কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নবাবগঞ্জে গণপিটুনিতে নিহত ১

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে রুনা (২৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুরে উপজেলার বাহ্রা ইউনিয়নের বলমন্তচর সেতুর ঢালে এ ঘটনা ঘটে। একই ঘটনায় পপি (২০) নামে অপর এক নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।আহত পপি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ডহর মণ্ডল গ্রামের মহরম আলীর মেয়ে ও নিজামুদ্দিনের স্ত্রী। নিহত রুনাও একই উপজেলার বাসিন্দা। জানা গেছে, গতকাল দুপুরে হযরত আলী ও তার স্ত্রী জহুরা বেগম করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে পৃথক দুই লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় মহিলাদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা জহুরার ওপর দু’জন নারী পড়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর জহুরা বুঝতে পারে তার গলায় স্বর্ণের চেইন নেই। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি সে তার স্বামীকে জানিয়ে ওই দুই নারীকে দেখিয়ে দেয়। পরে তার স্বামী ওই দুই নারীকে ধরে গাড়িতে করে তাদের নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। স্বর্ণের চেইন ফেরত চেয়ে তাদেরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারপিট করে। এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পেরে তারাও মারধর করে। গণপিটুনির এক পর্যায়ে একজন নারী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। অন্যজনের অবস্থা খারাপ হলে তাকে দ্রুত নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন নবাবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম শেখ ও থানার অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মৃত্যুঞ্জয় কির্তনীয়া জানান, সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। নিহত ও আহত নারী একই এলাকার বাসিন্দা। নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম শেখ জানান, নিহত ও আহত ওই দুই নারী আন্তঃজেলা চোর চক্রের সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় প্রধান আসামি হযরত আলী পলাতক রয়েছেন। তবে আরেক আসামি জহুরা বেগমকে আটক করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়াও যারা এ মারপিটের সঙ্গে জড়িত তাদের সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে