কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পশ্চিমারা কি আরেকটি মহাযুদ্ধ ডেকে আনছে

www.ajkerpatrika.com এ কে এম শামসুদ্দিন প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯:০০

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের এক বছর পূরণ হতে চলল। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর এই এক বছরে বিশ্বের অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে। করোনা মহামারিতে বিশ্ব যে সংকটে পড়েছিল, সেই সংকট কাটতে না কাটতেই এই যুদ্ধ যেন বিশ্ব পরিস্থিতিকে আরও মহাসংকটে ঠেলে দিয়েছে। ইউক্রেনে আক্রমণের পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমারা যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছিল, সেই ঐক্য যেন আজও টিকে আছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ইউক্রেনকে এক বছর ধরে অর্থনৈতিক ও সামরিক সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেন বরাবরই পশ্চিমা অস্ত্রের ওপর নির্ভরশীল।


চলমান যুদ্ধের শুরুতে ইউক্রেন বেশ কিছু এলাকা খোয়ালেও ধীরে ধীরে পশ্চিমাদের দেওয়া অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রুশ বাহিনীর অগ্রাভিযানকে রুখে দিতে সমর্থ হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, রুশ বাহিনীর ওপর আক্রমণ করে দখল হয়ে যাওয়া বেশ কিছু এলাকা উদ্ধারও করেছে। রুশ বাহিনী যখন প্রথম আগ্রাসন শুরু করেছিল, তখন মনে করা হয়েছিল জেলেনস্কি সরকারকে উৎখাত করাই রাশিয়ার প্রধান উদ্দেশ্য। কিন্তু দিন যতই গড়িয়েছে যুদ্ধের রং যেন ততই বদলেছে। যুদ্ধের পটপরিবর্তন হয়েছে সেভাবে। প্রথম দিকে রাশিয়া কিয়েভকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরলেও শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে তাদের বাহিনীকে প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর অবশ্য খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে রুশ বাহিনী পূর্বাঞ্চলের চারটি এলাকা দখল করে নেয়।


রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে ৩০টির বেশি দেশ ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে। যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে ইউক্রেন বেকায়দায় পড়ে গেলেও ধীরে ধীরে পশ্চিমাদের সহযোগিতায় প্রতিরোধ যুদ্ধ জোরদার করতে সক্ষম হয়। ইউক্রেনের প্রতিরোধ যুদ্ধে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণব্যবস্থা, হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (এম-১৪২ হিমার্স)। যুদ্ধের ময়দানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে রুশ বাহিনীর অবস্থান শনাক্ত করে হিমার্স দিয়ে ধ্বংস করে প্রভূত সাফল্য অর্জন করে ইউক্রেন। রাশিয়াকে নিজ ভূমি থেকে বিতাড়িত করতে প্রথম থেকেই জেলেনস্কি পশ্চিমাদের কাছে ভারী অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহের দাবি করে আসছিলেন। তিনি দাবি করেন, অন্তত ৩০০টি ট্যাংক পেলে রুশ বাহিনীকে পিছু হটিয়ে তাঁদের হারানো অঞ্চল পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। এত দিনে জেলেনস্কির অনুরোধে পশ্চিমাদের বোধ হয় মন গলেছে। তারা ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক ট্যাংক সরবরাহে সম্মতি জ্ঞাপন করেছে। ইউক্রেনকে মোট ৩২১টি অত্যাধুনিক ট্যাংক দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পশ্চিমারা। এই ট্যাংক দেওয়ার ব্যাপারে অবশ্য একেক দেশের একেক রকমের শর্ত রয়েছে। ইউক্রেনও সে সব শর্ত মেনে নিয়েই যত দ্রুত সম্ভব ট্যাংক পেতে চায়। এত দিন তারা সোভিয়েত আমলের অন্তত ৩০ বছরের পুরোনো টি-৭২ ট্যাংক ব্যবহার করে আসছিল।


যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত না হলেও ইউক্রেনকে ব্যবহার করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একরকম প্রক্সি যুদ্ধেই লিপ্ত রয়েছে। যুদ্ধের শুরু থেকেই বিভিন্ন উপায়ে ইউক্রেনকে সামরিক সরঞ্জামাদি সরবরাহ করেই বসে থাকেনি; রণকৌশল ও অস্ত্র প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইউক্রেনের সেনাসদস্যদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছে। জেলেনস্কিও পশ্চিমাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় যুদ্ধ সরঞ্জামাদি চেয়ে নিচ্ছেন। তাঁর চাহিদার তালিকা দিন দিন কেবল বেড়েই চলেছে। যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্রের পর এবার যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন চাইছেন তিনি। রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের নৌ সক্ষমতা বৃদ্ধি করতেই জার্মানির প্রতি নতুন করে অনুরোধ করেছেন জেলেনস্কি। উল্লেখ্য, জার্মানি এক মাস আগে তাদের ফ্রিগেট লুবেবককে বাতিল ঘোষণা করেছে। ফ্রিগেটটি ৩২ বছরের পুরোনো। ইউক্রেন এ ফ্রিগেটটি চেয়েছে, যাতে কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার সাবমেরিন মোকাবিলায় ব্যবহার করতে পারে। জার্মানি যদি ফ্রিগেট দিতে রাজি না হয়, তাহলে অন্তত ওই ফ্রিগেটের অস্ত্রশস্ত্র, যেমন সি স্প্যারো, এম্প হারপুন ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তাদের দেয়। জেলেনস্কির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে জার্মানির পক্ষ থেকে এসব সরঞ্জাম দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে কোনো বক্তব্য বা তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইউক্রেনকে কোনো যুদ্ধবিমান পাঠাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান না দেওয়ার কারণ সহজেই অনুমান করা যায়। আগেই উল্লেখ করেছি, পশ্চিমারা সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত না হলেও তারা প্রক্সি যুদ্ধে ভালোভাবেই যুক্ত আছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও