কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

শিক্ষার জন্য কেন মেগা প্রকল্প তৈরি হয় না

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০২২, ১৩:৪৭

ড. মনজুর আহমদ। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ইসিডি (প্রারম্ভিক শিশুবিকাশ) নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান। প্রথম আলোর সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন, শিক্ষা আইন, বাজেট বরাদ্দ ও নতুন পাঠক্রম নিয়ে।


মনজুর আহমদ: ২০১১ সাল থেকে একটি ‘সমন্বিত শিক্ষা আইন’ তৈরির কাজ চলে আসছে। তখন থেকে অন্তত চারটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট নাগরিক সমাজের সমালোচনার মুখে এবং মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদন না পেয়ে এগুলো পুনর্বিবেচনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হয়। পূর্ববর্তী ২০১৬ সালের শেষ খসড়া জনমত যাচাইয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক খসড়াটি জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। ২০১০ সালে ঘোষিত নীতিতে বলা হয়েছে, শিক্ষাসংক্রান্ত বিভিন্ন বিধিবিধান নির্দেশাবলি ও প্রচলিত প্রক্রিয়াকে একত্র ও সমন্বিত করে এগুলোকে আইনি সমর্থন দেওয়ার জন্য এক সমন্বিত শিক্ষা আইন প্রয়োজন। শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে তা সহায়ক হবে বলে মনে করা হয়। প্রশ্ন দাঁড়ায়—১. সমন্বিত শিক্ষা আইনের অভাবেই কি শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের সামগ্রিক কোনো উদ্যোগ নেওয়া যায়নি? ২. কেন ১২ বছরেও আইন তৈরি হলো না? ৩. খসড়া আইনে কী আছে, কী নেই এবং কেন?


শিক্ষার মতো জটিল ও বহুমাত্রিক জনসেবা পরিচালনার জন্য সব দেশেই বিভিন্ন আইন, বিধিবিধান ও প্রশাসনিক নিয়মকানুন বিদ্যমান। এগুলো ছাড়াও শিক্ষাকে নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারণ করে অনেক দেশে বিশেষ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। যেমন ভারতের ২০০২ সালের ৮৬তম সাংবিধানিক সংশোধনীতে ৬ থেকে ১৪ বছরের শিশুদের মানসম্মত শিক্ষার সুযোগদান রাষ্ট্রের দায়িত্ব বলে স্বীকার করা হয়েছে। এই দায়িত্ব পূরণের উদ্দেশ্যে উপায় নিরূপণের জন্য ২০০৯ সালের শিক্ষা অধিকার আইন গৃহীত হয়।


প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের পরিধি ও উদ্দেশ্য সীমিত। ব্যাপকভাবে স্বীকৃত ও আলোচিত এবং শিক্ষানীতিতে উল্লেখিত শিক্ষার বড় চ্যালেঞ্জগুলোর ব্যাপারে বিশেষ বক্তব্য খসড়া আইনে রাখা হয়নি। অন্তত তিনটি চ্যালেঞ্জের কথা বলা যায়, যা আইনের খসড়ায় অবহেলিত—এক. শিক্ষা অধিকারের স্বীকৃতি ঘোষণা করে এ-সংক্রান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারিত করা। দুই. বিকেন্দ্রায়িত ব্যবস্থাপনা ও জবাবদিহির ধরন, পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষার সুশাসন ও সুব্যবস্থাপনাকে সমুন্নত রাখা এবং তিন. শিক্ষা অর্থায়নের নীতি ও পর্যাপ্ততার মানদণ্ড স্থির করা, যাতে মানসম্মত, সমতাভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার লক্ষ্য অর্জিত হয়।


এসব পদক্ষেপের অগ্রগতির তত্ত্বাবধান ও নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য শিক্ষানীতিতে এক বিধিবদ্ধ স্থায়ী শিক্ষা কমিশনের সুপারিশ করা হয়। বিষয়টি খসড়া আইনে যুক্ত হয়নি বলেই শোনা যায়। জরুরি চ্যালেঞ্জসমূহ আইনে যেমন বিবেচিত হয়নি, তেমনি যেসব বিষয় উন্নয়ন, গবেষণা ও পর্যালোচনার ব্যাপার—যেমন শিক্ষাক্রমের প্রকৃতি, শিক্ষকের পেশাগত প্রস্তুতি ও মান উন্নয়ন, শিক্ষার্থী মূল্যায়ন—সেসবের ক্ষেত্রে বর্তমান প্রচলনকে আইনে ঢুকিয়ে ভবিষ্যতের উন্নয়ন ও সংস্কার ব্যাহত করার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এককথায় সামগ্রিক শিক্ষা আইনের অভাব শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের প্রধান অন্তরায় নয় এবং ছিল না। শিক্ষানীতির বহুমাত্রিক লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কৌশল যথার্থ অনুধাবন করে এসবের ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পর্যায়ে নেতৃত্বের অভাবে শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে অগ্রগতি হয়নি। এ কারণে ১২ বছরেও একটি সহায়ক আইনি কাঠামো তৈরি হয়নি এবং আইনে কী থাকবে বা থাকবে না, তা নিয়ে মতৈক্যে পৌঁছানো যায়নি। এ কারণেই শিক্ষার জন্য একটা সামগ্রিক খাত উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করা যায়নি। ২০২০ সালে এ ব্যাপারে একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তা-ও এখন মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও