কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে বিএনপি- ওবায়দুল কাদের

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভোটের রাজনীতিতে বিএনপি ক্রমেই আরও সংকুচিত হচ্ছে। দলটি এখন অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে এবং ভবিষ্যৎকে বিপন্ন মনে করে দলের নেতারা আবোল তাবোল বলছেন। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তাঁতী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস স্মরণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তাঁতী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শওকত আলীর সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই দল জাতির পিতার খুনের সঙ্গে জড়িত। জাতির পিতার কন্যা বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রামের কান্ডারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলা করে হত্যার চক্রান্ত করেছিলো। এই সত্য জনগণের বিবেকের আদালতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খুন আর হত্যার রাজনীতিতে বিএনপির হাত রক্তে রঞ্জিত। তারা বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে জাতির পিতাকে মুছে দেয়ার চেষ্টা কম করেনি। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে তারা যতই মুছে ফেলতে চেয়েছে ততই তারাই নিজেরা মুছে গেছে, সংকুচিত হয়েছে। যতোদিন সূর্য উঠবে ততোদিন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর নাম থাকবে। যারা ঘাতক, পৃথিবীর ইতিহাসে তাদের কারও স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। মীর জাফর, রায় দুর্লভ, জিয়াউর রহমান কারও স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। তারেক রহমান লন্ডনে বসে মিথ্যাচার করছেন জানিয়ে তিনি বলেন,জিয়াউর রহমান ১৫ই আগস্টের মাস্টারমাইন্ড, তারেক রহমান ২১শে আগস্টের মাস্টারমাইন্ড। আগস্ট মাসে সত্যের মুখোমুখি হলে তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়। বিএনপি নেতা তারেক রহমান টেমস নদীর তীরে বসে কাকে নাকি জাতীয়তাবাদী জাতির পিতা বানাচ্ছে। কে কী হবে সেটি সাধারণ মানুষ ঠিক করবে। তাদের এক নেতা টেমস নদীর পারে বসে অনেক কিছু বলেন। টেমস নদীর পারে বসে বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাসের মীমাংসিত বিষয় নিয়ে যারা মিথ্যাচার করে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুর ছবি দিয়ে রাজনীতির দোকান না খোলার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, অনেকেই বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙিয়ে, তার নাম ভাঙিয়ে রাজনীতির দোকান খুলে বসেছে। এমনকি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও সজিব ওয়াজেদ জয়ের ছবি দিয়ে দোকান খুলেছে। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নাম-ছবি ব্যবহার করে কোনো রাজনৈতিক দোকান খোলা যাবে না। ওবায়দুল কাদের উপস্থিত নেতাকর্মীদের যার যার কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যে যে পেশায় আছেন,তার জায়গায় সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করুন। ভালোভাবে কাজ করুন। তারপর রাজনীতি করুন। কেননা রাজনীতি কোনও পেশা নয়। কেউ বেকার থেকে রাজনীতি করলে মানুষ ভালোভাবে দেখে না। তাই কাজ করুন। আর জনসেবার জন্য রাজনীতি করুন। রাজনীতি কোনও পেশা না,জনসেবার কমিটমেন্ট। ওবায়দুল কাদের বলেন,বিশ্বের তিন জন সৎ নেতার একজন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু মারা গেলো,তার কোনও সম্পদ ছিল না। এটা তার সততা। আর বিএনপি দুর্নীতির জন্য গড়ে তুলেছিল হাওয়া ভবন। বঙ্গবন্ধু পরিবার থেকে শিক্ষা নাও। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার,মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম নিয়ে কাজ করে,বঙ্গবন্ধুর আরেক মেয়ে শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান সিদ্দিক ববি চাকরি করে। তাদের থেকে শিখতে হবে,কীভাবে নিজের কর্মসংস্থান করে তারপর মানুষের সেবায় রাজনীতি করতে হয়। বাংলাদেশের রাজনীতির সবচেয়ে সৎ পরিবার হচ্ছে বঙ্গবন্ধু পরিবার। রাজনীতিতে এসে টাকা-পয়সা অবৈধভাবে আয় করার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও