কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

দুইদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন উদ্বোধন আজ

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

বিশ্বের অন্যতম লাভজনক বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে আজ রোববার থেকে শুরু হচ্ছে দু’দিনব্যাপী (২৮-২৯শে নভেম্বর) আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন। ২০১৬ সালের পর এটাই কোনো আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন শুরু হতে হচ্ছে। রাজধানীর রেডিশন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে এই সম্মেলন শুরু হচ্ছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপানসহ মোট ৫৪টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সম্মেলনে অংশ নেয়ার জন্য অনলাইনে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি দেশি-বিদেশি প্রতিনিধি নিবন্ধন করেছেন। সম্মেলনটি ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শনিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম। বিডার কনফারেন্স রুমে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর বেসকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশ ইকোনমিক জোনস অথরিটি (বেজা), বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনস অথরিটি (বেপজা), বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি (বিএইচটিপিএ), পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষ (পিপিপিএ), ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই) এই সম্মেলনে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (বিডা) সহযোগিতা করছে। প্রধানমন্ত্রীর বেসকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, এই সামিটের উদ্দেশ্য হলো- নতুন বাংলাদেশকে বিশ্বকে জানানো। এছাড়া বাংলাদেশে যারাই বিনিয়োগ করতে আসবেন তারাই লাভবান হবেন। পাশাপাশি আমাদের ইমেজ সংকট রয়েছে। ইমেজ ফিরিয়ে আনতেও এই সম্মেলন কাজে আসবে বলে মনে করেন সালমান এফ রহমান। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএন’র সঙ্গে চুক্তি হতে যাছে। গণমাধ্যমটি বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশ্বের কাছে তুলে ধরবে। এক পশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান বলেন, এখন প্রত্যেক দিন বিভিন্ন দেশ থেকে বিনিয়োগের খবর আসছে। এছাড়া দেশের ব্যক্তি খাত থেকেও বিনিয়োগ বাড়ছে। তা ছাড়া আগে বাংলাদেশে চীন, জাপান, কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারত বিনিয়োগে সীমিত ছিল। আর এখন কিন্তু নতুন নতুন দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। আইটি খাতে বিনিয়োগ বাড়ছে। সর্বোপরি বিনিয়োগ একটা চলমান প্রক্রিয়া। এখন শুধু বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং দরকার। বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য যে অনুকূল পরিবেশ রয়েছে তা বোঝানোর জন্যই এবারের ইনভেস্টমেন্ট সামিট।বিডার চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, মহামারি করোনা এখনো শেষ হয়নি। তাই সম্মেলনে অংশ গ্রহণকারীদের একটি অংশ অনলাইনে, আরেকটি অংশ স্বশরীরে অংশ নেবেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আড়াই হাজারের বেশি ব্যক্তি বাংলাদেশসহ ৫৪টি দেশ থেকে সম্মেলনে অংশ নেয়ার জন্য অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন। তারা একডজন খাতে বিনিয়োগের জন্য টার্গেট করেছেন। এর বাইরেও কেউ বিনিয়োগ করতে চাইলে আমরা তাদের স্বাগত জানাবো। বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই এই সামিটের উদ্দেশ্য বলে জানান তিনি। বিডার চেয়ারম্যান বলেন, সম্মেলনে বেশ কয়েকটি সেশন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি সেশনে একজন বিশেষজ্ঞ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। দেশি-বিদেশি প্রতিনিধিরা আলোচনা করবেন। সংশ্লিষ্ট খাতের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপদেষ্টারা সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন। আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থা- বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকসহ (এআইআইবি) বৈশ্বিক অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেবেন।বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, সব মিলিয়ে দেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগেও একটি ভালো পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এখন এটাকেই আমরা ভালোভাবে কাজে লাগাতে চাই। দেশে আরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আনতে চাই।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩২৩ কোটি ৩০ লাখ ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ৮৪ কোটি ৭০ লাখ ডলারের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে দেশে।বিডা জানায়, বিনিয়োগ প্রতিযোগিতা এবং ব্যবসায়িক পরিবেশ, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, তথ্যপ্রযুক্তি, তৈরি পোশাক, ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইলেকট্রিক শিল্পসহ ১৩টি খাত নিয়ে আলোচনা হবে।২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ৫০০ বিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। এবারের আয়োজনের প্রতিপাদ্য- ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা, যেখানে রয়েছে অসীম বিনিয়োগের সম্ভাবনা’।বিডা জানায়, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং, চীন, নেদারল্যান্ডস, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), ভারত, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশের সরকারি প্রতিনিধি ও বিনিয়োগকারীরা অংশ নেবেন এই সম্মেলনে।সম্মেলনের প্রথমদিনে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাতসহ বিনিয়োগের পরিবেশ ও বিনিয়োগ সক্ষমতার সার্বিক চিত্র তুলে ধরা হবে। এর মধ্যে অন্যতম হলো- বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার চলমান পরিকল্পনা। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলের হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরা হবে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে। এ ছাড়া বাংলাদেশে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হবে প্রথম দিন।দ্বিতীয় দিনে পোশাক, বস্ত্রসহ চামড়া ও চামড়াজাত খাতের পণ্য উৎপাদন এবং রপ্তানি নিয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া মোবাইলে আর্থিক সেবার (এমএফএস) সম্ভাবনা, পুঁজিবাজার, পরিবহন, ওষুধশিল্প, কৃষি ব্যবসায় এবং ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনের সম্ভাবনা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে তুলে ধরা হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত