কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

শরণখোলায় শীত মৌসুমেও লোড সেডিং

আমাদের সময় প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:২২

বাংলা সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে বাংলাদেশের জনগণ যে সকল গ্রামীণ ও লোকজ ঐতিহ্যকে ধারণ এবং লালন করে তার মধ্যে লোক উৎসব, বৈশাখী মেলা, পিঠা উৎসব, নবান্য উৎসব, বৈশাখের পান্তা ইলিশ, লোক সংগীত, পল্লী গীতি, ভাটিয়ালী, ভাওয়াইয়া, মুর্শিদী, লালন গীতি, জারিসারি, কাবাডি, দাড়িয়া বান্ধা, বউছি খেলা, নৌকা বাইচ, ঘোড় দৌড় উল্লেখযোগ্য। তারই ধারাবাহিকতার সাথে তাল মিলিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ তাদের পূর্ব পুরুষদের ঐতিহ্য লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ নিয়ে তালবাহানা ও ভেলকিবাজিকে মনে প্রাণে ধরে রেখেছে এখনও। মনে হয় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ শরণখোলার সাধারণ জনগণের সঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে মশকারা করছে। এ যেন পল্লী বিদ্যুতের সাথে শরণখোলার জনগণের সম্পর্ক বৈমাত্রিক।সাধারণ জনগণ বছরের পর বছর ধরে পল্লী বিদ্যুতের এই তালাবাহান নিরবে সহ্য করে আসছে। লোড শেডিং এবং মিটারের অতিরিক্ত বিলসহ নানা হয়রানির প্রতিবাদ করার কোন মানুষ নেই শরণখোলায়! গরম মৌসুমে যে পরিমাণ লোড শেডিং শরণখোলার জনগণ নিরবে সহ্য করেছে। বর্তমানে শীত মৌসুমেও তার চেয়ে বেশি লোড শেডিং সহ নানা হয়রানি সহ্য করতে হচ্ছে শরণখোলাবাসীর।বাংলাদেশের সফল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা উন্নয়নের রূপকার শেখ হাসিনার সরকার সার্বিক উন্নয়নে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে একটি রোল মডেল হিসেবে পরিচয় করিয়েছে তারই ধারাবাহিকতা “বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়ন”। গ্রাম-গঞ্জ সহ অজোপাড়া গাঁয়ে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিয়েছে বর্তমান সরকার। সরকারের এই ধারাবাহিক উন্নয়নে মনে হচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ক্ষীপ্ত ও ঈর্শ্বান্বিত। আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে এবং সাধারণ জনগণের কাছে আওয়ামীলীগ সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে পল্লী বিদ্যুতের কিছু অসাধু কর্মকর্তা হয়তো বিদ্যুৎ নিয়ে এই তালাবাহানা করছে। শীত মৌসুমেও দিন-রাত ২৪ ঘন্টায় ৮/১০ বার বিদ্যুৎ থাকে না শরণখোলায়। একবার গেলে আর ফিরে আসার নাম নেই ! আসলে নামে মাত্র বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে শরণখোলার জনগণ। এই বিড়াম্বনার শেষ কোথায়? মেঘ দেখে কেউ করিস নে ভয়, আড়ালে তার সূর্য আছে প্রবাদটি সঠিক হলেও পল্লী বিদ্যুতের ক্ষেত্রে তা একে বারেই উল্টো। কারণ আকাশে মেঘ দেখলে কিংবা একটু বাতাস হলে এমনকি ঘন কুয়াশায়ও পল্লী বিদ্যুৎ ভয়ে কেঁপে উঠে। আবহাওয়ার সামান্য একটু পরিবর্তন হলে পল্লী বিদ্যুতের বৈদ্যুতিক পোস্ট ভেঙ্গে পড়ে, বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে লন্ড ভন্ড হয়ে যায়। এছাড়াও এলাকার প্রতিটি ট্রান্সমিটারে প্রতিদিন ৪/৫ বার ফিউজ ফল্ট করে। তা মেরামত করতে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ২/৩ ঘন্টারও বেশি সময় ক্ষেপন করে। বিদ্যুতের এই তালবাহানায় স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনার যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি ক্ষতি হচ্ছে বিদ্যুৎ নির্ভর সকল ব্যবসায়ীদের। এছাড়াও প্রত্যেক নামাজের সময় পল্লী বিদ্যুৎ লোড শেডিং এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলছে দীর্ঘ বছর ধরে। পল্লী বিদ্যুতের এই লোড শেডিং এবং ভেলকিবাজির কড়াল গ্রাস থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায় কি? সাধারণ জনগণের পক্ষে বিদ্যুতের এই অসহনীয় হয়রানির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে প্রতিবাদ করার মত কোন কর্তব্যক্তি কি শরণখোলায় নেই ?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও