কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পারিবারিক কলহের শিকার দুই শিশু

মানবজমিন প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

যমজ সন্তানকে নিয়ে ঝালকাঠির পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে আসেন তাদের মা সুমাইয়া আক্তার। চেকপোস্টের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের সামনে যমজ শিশু দু’টিকে রেখে চলে যান তিনি। রোববার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রেখে যাওয়ার পর থেকে ছোট শিশু দু’টি গলা ফাটিয়ে কান্না শুরু করে। ওদের গায়ে তখন ভীষণ জ্বর। জানা গেছে, বাবা-মায়ের কলহ আর বিচ্ছেদের জাঁতাকলে পিষ্ট হতে চলেছে ১১ মাসের দুই শিশুজীবন।  ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান জানান, শিশু দু’টিকে  রোববার রাতেই ওদের দাদির জিম্মায় দেয়া হয়েছে। বর্তমানে দাদা-দাদির কাছে বরিশালের বানারীপাড়ায় আছে। জানা গেছে, ২০১৯ সালের মে মাসে সুমাইয়া আক্তারের বিয়ে হয় ইমরান হোসেনের সঙ্গে। পারিবারিক কলহের কারণে গত মার্চ মাসে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। সুমাইয়া আক্তারের অভিযোগ, ইমরান পেশায় পুলিশ হওয়ায় ডিভোর্সের পর তার সঙ্গে পেরে ওঠেননি। পরে স্থানীয়ভাবে এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে একাধিক  বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়- শিশু দু’টি সাবালক হওয়ার আগ পর্যন্ত মায়ের কাছে থাকবে। এবং ভরণপোষণের জন্য ইমরান প্রতিমাসে তিন হাজার টাকা দেবে। কিন্তু সন্তানদের ভরণপোষণ ও চিকিৎসার জন্য কোনো খরচ দেন না ইমরান। তবে ইমরান সুমাইয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রতিমাসে দুই ছেলের ভরণপোষণের জন্য তিন হাজার করে টাকা সুমাইয়াকে দিয়ে আসছি।’ সুমাইয়া আক্তার বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে টাইফয়েড জ্বরে ভুগছে শিশু আরাফ ও আয়ান। ওদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে রোববার সকালে চিকিৎসক বেশ কিছু টেস্ট দেন। এই টাকা জোগাড় করা আমার সাধ্যের বাইরে ছিল। সন্তানদের চিকিৎসার টাকা চেয়ে ইমরানকে ফোন দিলে টাকা পাঠাতে অপারগতা প্রকাশ করে সে বলে, ‘আমি প্রশিক্ষণের জন্য জামালপুরে আছি। এখন টাকা দিতে পারবো না।’ সেই ক্ষোভে যমজ দুই ছেলেকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে রেখে আসি। বিকালে শিশু দু’টিকে ঝালকাঠি সদর থানায় নিয়ে নারী ও শিশু হেল্পডেস্কে দায়িত্বরত নারী কনস্টেবলের কাছে রাখা হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে