কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

স্বাস্থ্য খাত: শুধু অভিযোগের আঙুল নয়

সমকাল সাকলায়েন রাসেল প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৫৪

আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুটি ভাগে বিভক্ত- সরকারি ও বেসরকারি। সরকারি পর্যায়ে নানা ঘাটতির সুযোগে স্বাধীনতার ৫০ বছরে বিস্তার ঘটেছে বেসরকারি চিকিৎসাসেবার। দেশের সিংহভাগ মানুষ এখন বেসরকারি চিকিৎসাসেবায় নির্ভরশীল। এতে চিকিৎসা ব্যয় বাড়ছে। নিঃস্ব হচ্ছে অসহায় মানুষ।


স্বাধীনতার ৫০ বছরেও দেশে স্বাস্থ্যবীমা ব্যবস্থা শক্তিশালী ভিত্তি না পাওয়ায় অনেকে সহায়-সম্বল বিক্রি করে চিকিৎসা ব্যয় বহন করে। মুমূর্ষু পিতাকে আইসিইউতে রেখে দ্বারে দ্বারে হাত পাততে দেখা যায় নিম্ন বা মধ্যবিত্ত সন্তানকে। পিতা কীভাবে সুস্থ হবেন, তার চেয়ে বড় হয়ে ওঠে কীভাবে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করা হবে। এক সময় অর্থের কাছে হেরে যায় জীবন। হেলথ ইন্স্যুরেন্স থাকলে চিত্রটি ভিন্ন হতে পারত।
ওদিকে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে বিড়ম্বনার শেষ নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হয়রানি শুরু হয় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর হাত ধরে। বদলির ঝামেলা না থাকায় এক জায়গায় দীর্ঘদিন থাকেন তাঁরা। আস্তে আস্তে একটি ক্ষমতার বলয় তৈরি করেন। এই বলয় ভেদ করার শক্তি কারোরই থাকে না।


এক সময় মনে হতো, চিকিৎসা মানেই চিকিৎসক। হাসপাতালে ওষুধ নেই- চিকিৎসকের দোষ। বেড নেই- চিকিৎসকের দোষ। কভিডের কারণে এ ভুল ভেঙেছে। কভিড দেখিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতাগুলো। দিনের পর দিন স্বাস্থ্য খাতকে অবহেলায় ফেলে রেখে উন্নয়নের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেছি আমরা। সামান্য স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্যও কর্তাব্যক্তিরা বিদেশে পাড়ি জমান। দেশের স্বাস্থ্য খাত নিয়ে মাথাব্যথা নেই তাঁদের। কিন্তু টনক নড়ে কভিডের আক্রমণে। চিকিৎসার জন্য বিদেশের সব দরজা বন্ধ হয়ে যায়। ভরসা তখন শুধুই দেশ।


একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সরকারি হাসপাতালে যতটুকু সময় দেন, তার দ্বিগুণ সময় দেন প্রাইভেট প্র্যাকটিসে। এ সুযোগ করে দিয়েছেন আমাদের কর্তাব্যক্তিরাই। সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ দিলে শুক্র-শনিবার চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হবে। দুই দিন বন্ধের সুযোগে চিকিৎসকরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস বাড়িয়ে দেবেন। এসব অজুহাতে চিকিৎসকদের জন্য ছুটি সপ্তাহে একদিন। ফলে চিকিৎসকরা হাসপাতালে অবস্থান করেন সর্বোচ্চ বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। এর পর চলে যান প্রাইভেট প্র্যাকটিসে। সেখানেই ব্যস্ত থাকেন মধ্যরাত পর্যন্ত। এতে প্রতিদিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকস্বল্পতায় ভোগে সরকারি হাসপাতাল। বিষয়টা অনুধাবন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই তারা সপ্তাহে দুই দিন বন্ধের সিস্টেম চালু করেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও