কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বদরগঞ্জে কনজিউমার কো-অপারেটিভের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

রংপুরের বদরগঞ্জে কেবিএস (কনজিউমার কোঅপারেটিভ সোসাইটি লি.) নামে একটি হায় হায় কোম্পানির আবির্ভাব ঘটেছে। এক বছরের মধ্যে ওই সংগঠনটি সদস্যদের মাঝে পণ্য সরবরাহের প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গতকাল ওই সংগঠন কর্তৃক প্রতারিত তিন নারী সদস্য এমনই তথ্য তুলে ধরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে উপজেলা সমবায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শামছুন্নাহার বেগম জানিয়েছেন- বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বিএনপি নেতা অহিদুল হক বছর খানেক আগে নাগেরহাটে ওই সংগঠনের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে সদস্য সংগ্রহ শুরু করেন। তার ওই কাজ সহজ করতে তিনি নিয়োগ দেন অর্ধশতাধিক মাঠকর্মী। আর অফিস সামলাতে নিয়মিত বসেন একজন ম্যানেজার। এসব কর্মী ও ম্যানেজারের কাছ থেকেও আদায় করা হয় মোটা অঙ্কের জামানত। কর্মীরা মাঠে মাঠে গিয়ে সদস্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেন। প্রথমেই তারা ৫০ টাকা করে নিয়ে সদস্য ভর্তি করান। আর এসব সদস্যকে ইলেকট্রনিক সামগ্রীসহ আসবাবপত্র সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দেন। ওই সংগঠনের প্রতি লোকজনের আকর্ষণ বাড়াতে প্রথমে কয়েকজনকে উচ্চমূল্যের কয়েকটি ইলেকট্রনিক সামগ্রী ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রদান করেন। এরপর থেকে ওই সংগঠনকে সদস্য সংগ্রহ করতে খুব একটা পরিশ্রম করতে হয় না। গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলো ওই সংগঠনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে হুমড়ি খেয়ে সদস্য হন। বর্তমানে ওই সংগঠনের সদস্য সংখ্যা ১২০০। কিন্তু মাস ছ’য়েক যেতে না যেতেই তাদের ভুল ভেঙে যায়। সদস্যরা অনেক আবেদন-নিবেদন করেও তাদের কাঙ্ক্ষিত পণ্য পাননি। এক পর্যায়ে মাঠকর্মীরাও এলাকায় ঘোরাফেরা বন্ধ করে দেন। এ অবস্থায় ভুক্তভোগিরা তাদের সঞ্চিত অর্থ ফেরত দেয়ার জন্য সংগঠনের মালিক অহিদুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন। কিন্তু তিনিও আজ-কাল করে সময় কাটাতে থাকেন। এ অবস্থায় উপজেলার কালুপাড়া ইউনিয়নের লালদীঘি এলাকার মধ্যপাড়ার তিন নারী সদস্য ফারজেনা বেগম, মমতাজ বেগম ও রাহেনা বেগম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তারা বলেন, আমরা সরল বিশ্বাসে ওই সংগঠনের সদস্য হয়ে অর্থ জমা করেছি। কিন্তু সংগঠনটি যে প্রতারকের আখড়া তা জানা ছিল না। তারা (ভুক্তভোগীরা) বলেন, আমরা অনেক কষ্টে ওই অর্থ জমা করেছি শুধুমাত্র পণ্য কেনার আশায়। কিন্তু পণ্য দেয়া তো দূরের কথা সঞ্চিত অর্থও ফেরত পাচ্ছি না।এবিষয়ে সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে কেবিএসের কর্ণধার ও বিএনপি নেতা অহিদুল হক বলেন, আমি এখন ঢাকায় অবস্থান করছি। আগামী শুক্রবার এলাকায় ফিরেই সদস্যদের সঞ্চিত অর্থ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরিশোধ করব। এর বেশি বলতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নবীরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সমবায় অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে।এদিকে সমবায় অধিদপ্তরে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা কর্মকর্তা শামছুন্নাহার বেগম বলেন, ওই সংগঠনের কোনো রেজিস্ট্রেশন নেই। এছাড়া ওই সংগঠন যে ধরনের কার্যক্রম চালাচ্ছে তা পুরোপুরি বেআইনি। তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও