রোহিঙ্গা আগমনের দু’বছর পূর্ণ হলো আজ
রোহিঙ্গা আগমনের দুই বছর পূর্ণ হলো আজ। মিয়ানমারের আরাকানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সেদেশের সেনারা হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে জীবন বাঁচাতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে আশ্রয় নিয়েছিল ২০১৭ সালের ২৫শে আগস্ট। আজকের দিনটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে রোহিঙ্গারা। এবারো দিবসটি পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রোহিঙ্গারা। জানা যায়, মিয়ানমারের রাখাইনে ২০১৭ সালের ২৫শে আগস্ট নির্বিচারে সাধারণ রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যা করে। এ দিবসটিকে গণহত্যা (জেনোসাইড) দিবস হিসেবে উল্লেখ করে গত বছর থেকে পালনের ঘোষণা দেয়। এবছরও দিবসটি পালনের জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ফেস্টুন, ব্যানার ও টি- শার্ট নিয়ে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে মিছিল এবং আলোচনা সভা করার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি) এর কাছ থেকে মৌখিক ও লিখিত অনুমতি পত্র নিয়েছে রোহিঙ্গারা। গত বছর রোহিঙ্গা কোয়ালিশন (রোহিঙ্গা মুক্ত কর মোর্চা) নামের একটি সংগঠন একটি ঘোষণাপত্র উল্লেখ করে যে ৮০ দশকে মিয়ানমারের উত্তর প্রদেশ রাখাইনে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গা নাগরিকদের নাগরিকত্ব বাতিল করে নিপীড়ন চালিয়ে আসছে মিয়ানমার সরকার। নানা অজুহাতে ২০১৬ সালের ৯ই অক্টোবরের পর ২০১৭ সালের ২৫শে আগস্ট রাতে রোহিঙ্গাদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন শুরু হয়। এরপর থেকে দিনের পর দিন হত্যা, ধর্ষণ ও আগুনে পুড়িয়ে মারাসহ গণহত্যা শুরু করে। এবিষয়ে জানতে চাইলে রোহিঙ্গা নেতা ও শালবাগান এ-ব্লকের মাঝি মো. জাকারিয়া জানান, ‘মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা ও উগ্রপন্থি মগরা নির্বিচারে গুলি করে আমাদের মা, বাবা ও ভাই-বোনদের হত্যা করেছে। আমাদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে ভিটে ছাড়া করেছে। তাই ২৫শে আগস্ট দিনটি রোহিঙ্গাদের মনে কালো অধ্যায় হিসেবে গণ্য করি। ইতিমধ্যে ক্যাম্প ইনচার্জ থেকে অনুমতি পত্র পেয়েছি’। শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জ মো. খালেদ হোসেন এ বিষয়ে জানান, ২৫শে আগস্ট উপলক্ষে রোহিঙ্গা নেতাদের (মাঝি) আবেদনের প্রেক্ষিতে শর্ত সাপেক্ষে অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। শুধুমাত্র ক্যাম্পের ভেতর এই কর্মসূচি পালন করা যাবে। টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে টেকনাফের সকল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
- ট্যাগ:
- অন্যান্য সংবাদ