কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

‘এই ট্রেন্ডটা বন্ধ হওয়া দরকার’

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৬ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

বিশ্বকাপের কারণে গত ঈদে আমার অভিনীত অর্ধেক নাটক শুটিংয়ের পরও প্রচার হয়নি। অনেক নির্মাতার এসব কাজ স্টক হয়ে আছে। আর আসছে কোরবানির ঈদে এ নাটকগুলো প্রচারে আসবে। অন্যদিকে গত দুই মাস ধরে আসছে ঈদকে ঘিরে আরো বেশকিছু নাটকে কাজ করছি। সকাল আহমেদ, সাগর জাহান, মাসুদ সেজান, ইফতেখার আহমেদ ফাহমিসহ বেশ কয়েকজন নির্মাতার পাঁচটি সাত পর্বের ঈদ ধারাবাহিক ও একক নাটকে অভিনয় করেছি এবার। তাই সবমিলে বেশকিছু নাটক এবার ছোট পর্দায় প্রচার হবে। এবার যে কাজগুলো করেছি সেগুলোতে এন্টারটেইনিং স্টোরির পাশাপাশি সিরিয়াস গল্পও আছে-কথাগুলো বলছিলেন ছোট ও বড় পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ঈদের নাটক নিয়ে তিনি আরো বলেন, পারিবারিক গল্প অর্থাৎ একটি পরিবারের সত্যিকারের সমস্যার গল্পে দর্শকরা আমাকে এবার দেখতে পাবেন। মধ্যে তো সিরিয়াস গল্প থেকে আমরা দূরে সরে গিয়েছিলাম। কিছুদিন আগে হাসির নাটকের নামে ভাঁড়ামি এত বেশি মাত্রায় হয়েছিল যা নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়েছে। তবে এবার অনেকেই সচেতন হয়ে গেছে। এবার সিরিয়াস নাটকের গল্প বেশি পেয়েছি। ১০০টির মতো নাটকের স্ক্রিপ্ট পেয়েছি। সেখান থেকে হয়তো সর্বোচ্চ ২০টি নাটকে আমি কাজ করতে পারবো। অনেক নাটকের গল্প ভালো থাকলেও সময় স্বল্পতার কারণে করতে পারিনি। পেশাগত জায়গা থেকে বেছে সব সময় কাজ করেন চঞ্চল চৌধুরী। শুটিং করার আগে নাটকের স্ক্রিপ্ট কতদিন আগে হাতে পান জানতে চাইলে অনেকটা অভিযোগের সুরে তিনি বলেন, বেশিরভাগ নির্মাতা শুটিংয়ের আগের দিন স্ক্রিপ্ট হাতে দেন। আমি তো একজনকে কয়েকদিন আগে অনেকটা রাগের স্বরে বলেছি যে, কি শুরু করেছেন আপনারা? একজন আর্টিস্টের তো চরিত্রটি নিয়ে প্রস্তুতির জন্য সময় দিতে হবে। আর স্ক্রিপ্ট পড়ে গল্প ও চরিত্রটা তো আমাকে জানতে হবে। এরপর তো শুটিং শিডিউলের বিষয়। অনেকে তো আবার স্পটে গিয়ে স্ক্রিপ্ট হাতে দেয়। আরেকটা ব্যাপার লক্ষ্য করছি আমি। সেটা হচ্ছে কেউ কেউ মেইলে স্ক্রিপ্ট পাঠায়। যা অনেক সময় পড়তে খুব ঝামেলা হয়। আগে তো শুটিংয়ের আগে পরিচালকের সহকারী স্ক্রিপ্ট প্রিন্ট করে বাসার ঠিকানায় দিয়ে যেত। চঞ্চল চৌধুরী আরো বলেন, এবার একটু আগে থেকেই প্ল্যানিং ছিল যে, কোনো কো-আর্টিস্ট আমার পছন্দ না হলে আমি কাজ করবো না। তথাকথিত কোনো স্টারের বিপরীতে কাজ করতে চাই না। অনেক সময় দেখে আসছি বিভিন্নভাবে চ্যানেল, প্রযোজক বা এজেন্সি কাস্টিং ফিক্সড করে দিচ্ছে। যাকে তাকে অভিনয়শিল্পী বানিয়ে দিলে তো আর হবে না। নতুনদের ব্রেক অবশ্যই প্রয়োজন। তবে অভিনয়টা জেনে আস্তে আস্তে তো প্রধান চরিত্রে কাজ করে শিল্পী হতে হবে। শিল্পের সঙ্গে চালাকি করলে আমাদের এই শিল্প কখনোই টিকবে না। আর একটা সময় শুটিংয়ের আগে স্ক্রিপ্ট লেখা হতো। এখন একজন নির্মাতাকে এজেন্সি বা চ্যানেল থেকে নাটকের জন্য বলে দেয়া হচ্ছে যে এই এই আর্টিস্ট লাগবে নিয়ে আসেন। এর ফলে কাস্টিং ডেট লক করে স্ক্রিপ্ট লেখা হচ্ছে। এই ট্রেন্ডটা বন্ধ হওয়া দরকার। তবে নতুন অনেক নির্মাতা কাজ করতে আসছে যারা স্ক্রিপ্ট আগে দিচ্ছে। কিন্তু পুরানো নির্মাতাদের এখনো স্ক্রিপ্টের বিষয়ে উদাসীনতা দেখছি। ছোট পর্দার বাইরে ‘রূপকথার গল্প’, ‘মনপুরা’, ‘আয়নাবাজি’, ‘দেবী’ ছবিতে অভিনয় করে চঞ্চল চৌধুরী পান ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা। গিয়াস উদ্দিন সেলিমের নতুন চলচ্চিত্রে আবার কি চঞ্চল চৌধুরী কাজ করবেন জানতে চাইলে বলেন, নতুন ছবির পুরো স্ক্রিপ্ট এখনো ফাইনাল হয়নি। তবে এই চিত্রনাট্যের একটি ড্রাফট আমি পড়েছি। পছন্দ হয়েছে আমার। সেলিম ভাইয়ের ছবিতে কাজটি করার ইচ্ছে আছে। শুটিং শিডিউল, সম্মানি সব ঠিক থাকলে আমি কাজটি করবো।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও