ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ। এদের সবাই ফুলানি হার্ডার গোষ্ঠীর সদস্য। এর পর থেকেই মালিতে উত্তেজনা চলছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যত ব্যর্থ হয় দেশটির সরকার। ওই ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে অবশেষে প্রধানমন্ত্রী সোমেলু বোবেয়ে মায়গাসহ সরকারের সব সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দেন। প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বুবাকার কেইটা তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, শিগগিরই নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে। একইসঙ্গে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পরামর্শ করে নতুন সরকার গঠন করা হবে।  এর আগে, মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বুবাকের জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। এতে প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, জনগণের ক্ষোভের বিষয়ে তিনি অবগত আছেন। অন্যদিকে, সম্প্রতি পার্লামেন্টে এক ভোটে দেশটির এমপিরা সরকারের প্রতি তাদের অনাস্থার কথা জানান। তাদের অভিযোগ, সরকার সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে নিরস্ত্র বা পরাজিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত ২৩শে মার্চ স্থানীয় সময় ভোর ৪টায় দেশটির ওগোসাগোও এবং ওয়েলিনগারা গ্রামে বন্দুকধারীদের হামলায় দেশটির ফুলানি সমপ্রদায়ের ১৬০ জন নিহত হয়েছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঐতিহ্যবাহী ডগন শিকারিদের পোশাক পরে বন্দুকধারীরা গ্রাম দুটিতে হামলা চালান। মূলত সেখানকার ফুলানি সমপ্রদায়ের মুসলিম ধর্মের অনুসারী অধিবাসীদের বিদ্রোহী সন্দেহে প্রতিপক্ষ ভেবে এ হামলা চালিয়েছেন তারা। এ হামলার পরই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় দেশটির প্রধানমন্ত্রী সোমেলু বোবেয়ে মাইগা সরকারকে। ৩০শে মার্চ এ হামলার ঘটনায় পাঁচ সন্দেহভাজনকে আটক করে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। তবে, সামপ্রতিকসহ বিভিন্ন সময়ে দেশটিতে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায়ই নিতে হয়েছে এ সরকারকে। সমপ্রতি দেশটিতে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে অন্তঃদ্বন্দ্বের পাশাপাশি জঙ্গিগোষ্ঠীর সহিংসতা বেড়ে গেছে। জাতিগত এ দ্বন্দ্বের জেরেই আল-কায়েদা সমর্থিত জঙ্গিগোষ্ঠী এবং ইসলামিক স্টেট (আইএস) মালি এবং পার্শ্ববর্তী দেশ বুরকিনা ফাসো ও নাইজারে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে আসছে। ২০১৩ সাল থেকে দেশটিকে এসব জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে সহায়তা করছে ফ্রান্সের নিরাপত্তা বাহিনী। বর্তমানে আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে ফ্রান্সের প্রায় সাড়ে চার হাজার সেনা সদস্য রয়েছেন। পাশাপাশি সেখানে মোতায়েন রয়েছে মার্কিন সৈন্যও।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও