কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

তামিম না থাকলেও চাপ নেই সাদমানের

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

২০১৮ সালে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে ছিলেন না তামিম ইকবাল। মাঠে নেমেছিলেন ইমরুল কায়েস-সৌম্য সরকার জুটি। হতাশই করেছিলেন তারা। ইনজুরির আরো অবনতি হওয়ায় তামিম থাকতে পারেননি ঢাকা টেস্টেও। তার বিকল্প হিসাবে ওই ম্যাচে অভিষেক হয় ২২ বছরের তরুণ সাদমান ইসলাম অনিকের। অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসেই সাদমান খেলেন ৭৬ রানের ঝলমলে ইনিংস। এরপর চলতি বছরে নিউজিল্যান্ড সফরে খেলেছেন আরো দু’টি টেস্ট। তিন ম্যাচের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সাদমানকে ভাবা হচ্ছে আগামীর ‘তামিম’ হিসেবে। ছুটিতে থাকায় আগামী মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এক মাত্র টেস্টে তামিম ইকবাল খেলছেন না। তবে তার মতো অভিজ্ঞ ওপেনারকে সঙ্গী হিসেবে না পাওয়াটা চাপ হিসেবে দেখছেন না সাদমান। গতকাল দৈনিক মানবজমিনকে তিনি বলেন, ‘আসলে তামিম ভাইয়ের মতো ওপেনার পাশে থাকলে সহজ হয়। কিন্তু তিনি নেই বলে যে আমি চাপে আছি তা নয়। দেখুন, আমার টেস্ট অভিষেক ম্যাচেও তিনি ছিলেন না। আমাকে দলে সুযোগ দেয়া হয় একটা স্পেসিফিক কাজ করার জন্য। আমি সেটা চেষ্টা করেছি। ওপেনিংয়ে সঙ্গী হিসেবে যেই থাকুক, আমি আমার খেলাটাই খেলবো। যেটা দলের জন্য প্রয়োজন।’ অভিষেক টেস্টে ফিফটি হাঁকানো সাদমান পরের দুই টেস্টে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিলটন টেস্টের দুই ইনিংসে আউট হন ২৪ ও ৩৭ রান করে। এরপর ওয়েলিংটন টেস্টে তার ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ২৭ ও ২৯ রানের ইনিংস। সেট হয়ে আউট হয়েছেন প্রতিটি ম্যাচেই। চাপের কারণেই কি এমনটি হয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে সাদমান বলেন, ‘আসলে আমার চেষ্টার কোন ত্রুটি ছিল না। আমি জানি ইনিংসগুলো বড় করা যেতো। কিন্তু যেভাবে আউট হয়েছি তা আমার দুর্ভাগ্য। এমন না যে আমি ইচ্ছে করে আউট হয়েছি। তবে এটা নিয়ে আমি কাজ করেছি, নিজেকে প্রস্তুত করেছি যেন ইনিংসগুলো বড় করতে পারি। সামনে আরো সুযোগ আছে। নিজের কৌশলগত ভুলগুলো শুধারানোর চেষ্টা করছি। আশা করি ভাল কিছুই হবে।’ আফগানিস্তানের বিপক্ষ একমাত্র টেস্টে সাদমানের ওপেনিং সঙ্গী কে হবেন- সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস নাকি লিটন কুমার দাস? সাদমানের ব্যক্তিগত কোনো পছন্দ নেই। তিনি বলেন, ‘আসলে এটি নির্বাচকদের ব্যাপার। যদি আমি ভাবতে শুরু করি অমুক হলে ভালো হবে আর তমুক হলে খারাপ হবে, তাহলে কোনো কাজ হবে না। যেই আসুক তার সঙ্গে আমার কাজ হবে দলকে ভালো একটা শুরু এনে দেয়া। সেই কাজটি করতে পারলেই আমি খুশি।’ আফগানদের বিপক্ষে অন্যতম চ্যালেঞ্জ তাদের অধিনায়ক রশিদ খান। বর্তমান বিশ্বের সেরা লেগ স্পিনার তিনি। তাকে সামলাতে বিশ্বের বড় বড় ব্যাটসম্যানরাও আলদাভাবে প্রস্ততি নেন। সাদমানও রশিদকে নিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ইউটিউবে রশিদ খানের ভিডিও দেখেছি। যাতে একটু প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারি। তার বোলিং স্টাইলটা কেমন, সে কীভাবে ব্যাটসম্যানদের পরাভূত করে এসবই দেখে রাখছি। হ্যা, ইউটিউবে তার ভিডিওগুলো থাকার কারণে ব্যাপারটা সহজ হয়েছে।’ তবে রশিদকে নিয়ে প্রস্তুতি নিলেও ভয়ে বা চাপে নেই এই তরুণ ক্রিকেটার। সাদমান বলেন, ‘হ্যা, প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি বলে যে তাকে ভয় পাচ্ছি বা চাপে আছি এমন নয়। প্রতিপক্ষের দুর্বলতা জেনে রাখা ভালো।’ জাতীয় দলের নয়া কোচ রাসেল ডমিঙ্গো সাদমানদের নিয়ে পুরোদমে ক্লাস শুরু করেছেন। নয়া কোচের কাছ থেকে আলাদা কোনো বার্তা পয়েছেন? সাদমান বলেন, না, তিনি কাজ করছেন, তবে আলাদাভাবে এখনো কারো সঙ্গে কথা বলেননি। আমার সঙ্গেও খুব একটা কথা হয়নি। মাত্র তো শুরু! দেখি কী হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও