রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুভাবনা নিয়ে বিশ্ববীণার আয়োজনে শিল্পকলায় দুই বাংলার মিলনমেলা
মানুষের জীবনের দুটি সত্যের একটি হচ্ছে মৃত্যু। আর এ মুহূর্তে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যেও এই মৃত্যু নিয়ে অনেক বেশি চিন্তা। কারণ প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো এলাকা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত মানুষের মৃত্যুর খবর আসছে। আর মৃত্যুকে জয় করার চিন্তা সকলেরই। ঠিক এ সময় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু ভাবনা নিয়ে আবৃত্তি ও সংগীতানুষ্ঠান আয়োজন সত্যিকার অর্থেই বড় রকমের প্রাসঙ্গিকতা বহন করছে। সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্তের এ বক্তব্য যেন জীবনের জয়গানে মুখর করে তোলে মিলনায়তনে উপস্থিত হাজারো দর্শককে। কবিগুরুর ৭৮তম প্রয়াণ দিবসের আয়োজনে বিশ্ববীণার উপজীব্য বিষয় ছিল ‘কবিগুরুর মৃত্যু ভাবনা’। এই আয়োজন ঘিরে সম্প্রতি দুই বংলার মিলনমেলা বসেছিল শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে। ঢাকার বিশ্ববীণার আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের আবৃত্তি নন্দনের শিল্পীবৃন্দ এতে অংশ নেয়। তিন ঘন্টার এই আয়োজনে প্রায় অর্ধশত শিল্পীর একক, দলগত আবৃত্তি ও দলীয় সংগীত পরিবশনা মুগ্ধতা ছড়ায় শিল্পকলায়। শুরুতেই বিশ্ববীণার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক খন্দকার খায়রুজ্জামান কাইয়ুমের স্বাগত বক্তব্য। এরপর সংস্থার সভাপতি ডা. রিয়াজ মোবারক আমন্ত্রিত তিন অতিথি ঢাকার ইতিহাস ও সংস্কৃতি চর্চা প্রতিষ্ঠান ‘ঢাকা কেন্দ্র’র সভপাতি আজিম বখশ, সিনিয়র সাংবাদিক ও গবেষক অজয় দাশগুপ্ত এবং পশ্চিমবঙ্গের বাচিক শিল্পী অলক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উত্তরীয় ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। অতিথিদের স্বাগত বক্তব্যের পর মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তিন পর্বে বিভক্ত অনুষ্ঠান।