কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

একটি মহল শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজপথ ত্যাগ করে নিজেদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল-ডিএসইসি মেধাবৃত্তি-২০২১ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ আহ্বান জানান। ডিএসইসি সভাপতি মামুন ফরাজীর সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাফ্‌ফর হোসেন, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, সাম্প্রতিক দেশকালের সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন পলাশ, কেএসবি গ্রুপ চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ এ হোসাইন দীপু বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সন্তানরা নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলন করছে, আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। নিরাপদ সড়ক আমাদের প্রয়োজন, সরকারও এ বিষয়ে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে, শিক্ষার্থীদের জন্যে ইতিমধ্যেই হাফভাড়া করে দিয়েছে। বেসরকারি মালিক সমিতি ঢাকায় হাফভাড়া করেছে, চট্টগ্রামের জন্য আলোচনা করছে। আশা করবো আমাদের সন্তানরা এখন ক্লাসে ফিরে যাবে। করোনার কারণে অনেক ক্ষতি হয়েছে, এখন ক্লাসে ফিরে যাওয়ার সময়। কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে রাজনীতি করা শুরু হয়েছে, তাদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে অনেকে রাজনীতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে এবং রামপুরার ঘটনাকে সেই অপচেষ্টার অংশ বলেই অনেকে মতপ্রকাশ করেছেন। ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের দেশে কিছু পক্ষ আছে পরগাছার মতো। তারা অপরের ওপর ভর করে নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়। এই পরগাছারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ছাত্রদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তারা তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়। সুতরাং এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমি অভিভাবকদের অনুরোধ জানাবো এ ব্যাপারে আপনারাও সতর্ক থাকবেন। সন্তানরা যাতে ক্লাসে ফিরে যায়, সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। মন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়া যাতে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা পান, চিকিৎসা পান সেজন্য বিএনপি বা বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার যেভাবে চাইবে সেভাবেই দেশের অভ্যন্তরে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা করতে বদ্ধপরিকর। বেগম জিয়া ইতিপূর্বেও অসুস্থ হয়েছিলেন এবং দেশের মধ্যে চিকিৎসা নিয়েই তিনি ভালো হয়েছেন। এবারও আশা করি আমাদের মেধাবী ডাক্তারদের সুচিকিৎসায় বেগম জিয়া সহসাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাবেন। এদিকে দেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেল স্বত্বাধিকারীদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-এটকো’র প্রতিনিধিবৃন্দ তথ্য ও সমপ্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে এ বৈঠক হয়। এটকো’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সহ-সভাপতি আরিফ হাসানসহ এসোসিয়েশন পরিচালকবৃন্দের মধ্যে আহমেদ জোবায়ের, আব্দুল হক, কাজী জাহেদুল হাসান, আশফাক উদ্দীন এবং সদস্য নাসির উদ্দীন বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশে যে সমস্ত মোবাইল ফোন কোম্পানি আছে তারা লাইসেন্স না নিয়েই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করছে, কনটেন্ট বানাচ্ছে, অনলাইনে প্রচার করছে এবং সেখান থেকে উপার্জন করছে, যেটি তাদের লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ। টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বিটিআরসি এবং মোবাইল অপারেটরদের নিয়ে আমরা বিষয়টা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবো। তারা যদি নিয়ম-বহির্ভূতভাবে এটি করে থাকেন, সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মন্ত্রী আরও জানান, আইপিটিভি রেজিস্ট্রেশন দেয়ার প্রয়োজন আছে কি না, এটকোর পক্ষ থেকে সে প্রশ্ন তারা তুলেছেন। আইপিটিভি পৃথিবীর বাস্তবতা। কিন্তু ব্যাঙের ছাতার মতো আইপিটিভি সমীচীন নয় বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। আমরা ইতিমধ্যেই ১৪টি আইপিটিভিকে রেজিস্ট্রেশন দেয়ার অনুমতি দিয়েছি। আইপিটিভি সংক্রান্ত নীতিমালা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়েছে, সেখানে নীতিমালায় বলা আছে আইপিটিভি কোনোভাবেই সংবাদ প্রচার করতে পারবে না, ক্যাবলের মাধ্যমে প্রচার করতে পারবে না। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অত্যন্ত যত্নসহকারে আইপিটিভি’র ব্যাপারে অগ্রসর হতে চাই, যথেচ্ছভাবে নয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত