কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আবাহনীতে আরো দুই বিদেশি

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৩ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

এএফসি কাপে প্রথমবারের মতো আন্তঃআঞ্চলিক সেমিফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে আবাহনী লিমিটেড। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ উত্তর কোরিয়ার ক্লাব এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভ। ২১শে আগস্ট হোম এবং ২৮শে আগস্ট দলটির সঙ্গে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে আবাহনী। উত্তর কোরিয়ার দলটির বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার এক মিডফিল্ডার দলে টেনেছে আবাহনী। গতকালই ঢাকা এসে পৌঁছেছেন দক্ষিণ কোরিয়ান মিডফিল্ডার তা মিন লি। তার সঙ্গে নেওয়া হয়েছে আরেক মিসরীয় সেন্টারব্যাক আলেদিন নাসেরকে।হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের মিশন নিয়ে এবার প্রিমিয়ার লীগ শুরু করেছিল আবাহনী। নবাগত বসুন্ধরা কিংসের কাছে শিরোপা খুইয়েছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। এখন এএফসি কাপে ভালো কিছু করেই মৌসুম শেষ করার লক্ষ্য তাদের। দলের ফাঁক-ফোকর পূরণ করতেই নতুন দুজন বিদেশি ফুটবলার নিয়েছে আবাহনী। মাসি সাইগানির ওপর ভর করে এএফসি কাপের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করে তারা। আফগানিস্তানের এই ডিফেন্ডার আবাহনী ছাড়ছেন তা প্রায় নিশ্চিত। তাই মিসরীয় ডিফেন্ডার আলেদিন নাসেরকে আনা। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ওয়েলিংটন প্রিয়রিও অনেক দিন ধরে ইনজুরিতে। ব্রাজিলিয়ান এই মিডফিল্ডারের জায়গা পূরণ করতে কোরিয়ান মিডফিল্ডার লি’কে দলে ভিড়িয়েছে আবাহনী। এছাড়া মিসরীয় ডিফেন্ডার নাসের দুই বছর আগে মালদ্বীপের ক্লাব টিসি স্পোর্টসের হয়ে বাংলাদেশে শেখ কামাল গোল্ডকাপ খেলে গিয়েছেন। তখন থেকেই তাকে চেনে আবাহনী। বর্তমানে কোনো ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ না থাকায় অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডারকে লুফে নেয় তারা। আর ২১ বছর বয়সী মিডফিল্ডার লি’র দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ ‘কে’ লিগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। এই দুজনের সঙ্গে পুরোনো নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার সানডে চিজোবা ও হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড কেভিন বেলফোর্ট। নতুন দুই বিদেশি খেলোয়াড় প্রসঙ্গে আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিত দাস রূপু বলেন, ‘এমনিতে এএফসি কাপে আমাদের একজন বিদেশি ফুটবলারের কোঠা খালি আছে। তাছাড়া আফগান ডিফেন্ডার মাসি সাইগানির সঙ্গে আমাদের চুক্তি শেষ। ওকে যদি এএফসি কাপে না পাওয়া যায় তাহলে আমরা আরেক জন বিদেশি নিতে পারবো। তাই দুইজনকে ঢাকায় এনেছি।’এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত খেলেছে আবাহনী। ৬ ম্যাচে ৪ জয় ও ১ ড্রয়ের বিপরীতে একটি মাত্র ম্যাচ হেরে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় দলটি। তাদের প্রতিপক্ষ এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ ক্লাবের পারফরমেন্স ছিল আরও দুর্দান্ত। ৬ ম্যাচে ৫ জয়ের বিপরীতে তারা ম্যাচ হেরেছে মাত্র একটি। ঘরোয়া লীগে এগারোবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া কোরিয়ান ক্লাবটিতে নেই কোনো বিদেশি খেলোয়াড়। এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলে খুব অপরিচিত প্রতিপক্ষ নয়। এই দলটির বিপক্ষে অতীতে জয়ের রেকর্ড আছে। ১৯৮৮ সালে সে সময়ের এশিয়ান ক্লাব কাপ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল পর্বে এই এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। মালয়েশিয়ার পাহাংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ম্যাচটি। মোহামেডানই ১৯৯০ এশিয়ান ক্লাব কাপের চূড়ান্তপর্বে গোলশূন্য ড্র করেছিল উত্তর কোরীয় ক্লাবটির সঙ্গে। ১৯৯১ সালের জুলাইয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত চূড়ান্তপর্বে এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ তৃতীয় হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও