কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নতুন প্রজন্মের ৯ ব্যাংকে খেলাপি বেড়েছে পাঁচ গুণ

www.ajkerpatrika.com প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট ২০২২, ০৯:৫৫

চতুর্থ প্রজন্মের নতুন ব্যাংকগুলোও ঋণ বিতরণে আগ্রাসী হয়ে পড়ায় খেলাপি ঋণ ব্যাপক বেড়েছে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ৯টি নতুন ব্যাংকের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮১০ কোটি টাকা, যা পাঁচ বছর আগে ছিল মাত্র ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। সে হিসাবে এই ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ প্রায় পাঁচ গুণ বেড়েছে।


বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে এই ব্যাংকগুলোকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত। যদি অযোগ্যরা সনদ পায় তবে ব্যাংকের করপোরেট শাসন ও কমপ্লায়েন্স পালন করা কঠিন। কারণ, তারা অনেক প্রভাবশালী বলে এমনটা করা অস্বাভাবিক নয়। তবে কী কারণে খেলাপি বেড়েছে ও কারা মূল খেলাপি, তা তদন্ত করে জনসমক্ষে তুলে ধরতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর যদি এক ব্যাংকের পরিচালক অন্য ব্যাংকের পরিচালকের সঙ্গে যোগসাজশ করে ঋণ নিয়ে ফেরত না দেন, তবে সেটা আদায় করা কঠিন হবে। যদিও এভাবে ঋণ নেওয়া বেআইনি। এসব ঋণ বন্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। এটা করা সহজ না হলেও অসাধ্য নয়।’


ঋণ দেওয়ায় ‘বড় ব্যত্যয়’ ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম। গতকাল তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের প্রয়োজন বিবেচনা করে চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে নতুন ব্যাংক হিসেবে ঋণ বিতরণে কিছুটা আগ্রাসী মনে হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে এসব ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক চলমান রেখেছে। বড় কোনো ব্যত্যয় ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চতুর্থ প্রজন্মের ১৩টি নতুন ব্যাংককে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এসব ব্যাংকের মধ্যে পদ্মা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৬৮ শতাংশ। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ফারমার্স নামে থাকা ব্যাংকটির খেলাপি ছিল মাত্র ৭২৩ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের মাত্র ১৪ শতাংশ। ইউনিয়ন ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল ৭১২ কোটি, যা মোট ঋণের প্রায় ৪ শতাংশ। পাঁচ বছর আগে এই ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ।


মেঘনা ব্যাংকের খেলাপি দাঁড়িয়েছে ২৪১ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের প্রায় ৬ শতাংশ। পাঁচ বছর আগে খেলাপি ঋণের হার ছিল প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ। মিডল্যান্ড ব্যাংকের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৬২ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩ শতাংশ। মধুমতি ব্যাংকের খেলাপির পরিমাণ ১৮০ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। পাঁচ বছর আগে এই ব্যাংকের বিতরণ করা ২ হাজার ৭৯০ কোটি টাকার ঋণের মধ্যে খেলাপি ছিল মাত্র ৯ কোটি টাকা।


জুন পর্যন্ত সাউথ বাংলা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল ৪১৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের প্রায় ৬ শতাংশ। পাঁচ বছর আগে এই ব্যাংকের ঋণ ছিল ৪ হাজার ৩০৬ কোটি, যার মধ্যে খেলাপি ছিল মাত্র ৩১ কোটি টাকা। এনআরবি ব্যাংকের মোট খেলাপি ২১৫ কোটি টাকা, যা বিতরণকৃত ঋণের ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। আর গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৩৩০ কোটি বা ৩ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৬০০ কোটি টাকা বা ৬ শতাংশ। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও