আমদানি নিয়ন্ত্রণের পর বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল হওয়ার পথে কি?
বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটা পদক্ষেপ ছিল আমদানি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বাড়তি চাহিদা হ্রাস করা। এ উদ্যোগ মনে হয় কাজ করছে, যখন রফতানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহে চলতি বছর আপাতত একটা ইতিবাচক ধারা লক্ষ করা যাচ্ছে।
২০২২ অর্থবছরের শেষের দিকে বৈশ্বিক প্রভাবে আমাদের অর্থনীতি তিনটি বড় অর্থনৈতিক অভিঘাতের মুখোমুখি হয়। প্রথম অভিঘাতটি আসে মহামারী-উত্তর সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়া থেকে। এতে পণ্য সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয় এবং ব্যয় বেড়ে যায়। দ্বিতীয় অভিঘাত হলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যা তৃতীয় অভিঘাতের সৃষ্টি করে। এ অভিঘাতে খাদ্য ও তেলের দাম বেড়ে যায়, যা বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি উসকে দিয়েছে। এর ফলস্বরূপ বাংলাদেশেও বেড়ে যায় খাদ্য ও জ্বালানির দাম।
এ তিন অভিঘাতের সম্মিলিত প্রভাব চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির পর বৈশ্বিক অর্থনীতিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিও এর প্রভাব থেকে রেহাই পায়নি। ২৫ বছরের বেশি সময়জুড়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় শক্তিশালী ভিত রচনা সত্ত্বেও বৈশ্বিক ঘটনাপ্রবাহের কারণে পুরো ব্যবস্থা নড়বড়ে হয়েছে, যার ওপর বাংলাদেশের কোনো হাত ছিল না।