অনেকের মলের সঙ্গে রক্ত যায়। শুরুতে অনেকে সেভাবে খেয়াল করেন না। পরবর্তী সময়ে যখন ডাক্তারের কাছে আসেন তখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর ধরা পড়ল মলদ্বারে ক্যানসার। আক্রান্ত অংশসহ সম্পূর্ণ মলদ্বার কেটে ফেলা হয়। পরে কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দেওয়া হয়। ধারাবাহিক চিকিৎসা নিয়ে ক্যানসারমুক্ত সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব। মলদ্বার পুরোটা কেটে ফেলা হলেও তার শরীরের বাইরে মল সংগ্রহের জন্য কোলোস্টমি ব্যাগ ব্যবহার করতে হয় না। শারীরিক পরিশ্রম করতেও তার কোনো সমস্যা হয় না।
কোলোরেক্টাল ক্যানসারে সাধারণত বৃহদন্ত্র ও মলদ্বার আক্রান্ত হয়। শুরুতে এ ক্যানসার আঙুরাকৃতির পলিপ হিসেবে দেখা দেয়। নিয়মিত স্ক্রিনিং টেস্টের মাধ্যমে পলিপ খুঁজে পাওয় যায়, যা ক্যানসার হওয়ার আগেই অপসারণ করা সম্ভব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বে প্রতিবছর ৭ লাখ মানুষ কোলোরেক্টাল ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।